গণপরিবহন

আগের দিনগুলোর মতো গতকাল সোমবারও নিজস্ব স্বার্থসংশ্লিষ্ট দাবিতে রাজধানীতে আন্দোলন করে শ্রমিক, শিক্ষক, শিক্ষার্থীরাসহ বিভিন্ন গোষ্ঠী। এতে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ। 

ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে বাসভাড়া কমিয়ে ৪৫ টাকা নির্ধারণ এবং এ রুটে শিক্ষার্থীদের অর্ধেক ভাড়া বাস্তবায়নের দাবিতে রোববার নারায়ণগঞ্জ শহরে আধাবেলা হরতালের ঘোষণা দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ যাত্রী অধিকার ফোরামের আহ্বায়ক রফিউর রাব্বি। এ দাবিতে ২৯ অক্টোবর থেকে টানা কর্মসূচির চলছিল। শুক্রবার বিকেলে শহরের চাষাঢ়ায় নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশে এই কর্মসূচির কথা জানান তিনি। 

রাজধানীর গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাতে উদ্যোগ নেওয়া নগর পরিবহন আবারও ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।

যান্ত্রিক ত্রুটি সারিয়ে চলাচলের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে মেট্রোরেলের মতিঝিল অংশকে।

সরকার সমর্থক এবং বিক্ষোভকারীদের রণহুংকারে আগের দিনই আশঙ্কা করা হয়েছিল, রোববার সহিংসতা হতে পারে।

কারফিউ শিথিলের মধ্যে গতকাল বুধবার থেকে খুলেছে সরকারি-বেসরকারি দপ্তর। এতে সাধারণ যাত্রীর সঙ্গে রাস্তায় বেড়েছে অফিসগামী মানুষের সংখ্যা। তবে সেই অনুপাতে দেখা মেলেনি গণপরিবহনের। কারফিউ পুরোপুরি তুলে না নেয়া এবং আন্দোলন সংক্রান্ত শঙ্কা থেকে এখনই রাস্তায় গাড়ি নামানোর ঝুঁকি নিচ্ছেন না অধিকাংশ পরিবহন কর্তৃপক্ষ।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার পর রঙচটা ও লক্করঝক্কর বাসে বিরুদ্ধে কঠোর হতে যাচ্ছে সরকার। আগামী ১ জুন থেকে রাজধানী ঢাকায় এ ধরনের বাস চলতে পারবে না। ৩১ মের মধ্যে ভাঙাচোরা সব বাস মেরামত করতে হবে। ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সঙ্গে বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। 

রাজধানীর গণপরিবহনে লক্করঝক্কর বাস সরকারের গাফিলতিতে চলছে কিনা এ প্রশ্নে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এখানে গাফলতির কী আছে? আমি কি গাড়ি রঙ করব নাকি? লক্কর-ঝক্কর বাস যখন বন্ধ করব, তখন সাংবাদিকরা সবার আগে বিক্ষোভ দেখাবেন। তারাই বলবেন, জনগণ অপেক্ষা করে আছে, রাস্তায় হাজার হাজার মানুষ-গাড়ি নেই, গণপরিবহন নেই। এটা করলেও দোষ, ওটা করলেও দোষ।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, গণপরিবহনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের সকল ফোরামে মালিক সমিতি ও শ্রমিক সংগঠনগুলোকে রাখা হলেও যাত্রী প্রতিনিধি রাখা হয় না। ক্ষমতায় আসলে কি কি পদক্ষেপ নেওয়া হবে তা যেন নির্বাচনী ইশতেহারে থাকে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে আমরা সেই দাবি জানাই।

পরিবার পরিজন নিয়ে আসা শাহেদ জানান, ‘আমগোর এসব অবরোধ মানলে চলব না। কাজ করে খাওন লাগে। ঢাকায় ছিলাম কামে, বাড়ি গিয়ে আবার কামলা দিমু। কোন সরকার আইলো গেল, কেডা এখন অবরোধ দিলো- এসব দেখনের সময় নাই আমগোরে।’