ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

ঈদের দিনে বিনোদন কেন্দ্রে উপচে পড়া ভিড়

ঈদের দিনে বিনোদন কেন্দ্রে উপচে পড়া ভিড়

ছবি-সমকাল

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ১৯:৩৮

ঈদুল ফিতরের দিনে রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ছিল উপচে পড়া ভিড়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ভিড় কিছুটা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে ভিড় বাড়তে থাকে। জাতীয় চিড়িয়াখানা, হাতিরঝিল, ধানমন্ডি লেক, আঁগারগাওয়ের শিশুমেলাসহ বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ছোট বড়, সব বয়সী মানুষের ভিড় বাড়ে।

রাজধানীর কলাবাগান থেকে বাবার সঙ্গে চিড়িয়াখানায় এসেছে রেহনুমা, রুশান ও তাদের তিন বছরের ভাই আব্দুল্লাহ্। তারা সিংহ, বাঘ, পাখি, বানর ও অজগরসহ বিভিন্ন পশু-পাখির খাঁচা পরিদর্শন করেছে। পশু-পাখিদের সাথে সন্তানদের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন তাদের বাবা রিয়াজ।

রেহনুমা জানায়, বাবাকে অনেক দিন ধরে বলছিলাম। তাই তিনি ঈদের দিনে আমাদের ঘুরতে এনেছেন। খুব কাছ থেকে পশু-পাখি দেখে আমরা খুব খুশি।

রেহনুমার মত হাজার হাজার শিশু কিশোর বাবা-মায়ের সঙ্গে চিড়িয়াখানায় ঘুরতে এসেছে। শুধু ছোটরা নয়, চিড়িয়াখানায় আজ এসেছেন নব দম্পতিরাও। তারা চিড়িয়াখানার মুহূর্তটাকে ক্যামেরাবন্দি করতেও ভুলছেন না।

হাতিরঝিলে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বেড়াতে এসেছেন সব শ্রেণির মানুষ। অনেকে বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে হেঁটে বেড়াচ্ছেন, আবার ছোট ছোট বাচ্চারাও দল বেধে ওয়াটার ট্যাক্সিতে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে এসেছেন। ওয়াটার ট্যাক্সিতে উঠে হাতিরঝিলের স্বচ্ছ পানির সঙ্গে কেউ কেউ তুলছেন সেলফি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ঈদ উপলক্ষে হাতিরঝিলের ওয়াটার ট্যাক্সি আজ কেবল ভ্রমণের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। ৩০ মিনিট হাতিরঝিলে ঘুরতে খরচ করতে হচ্ছে জনপ্রতি ৮০ টাকা। হাতিরঝিল ঢাকার তেজগাঁও, গুলশান, বাড্ডা, রামপুরা, মৌচাক, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার ও মগবাজারকে সড়ক এবং নৌপথে যুক্ত করেছে।

রাজধানীর আগারগাঁও থেকে ওয়াটার ট্যাক্সিতে পরিবার নিয়ে ঘুরছেন মো. তরিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, পরিবারের সবাইকে নিয়ে হাতিরঝিলে ঘুরতে এসে ওয়াটার ট্যাক্সিতে উঠলাম। এখন হাতিরঝিলের পানিও পরিষ্কার। পানিতে কোনো দুর্গন্ধ নেই। ওয়াটার ট্যাক্সিতে উঠে পরিবারের সবাই খুব আনন্দ করছে। বিশেষ করে আমার দুইটা বাচ্চা খুব উপভোগ করেছে।

ধানমন্ডি লেকপাড়ে ঈদের নামাজের পরে সব বয়সী মানুষের ভিড় বাড়ে। লিমান ও তানভীর এসেছেন বাবা মায়ের সাথে। লিমান বলেন, ঈদের নামাজ পড়ে বাসায় মিষ্টান্ন খেয়েই তারা ধানমন্ডি লেকে ঘুরতে এসেছেন। বাবা লুৎফর রহমান জানান, এমনিতেই বাচ্চাদের নিয়ে বের হওয়ার সময় পায় না। ঈদের দিন নামাজের পরই বের হয়েছেন। সারাদিন ঘুরে রাতে বাসায় ফিরবেন।

তবে জাতীয় শিশুপার্কে উন্নয়ন কাজের জন্য বন্ধ ছিল। অভিভাবকরা তাদের শিশুদের নিয়ে এসে অনেকেই ফেরত গেছেন। একরামুল হক নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, ঈদে গ্রামের বাড়িতে যাওয়া হয়নি। তাই তারা ঈদের দিন বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে সময় কাটাতে এসেছেন। তবে জাতীয় শিশুপার্কে এসে দেখেন সেখানে উন্নয়ন কাজ চলছে।

আরও পড়ুন

×