ডিএসসিসির ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান: ১৯ মামলা, ২ জনের কারাদণ্ড

সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ | ২০:৪৫
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, অবৈধ ক্যাবল অপসারণ ও এডিস মশার প্রজননস্থল শনাক্তকরণে ভ্রাম্যমাণ আদালতগুলোর অভিযান চলমান রয়েছে।
মঙ্গলবার অভিযানের ২১তম দিনে নিয়মিত উচ্ছেদ কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় নগর ভবনের সামনের রাস্তা, ফুলবাড়িয়া ফ্লাইওভারের নিচে, বিআরটিসি বাস কাউন্টারের সামনে, নগর ভবনের পেছনের সাইডে ফুটপাথের উপরে, ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে এবং বেইলিরোড হতে রাজারবাগ হয়ে মালিবাগ মোড় পর্যন্ত অবৈধ স্থাপনা-দোকানপাট উচ্ছেদ এবং অবৈধ ক্যাবল অপসারণ করা হয়েছে।
ডিএসসিসি'র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ নগর ভবনের সামনের রাস্তা, ফুলবাড়িয়া ফ্লাইওভারের নিচে, বিআরটিসি বাস কাউন্টারের সামনে, নগর ভবনের পেছনের সাইডে ফুটপাথের উপরে এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ ও ইলেকট্রিক পোল হতে অবৈধ কেবল অপসারণ করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত ফুলবাড়ীয়ায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে গেলে আব্দুল কাদের নামে এক ব্যক্তি তাতে বাধা দেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত সরকারি কাজে বাঁধা দান করায় দণ্ড বিধি ১৮৬০ এর ১৮৬ ধারা অনুযায়ী তাকে ৮ দিনের জেলের দণ্ডাদেশ দেন। একই সাথে ভ্রাম্যমাণ আদালত নগর ভবনের সামনের রাস্তা ও ফুটপাতে অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করতে গেলে মো. রুবেল নামের এক ব্যক্তি তা অমান্য করেন। পরে ইরফান উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে সরকারি নির্দেশ অমান্য করায় দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৮৮ ধারা মোতাবেক ৭ দিনের জেলের আদেশ দেন। এছাড়াও ইরফান উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত প্রায় শতাধিক অবৈধ স্থাপনার দোকানপাট উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে ফুটপাত দখলমুক্ত করেন। মাস্ক না পরাসহ বিভিন্ন অপরাধে আরও ৪টি মামলা দেন এবং নগদ ২ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন।
একই সময়ে ডিএসসিসি'র সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত বেইলিরোড থেকে রাজারবাগ হয়ে মালিবাগ মোড় পর্যন্ত অবৈধ স্থাপনা ও দোকানপাট উচ্ছেদ এবং অবৈধ ক্যাবল অপসারণে অভিযান পরিচালনা করেন।
মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত এ সময় ২০টি ইলেকট্রিক পোল থেকে সকল অবৈধ ক্যাবল অপসারণ ও অর্ধ শতাধিক অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করে ফুটপাত দখলমুক্ত করেন। এ সময় তিনি সিটি কর্পোরেশন (স্থানীয় সরকার) আইন, ২০০৯ এর ৭ ধারা মোতাবেক ৭টি মামলা দায়ের ও ৫ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন।
এদিকে মশার প্রজননস্থল শনাক্তকরণে কর্পোরেশনের ২টি ভ্রাম্যমাণ আদালত অঞ্চল-৩ ও ৬ এ অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রেখেছেন। অঞ্চল-৩ এর হাজারীবাগ এলাকায় কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিতান কুমার মন্ডল ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় তিনি ৪টি স্থাপনা পরিদর্শন করে চারটি স্থাপনাতেই এডিস মশার লার্ভা দেখতে পান। অভিযানকালে ভ্রাম্যমাণ আদালত ২টি মামলায় নগদ ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
অঞ্চল-৬ এর ৭৪ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম নন্দীপাড়া এলাকায় কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাজমুল আহসানের নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত ৪টি স্থাপনা পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি ৪টি স্থাপনাতেই এডিস মশার লার্ভা দেখতে পান। অভিযানকালে তিনি ৪টি মামলা দায়ের ও নগদ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
এডিস মশার লার্ভা ও মশার প্রজননস্থল শনাক্তকরণে কর্পোরেশন পরিচালিত ২ ভ্রাম্যমাণ আদালত ৪৫টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ৬টি মামলা দায়ের ও নগদ ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
- বিষয় :
- উচ্ছেদ
- ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন