ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো সাদিক এগ্রোর অবৈধ অংশ

গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো সাদিক এগ্রোর অবৈধ অংশ

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বৃহস্পতিবার ‘সাদিক এগ্রো’র অবৈধ অংশে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উচ্ছেদ অভিযান সমকাল

 সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪ | ০০:৩৯

রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় ‘সাদিক এগ্রো’তে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এখানে রামচন্দ্রপুর খাল ও সড়কের জায়গা দখলমুক্ত করতে সাদিক এগ্রোর একাংশ ছাড়াও দোকান, রিকশা গ্যারেজ, আওয়ামী লীগ কার্যালয় এবং বসতঘর উচ্ছেদ করা হয়। 

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। ডিএনসিসি বলেছে, নির্দিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্য করে নয়, খাল ও সড়কের জায়গা দখলমুক্ত করতেই এ উচ্ছেদ অভিযান
 উচ্ছেদ অভিযানের খবর পেয়ে খাল ভরাট করে তৈরি বস্তিঘরের বাসিন্দারা ছাউনির টিন ও বাঁশ-কাঠ খুলতে শুরু করেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সেখানে সিটি করপোরেশনের ক্রেন আসে। ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহে আলম ও অঞ্চল-৫ এর নির্বাহী কর্মকর্তা মোতাকাব্বির আহমেদের উপস্থিতিতে অবৈধ স্থাপনা ভাঙা শুরু হয়। শুরুতে সাদিক এগ্রোর পেছেন রিকশা গ্যারেজ, বস্তিঘর ও আওয়ামী লীগ কার্যালয় উচ্ছেদ করা হয়। এর পর সাদিক এগ্রোর পশ্চিম অংশ ভাঙা হয়। 

ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোতাকাব্বির আহমেদ এ সময় সাংবাদিকদের বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে না। খালের জায়গা দখলমুক্ত করা হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখানে ঘর ভাড়া নিয়ে সাদিক এগ্রো খামার করেছে, ঘরের মালিক অন্য একজন। নোটিশ করার পরও তিনি শোনেননি। ফলে সাদিক এগ্রোর অফিসের কিছু অংশ ভেঙে দেওয়া হয়েছে।’ 

উচ্ছেদ অভিযানের সময় সাদিক এগ্রোর মালিক মো. ইমরান হোসেনকে দেখা যায়নি। পরে সমকালকে তিনি বলেন, ‘জনগণের স্বার্থে পরিবেশ রক্ষায় খাল উদ্ধার করা উচিত। উচ্ছেদ অভিযানকে স্বাগত জানাই। তবে সাদিক এগ্রো এই জমি বা ঘরের মালিক নয়, ভাড়াটিয়া। তাই উচ্ছেদ অভিযানে কিছু যায় আসে না, অন্য জায়গায় চলে যাব।’ 
এদিকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, ‘যখন যেটা নজরে আসে, তখন সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সব কাজ তো সরকার এক দিনে করতে পারে না। সাদিক এগ্রোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চলমান কার্যক্রমের অংশ।’

ইমরান হোসেন গবাদি পশু খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএফএ) সভাপতি। গত ঈদের আগে এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর রহমানের ছেলে মুশফিকুর রহমান ইফাত সাদিক এগ্রো থেকে ১২ লাখ টাকায় একটি ছাগল কেনার কথা ফেসবুকে জানালে তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। এ ঘটনার জেরে এনবিআরের পদ হারান মতিউর। 

আরও পড়ুন

×