ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

তামাক নিয়ন্ত্রণে আইন সংশোধনের দাবি

তামাক নিয়ন্ত্রণে আইন সংশোধনের দাবি

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২১ | ০৫:১৯

তামাক নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হলেও ধূমপানমুক্ত পরিবেশ এবং বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধের ক্ষেত্রে এখনও সর্বোত্তম মান অর্জন করা যায়নি। এজন্য বর্তমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন জরুরি। গত বৃহস্পতিবার রাজধানীতে ঢাকা আহ্‌ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের প্রধান কার্যালয়ে 'তামাকমুক্ত বাংলাদেশ ২০৪০ গঠনে গণমাধ্যমের ভূমিকা ও করণীয়' শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।

সভায় ক্যাম্পেইন ফর টোবাকো ফ্রি কিডস বাংলাদেশের গ্র্যান্টস ম্যানেজার আবদুস সালাম মিয়া বলেন, 'বিশ্বজুড়ে মৃত্যুর প্রধান আটটি কারণের ছয়টির সঙ্গেই তামাক জড়িত। বাংলাদেশে প্রতিবছর এক লাখ ৬১ হাজারেরও বেশি মানুষ তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারজনিত রোগে মারা যান। অথচ এটি নিয়ে আমরা ততটা উদ্বিগ্ন নই।'

ঢাকা আহ্‌ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের সহকারী পরিচালক ও প্রকল্প সমন্বয়কারী (তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প) মো. মোখলেছুর রহমানের বলেন, '২০১৩ সালে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনী আনা হয় এবং এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সালে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়। তবে আইনের কিছু জায়গায় দুর্বলতা রয়েছে। নতুন হুমকি ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করার বিষয়ে আইনে কিছু বলা নেই।'

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাভিশনের সিনিয়র নিউজ এডিটর রুহুল আমিন রুশদ, ক্যাম্পেইন ফর টোবাকো ফ্রি কিডস বাংলাদেশের কমিউনিকেশনস অফিসার সরকার শামস বিন শরীফ, ঢাকা আহ্‌ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার শারমিন রহমান প্রমুখ।

সভায় বক্তারা বলেন, বর্তমান আইনে গণপরিবহন ও রেস্তোঁরার ক্ষেত্রবিশেষে ধূমপানের সুযোগ রাখা হয়েছে। এ ছাড়া বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকজাত দ্রব্য প্রদর্শন, খুচরা শলাকা বিক্রি ও তামাক কোম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচি নিষিদ্ধ করা হয়নি। তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কের আকার নির্ধারণ না করায় সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তা কার্যকর ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে বলে মনে করেন বক্তারা।

আরও পড়ুন

×