স্মার্ট বাংলাদেশের প্যাথলজিস্ট হবে আরও স্মার্ট

উন্নয়নের সঙ্গে দেশের স্বাস্থ্য খাতও সমানতালে এগিয়ে যাচ্ছে। আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানে হিস্টোপ্যাথলজি, সাইটোপ্যাথলজির মতো বিষয়ে কাজ চলছে। স্মার্ট বাংলাদেশের প্যাথলজিস্ট হবে আরও স্মার্ট।

শনিবার প্যাথলজি চিকিৎসকদের জাতীয় সংগঠন বাংলাদেশ একাডেমি অব প্যাথলজির প্রথম আন্তর্জাতিক কনফারেন্স ও সপ্তম জাতীয় সম্মেলনে এমন অভিমত দেন বক্তারা। রাজধানীর একটি হোটেলে দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলন উদ্বোধন করা হয়। এতে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ভারত, সিঙ্গাপুর ছাড়াও ৩৫০ দেশি-বিদেশি প্যাথলজিস্ট বিভিন্ন সেশনে অংশ নিয়ে অভিজ্ঞতা এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারণা বিনিময় করবেন।

সম্মেলন উদ্বোধন করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক বলেন, বাংলাদেশে প্যাথলজিস্টরা নানা অপ্রতুলতার মাঝেও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের অভিজ্ঞতা নিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের প্যাথলজিস্টরা আরও স্মার্ট হবেন।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. শাহ মনির হোসেন, আয়োজক সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. গোলাম মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. শাহেদ আলী জিন্নাহ প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
বক্তারা বলেন, সঠিক চিকিৎসা দেওয়ার জন্য সঠিক রোগ নির্ণয় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আর রোগ নির্ণয়ে ভূমিকা পালন করে থাকেন প্যাথলজিস্টরা। পরীক্ষা ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ক্যান্সারসহ নানা জটিল রোগের চিকিৎসা অনেকাংশে নির্ভর করে একজন দক্ষ প্যাথলজিস্টের সঠিক রোগ নির্ণয়ের ওপর। কিন্তু সরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী সংখ্যা বাড়লেও সে হারে বাড়েনি প্যাথলজি শিক্ষক।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. গোলাম মোস্তফা সারাদেশ থেকে আসা প্যাথলজিস্টদের ধন্যবাদ দেন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. শাহেদ আলী জিন্নাহ বলেন, প্রতিবেশী দেশের করপোরেট ল্যাবের এক ধরনের কালেকশন সেন্টার চালু হয়েছে বাংলাদেশে। এর মাধ্যমে রোগীদের স্যাম্পল চোরাচালান করে পরীক্ষার জন্য সেখানে পাঠানো হচ্ছে। এসব সেন্টারে পরীক্ষার মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা লেনদেন হচ্ছে অবৈধভাবে। আবার প্রাপ্ত রিপোর্টের বিশ্বাসযোগ্যতা ও দায়দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে আহ্বান জানান তিনি।