সাত দফা দাবিতে পল্লী বিদ্যুৎ কর্মীদের কর্মবিরতি, শহীদ মিনারে অবস্থান

ছবি-সমকাল
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৭ মে ২০২৫ | ১৯:৩৭
অভিন্ন চাকরি বিধি বাস্তবায়ন, হয়রানি বন্ধ ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ সাত দফা দাবিতে সারা দেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মবিরতিতে গেছেন।
মঙ্গলবার সকাল থেকে কর্মসূচির অংশ হিসেবে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে হাজারো কর্মকর্তা-কর্মচারী রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। এটি আন্দোলনের সপ্তম দিন। এর আগে সোমবার বিকাল সাড়ে ৫টায় শহীদ মিনারে এক সংবাদ সম্মেলনে কর্মসূচির ঘোষণা দেন বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম।
এর আগে গত ২১ মে সকাল থেকে এই কর্মবিরতি শুরু হয়। কর্মবিরতিতে গেলেও বিদ্যুৎ সেবা চালু রয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।
আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, কর্মবিরতি চলাকালে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও নতুন সংযোগ প্রদান ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে তারা অংশ নেবেন না। সেইসঙ্গে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি)-এর কোনো দাপ্তরিক কার্যক্রমেও সহযোগিতা করবে না সমিতির কর্মীরা।
সারা দেশের গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে সরকারি বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা আরইবি-র অধীনস্থ ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। এসব সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরেই সাত দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। চলমান কর্মসূচি বাস্তবায়নে ২১ মে থেকে ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি পালন শুরু করেন তারা।
আন্দোলনকারীদের সাত দফা দাবিগুলো হলো—
প্রথমত, কর্মপরিবেশ অস্থির করে তোলায় এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে আরইবি চেয়ারম্যানকে অপসারণ করতে হবে। দ্বিতীয়ত, পল্লী বিদ্যুৎ ও আরইবি-র মধ্যে এক ও অভিন্ন চাকরি বিধি বাস্তবায়নের মাধ্যমে এই দুই প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম একীভূত করতে হবে অথবা অন্যান্য বিতরণ সংস্থার ন্যায় পুনর্গঠন করতে হবে। তৃতীয়ত, মিটার রিডার কাম মেসেঞ্জার, লাইন শ্রমিক এবং পৌষা কর্মীদের চাকরি নিয়মিত করতে হবে।
চতুর্থত, মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার করতে হবে এবং যারা চাকরিচ্যুত হয়েছেন, তাঁদের স্বপদে পুনর্বহাল করতে হবে। পঞ্চমত, লাইনক্রুসহ সকল কর্মীর হয়রানি ও শাস্তিমূলক বদলি বাতিল করতে হবে এবং বরখাস্ত ও সংযুক্ত কর্মীদের দ্রুত পদায়ন দিতে হবে।
ষষ্ঠত, জরুরি সেবায় নিয়োজিত কর্মীদের জন্য আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী নির্ধারিত কর্মঘণ্টা বা শিফটিং ডিউটি বাস্তবায়ন করতে হবে এবং জনবলের ঘাটতি পূরণ করতে হবে। সপ্তমত, পূর্ণাঙ্গ সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত একটি অন্তর্বর্তীকালীন বোর্ড গঠন করে সমিতিগুলোর কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। তবে গ্রাহকদের সেবা যেন ব্যাহত না হয়, সে জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল রেখেই তারা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
- বিষয় :
- পল্লী বিদ্যুৎ
- শহীদ মিনার