খাল দখলমুক্ত না হলে জলাবদ্ধতা দূর করা যাবে না

খালের জমিতে সরকারি-বেসরকারি দখলদারদের আগ্রাসন বন্ধ না হলে রাজধানীর জলাবদ্ধতা পুরোপুরি দূর করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেছেন, জলাবদ্ধতা নিরসন করতে হলে খালগুলো পুনরুদ্ধার এবং স্থায়ীভাবে দখলমুক্ত রাখার কোনো বিকল্প নেই।

শনিবার বাংলামটরে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি) টাওয়ারে ঢাকা ইউটিলিটি রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ‘ঢাকার জলাবদ্ধতা দূরীকরণ এবং নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টিতে খাল পুনরুদ্ধারের ভূমিকা’ শীর্ষক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

মেয়র বলেন, জলাবদ্ধতা দূরীকরণে ভূমিদস্যুদের আগ্রাসন প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। ঢাকার পানি নিষ্কাশনের দায়িত্ব সিটি করপোরেশনকে হস্তান্তর করা ভালো সিদ্ধান্ত। এতে কাজ করা সহজ হয়েছে। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার সাড়ে তিন বছরের মধ্যে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছেন। এতে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার জলাবদ্ধতা ৭০ শতাংশ কমেছে। বাকি ৩০ শতাংশ দূর করতে কাজ করছেন। ২০২১ সালে ডিএসসিসি এলাকায় ১৬১টি স্থান চিহ্নিত করে ১৩৬টি স্থানে জলাবদ্ধতা নিরসন করা হয়েছে। নতুন করে ৫০টি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে।

সংলাপে দৈনিক ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, ‘দখলদাররা রাজনৈতিকভাবে খুবই শক্তিশালী। এজন্য তাদের রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে হবে। হাতিরঝিলের বিজিএমইএ ভবন ভেঙে জলাশয় উদ্ধার করা হলেও সেখানে আবার ভরাট করা হয়েছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের জন্য। তাহলে ভবনটা ভাঙা হলো কেন? পরিবেশবাদীরা আন্দোলন, মামলা করলেন– তারা কোথায়? সেই পরিবেশবাদীরা আবার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কনসালট্যান্ট।’

ইউটিলিটি রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মোল্লার সঞ্চালনায় ও সভাপতি ওবায়দুর রহমান মাসুমের সভাপতিত্বে সংলাপে আরও বক্তব্য দেন বিআইপির সাধারণ সম্পাদক শেখ মুহম্মদ মেহেদী আহসান, ডিএসসিসির ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম বাবুল, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর নার্গিস মাহতাব।