ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

কারফিউ জারির পর জনশূন্য রাজধানীর রাজপথ

কারফিউ জারির পর জনশূন্য রাজধানীর রাজপথ

সিএনজিচালিত কিছু অটোরিকশা ছাড়া সড়কে নামেনি বাস ও অন্যান্য গণপরিবহন। ছবি-সমকাল

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪ আগস্ট ২০২৪ | ২৩:১৪

সরকার সমর্থক এবং বিক্ষোভকারীদের রণহুংকারে আগের দিনই আশঙ্কা করা হয়েছিল, রোববার সহিংসতা হতে পারে। তা ঠেকাতে কোনো পক্ষ থেকেই উদ্যোগ ছিল না। বরং রণক্ষেত্রে পরিণত করা হয় রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকা। এতে শহরজুড়ে ছিল আতঙ্ক। সিএনজিচালিত কিছু অটোরিকশা ছাড়া সড়কে নামেনি বাস ও অন্যান্য গণপরিবহন। চলেছে হাতেগোনা কিছু রিকশা, মোটরসাইকেল। 

রাজধানীর চারটি আন্তঃজেলা টার্মিনালের একটি থেকেও ছাড়েনি দূরপাল্লার বাস। বন্ধ ছিল সব ধরনের ট্রেন চলাচল। চলেনি লঞ্চ। সন্ধ্যা ৬টায় কারফিউ জারির পর জনশূন্য হয়ে পড়ে রাজধানীর রাজপথগুলো। 

যারা একান্ত প্রয়োজনে রোববার পথে নেমেছিলেন, যানবাহন সংকটে তারা পড়েন চরম দুর্ভোগে। বিকেল সাড়ে ৫টায় অফিস-আদালত ছুটির পর সড়কে কর্মজীবীর ঢল নামে। রাজধানীর কাকরাইলে দেখা যায়, ছয়-সাতজন একসঙ্গে ভ্যানে করে যাচ্ছেন গন্তব্যে। সে সময় সড়কে ছিল লাঠি হাতে তরুণের ভিড়।

এর আগে ৫টার দিকে হাইকোর্ট মোড় এলাকায় দেখা যায়, অফিস শেষে বাড়ির পথ ধরা সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কমর্চারীদের গাড়িতে হামলা হয়। সরকার পতনের এক দফা দাবিতে অসহযোগ আন্দোলনে নামা বিক্ষোভকারীরা শাহবাগে অবস্থান নেওয়ায় সেদিক দিয়ে না গিয়ে কর্মজীবীরা কাকরাইল হয়ে ঘুরে যান। কিন্তু যানবাহন না থাকায় অধিকাংশ মানুষ হেঁটে যাচ্ছিলেন। যে অল্প কিছু রিকশা চলছিল, তাতেই ছিল কয়েক গুণ ভাড়া। সচিবালয়ের কর্মকর্তা আজিজুল হক বলেন, ‘কলাবাগানের রিকশা ভাড়া ৩০০ টাকা চাইছে।’

রাজধানীর অন্যতম প্রধান দুই সড়ক কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ, সাতমসজিদ সড়ক রোববার ভরদুপুরেও ছিল প্রায় যানবাহনশূন্য। মোড়ে মোড়ে ছিল আওয়ামী লীগ নেতাদের সশস্ত্র অবস্থান। ইটপাটকেল, লাঠি নিয়ে বিক্ষোভকারীরাও ছিল কিছু মোড়ে। 

আরও পড়ুন

×