ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

নকল-আসল চেনা উপায় নেই

জাল টাকা তৈরি চক্রের ৯ সদস্য গ্রেপ্তার

জাল টাকা তৈরি চক্রের ৯ সদস্য গ্রেপ্তার

বৃহস্পতিবার রাজধানীর জুরাইনে নকল টাকার কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে- ফোকাস বাংলা

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ | ১১:১৯

জাল টাকা এবং ভারতীয় জাল রুপি তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাজধানীর জুরাইনে নকল টাকার কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

ডিবি বলছে, চক্রের সদস্যরা এর আগেও বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার হয়েছিল। জামিনে বেরিয়ে আবার একই কাজে যুক্ত হয় তারা। বিভিন্ন উৎসবকে সামনে রেখে ঢাকাসহ সারাদেশে তারা জাল টাকা সরবরাহ করে। এবার তাদের টার্গেট ছিল- আসন্ন থার্টিফার্স্ট নাইট এবং নববর্ষ। এ উপলক্ষে তারা বিপুল পরিমাণ জাল নোট ও জাল রুপি তৈরি করছিল বাজারে সরবরাহের জন্য। নকল নোট এমন সূক্ষ্ণভাবে তৈরি করে যে, তা দেখে নকল বোঝার উপায় থাকে না। যে কারণে সহজেই চক্রটি বাজারে মানুষের কাছে নকল টাকা ছড়িয়ে দিতে পারে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলো- জাকির হোসেন, বাদল খান, জাহাঙ্গীর আলম, জসিম উদ্দিন, মালেক ফরাজী, শিহাব, ওবায়দুল, জামাল ও একজন নারী। জাকির হোসেন এই চক্রের অন্যতম হোতা। গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ২০ লাখ ভারতীয় জাল রুপি, ৩২ লাখ জাল টাকা, বিপুল পরিমাণ জাল মুদ্রা তৈরির বিশেষ ধরনের কাগজ, নিরাপত্তা সুতা, প্রিন্টারসহ জাল টাকা তৈরির বিভিন্ন উপকরণ জব্দ করা হয়। এসব উপকরণ দিয়ে আরও কয়েক কোটি জাল টাকা ও রুপি তৈরি করা সম্ভব। তাদের কাছ থেকে চার লাখ পাঁচ হাজার আসল টাকাও উদ্ধার করা হয়। এই টাকা তারা জাল নোটের বিনিময়ে পেয়েছিল। জব্দ করা জাল টাকার মধ্যে এক হাজার ও পাঁচশ টাকা মূল্যমানের নোট এবং জাল রুপির মধ্যে পাঁচশ রুপির জাল নোট রয়েছে।

ডিবি জানিয়েছে, জুরাইনের শহীদ শাহাদত হোসেন রোডের একটি বাসা ভাড়া নিয়ে চক্রটি জাল নোট তৈরি করে আসছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবির গুলশান বিভাগ গতকাল ওই বাসায় অভিযান চালায়। গ্রেপ্তার হওয়াদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ডজনখানেক মামলা রয়েছে। আসামি জাকির ২০১৯ সালে স্ত্রী এবং অপর সহযোগীসহ গ্রেপ্তার হয়েছিল। জাকির জাল টাকা ও রুপি তৈরির বিষয়ে বিশেষজ্ঞ। ওবায়দুল ও জসিম জাল টাকা তৈরির কারখানায় বিশেষ কাগজ, নিরাপত্তা সুতা তৈরি এবং অন্য কাজ করত। বাদল ঢাকা, সাভার ও মানিকগঞ্জের পাইকারি ডিলার। শিহাব রাজধানীর পাইকারি ডিলার। সাগর নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরের ডিলার। জামাল বরিশালসহ দক্ষিণ অঞ্চলে জাল নোট সরবরাহকারীদের মূল হোতা। চক্রটি শক্তিশালী নেটওয়ার্কের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জায়গার খোলাবাজার, বিপণি বিতান, যানবাহনের চালক ও হেলপারদের বিভিন্ন কৌশলে ধোঁকা দিয়ে জাল টাকা সরবরাহ করে। ঢাকা ছাড়াও তারা বাগেরহাট, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে জাল টাকা তৈরি করত।


আরও পড়ুন

×