উত্তরায় পার্ক বন্ধের প্রতিবাদ বৈষম্যবিরোধী মায়েদের

রাজধানীর উত্তরার ১৩ নম্বর সেক্টরে পার্ক বন্ধের প্রতিবাদে রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করেছেন মায়েরা। বৃহস্পতিবার সকালে পার্কের সামনে ‘বৈষম্যবিরোধী মায়েদের ডাক’ ব্যানারে সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।

মায়েদের অভিযোগ, তারা অনেক চেষ্টা করেও উত্তরা ১৩ নম্বর ওয়েলফেয়ার সোসাইটির এই পার্কের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। এমনকি পার্ক পরিচালনা কমিটির কাউকে মোবাইলফোনেও পাওয়া যাচ্ছে না।  

তারা আরও বলেন, আমরা প্রায়ই শিশু-বাচ্চাদের নিয়ে পার্কে যাই। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে পার্কটি বন্ধ থাকে। সকাল ৬টার পর দুই-তিন ঘণ্টার জন্য পার্কটি খোলা হলেও সারাদিনই বন্ধ থাকে। এতে বাবা-মা’রা শিশু-সন্তানদের নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। দ্রুত পার্কটি সর্বসাধারণের জন্য সব সময় খোলা রাখার ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় আরও কঠোর কর্মসূচি দেব।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে উত্তরা অভিভাবকদের সংগঠক ও রাবির সাবেক নেত্রী মনীষা মাফরুহা বলেন, উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরে তিনটা পার্ক রয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে পার্কগুলো একটা নিদিষ্ট সময় পর্যন্ত খোলা রাখে। এই সেক্টরে প্রায় আটটা স্কুল। প্রতিদিন মায়েরা সকালে একটা বাচ্চাকে স্কুলে দিয়ে অপেক্ষা করেন। যার দুইটা বাচ্চা তাদের দুই শিফট হওয়ায় মায়েরদের অপেক্ষা করতে হয়। তখন মায়েরা পার্কে অপেক্ষা করেন। এছাড়া বাচ্চারা ক্লাস শেষে মাঠে খেলে বাসায় ফেরে। কিন্তু সেক্টর সমিতিতে বারবার মৌখিক ও লিখিতভাবে মাঠ খোলার বিষয়ে জানানো হলেও তারা কর্ণপাত করেনি। উল্টো খারাপ ব্যবহার করেছে। বলে ‘ বাচ্চারা মাঠ নোংরা করে, মহিলারা এখানে সারাদিন বসে থাকে, বাসায় কাজ করে না, অন্য সেক্টরের মানুষ এখানে বসতে পারবে না।

তিনি আরও বলেন, আজ ‘বৈষম্যবিরোধী মায়েদের ডাক’ ব্যানারে সন্তানদের নিয়ে মায়েরা কর্মসূচি পালন করেছেন। মাঠ বন্ধ তাই রাস্তায় বাচ্চারা খেলেছে। সবার দাবি অবিলম্বে সেক্টরের মাঠ সবসময় খোলা রাখতে হবে।

নিলুফা নামে এক মা অভিযোগ করেন, সবার জন্য পার্ক বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হলেও পরিচালনা কমিটির সদস্য এবং তাদের পরিবারে সদস্য ও সন্তানদের জন্য পার্কটি সারাদিনই উন্মুক্ত থাকে। এর ফলে পার্কে আসা অন্য শিশু-সন্তানদের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানার জন্য উত্তরার ১৩ নম্বর সেক্টর ওয়েলফেয়ার সোসাইটির পার্ক পরিচালনা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জি এম শামসুল হুদাকে মোবাইলফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। এছাড়া পার্কের অফিসের নম্বরে কল করেও কাউকে পাওয়া যায়নি।