দৈনিক সমকাল ও সমকালীন সৌকর্য

ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী
প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২০ | ২৩:৪৮ | আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২০ | ০৬:৪০
সভ্যতার প্রণিধানযোগ্য অবদান হচ্ছে মানবসৃষ্ট মানবিক সৃজনশীলতা। জ্ঞানাঙ্কুর মনন পরিচর্যার সার্থক রূপায়ণ কৃষ্টি-ঐতিহ্য-সংস্কৃতির চন্দ্রোদয় অবগাহনে পরিপুষ্ট। বৃদ্ধিবৃত্তিক সমাজের পরিশীলিত গবেষণায় প্রাপ্ত নবতর আবিস্কার ও অভিজ্ঞতার চারণভূমি আধুনিক এই ধরিত্রী। জীবনপ্রবাহের নৈর্ব্যক্তিক গতিশীলতা ও জনমুখী আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক-অসাম্প্রদায়িক বিকাশমানতায় গণমাধ্যমের চিরায়ত ভূমিকা নিরন্তর প্রশংসিত ও সমাদৃত। এটি সর্বজনবিদিত যে, সামষ্টিক প্রকৃতি, মাত্রিকতা ও কার্যপদ্ধতি-পরিধি অবশ্যই ব্যক্তিমানস থেকে স্বতন্ত্র। এমিল ডুর্খেইম ও উইলিয়াম ম্যাকডোগালের মতো অনেক খ্যাতিমান সমাজ-মনোবিজ্ঞানীর মতানুসারে; ব্যক্তিহৃদয়ের যৌগিক ফলাফল হচ্ছে সমষ্টিগত মনন-মানসিকতা। এর পেছনে অনবদ্য বৈশিষ্ট্য হিসেবে ক্রিয়াশীল ভাব ও বস্তুর পরিবর্তনশীল সামঞ্জ্যপূর্ণ মিথস্ট্ক্রিয়া।
মনীষী কার্ল মার্কসের ধারণা অনুযায়ী; প্রতিটি শ্রেণি সমাজে উৎপাদন শক্তির অনিবার্য বিকাশ পুরোনো উৎপাদন সম্পর্ককে অতিক্রম করে নতুন উৎপাদন সম্পর্কের আবির্ভাব ঘটে। অতীত-বর্তমান সম্পর্কের দ্বান্দ্বিক অনতিক্রম অধ্যায় রচনা করে প্রাগ্রসর উদ্ভাবনী ভবিষ্যৎ। একই ধারাবাহিকতায় নানামুখী বৈচিত্র্য বৈশিষ্ট্য ও মনস্তাত্ত্বিক বিশ্নেষণে গণমাধ্যম যুগোপযোগী সংবাদ পরিবেশন ও প্রয়োজনীয় সংস্কারের পন্থা তৈরি করে। সমান্তরাল ও অনুভূমিক সামাজিক সঞ্চালনের চলমান প্রক্রিয়ায় স্বাধীন বাংলাদেশে গণমাধ্যমসমূহ ইতি-নেতিবাচক যৌক্তিক মত প্রকাশে নাগরিক সমাজকে নিরন্তর সম্পৃক্ত করার সক্ষমতা অর্জন করেছে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, কথিত বিপুল প্রচার সংখ্যায় নয়; প্রকৃতপক্ষে নীতি-নৈতিকতা ভিত্তিক এবং গণমাধ্যম-সাংবাদিকতার যথার্থ নিয়ম-বিধি-বিধান সমুন্নত রেখে পত্রিকা পরিচালনার কার্যকর বাস্তবায়নের অনন্য দৃষ্টান্ত দৈনিক সমকাল। হাতেগোনা কয়েকটি উঁচুমার্গের সুনাম ও মর্যাদায় অভিষিক্ত পাঠক নন্দিত পত্রিকা হিসেবে সমকাল অন্যতম অগ্রগণ্য অবস্থানে রয়েছে।
আমার এই বিশ্বাসটুকু ইতিমধ্যে গাঢ় হয়েছে যে, সমকাল পত্রিকা কোনো আপসকামিতা বা সামাজিক অসংগতিকে অবজ্ঞা করে নয়; স্বকীয় সত্তায় তৃণমূল পর্যায় থেকে সর্বোচ্চ কেন্দ্র পর্যন্ত সব ধরনের সংবাদ সংগ্রহ-প্রচার এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিত্বে তাৎপর্যপূর্ণ সম্পাদকীয়-উপসম্পাদকীয়-কলাম-মতামত ইত্যাদি পরিবেশন করে সমকালীন সৌকর্যকে যথাযথ জ্ঞাপিত করেছে। অবৈধ-অনৈতিক দুর্বৃত্তায়নে তথাকথিত জনপ্রিয় ব্যক্তি-গোষ্ঠী পরিচালিত দুই একটি পত্রিকা সৎ ও যোগ্য ব্যক্তির চরিত্র হনন বা বিতর্কিত করার কুৎসিত বাণিজ্য পরিহারে সমকাল পরিপূর্ণভাবে ব্যতিক্রম দৈনিক, নিঃসন্দেহে তা বলা যায়।
বস্তুতপক্ষে সংবাদ মাধ্যম এবং সাংবাদিকতা সম্পূরক ও পরিপূরক এবং বহুমাত্রিক অর্থে প্রচলিত প্রত্যয় হিসেবে নৈয়মিক গ্রহণযোগ্য উপাদান। যদিও সংবাদ পরিবেশনায় তথ্য সংগ্রহ, তথ্য বিশ্নেষণ, সম্পাদনা ও প্রকাশ ইত্যাদি বিষয় প্রাচীনকাল থেকেই প্রায়োগিক বিষয়রূপে ঐতিহাসিকভাবে মানুষের প্রাত্যহিক জীবনে নানা অনুষঙ্গের সঙ্গে সম্পৃক্ত, প্রাচীন ভারতেও তার যথেষ্ট উদাহরণ রয়েছে। সম্রাট অশোকের আমলে বিভিন্ন আদেশ-নির্দেশ পাথর ও স্তম্ভে খোদিত হয়ে রাজ্যের সর্বত্র তথ্য বা প্রজ্ঞাপনরূপে প্রচারিত হতো। সে সময় দেশ-বিদেশ থেকে তথ্য সংগ্রহের কাজে গুপ্তচরও নিয়োগ করার প্রচলন ছিল। সুলতানি আমলে 'বারিদ-ই-মামালিক' (গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ) রাজ্যের তথ্য সংগ্রহ ও সরবরাহের দায়িত্ব পালন করতেন। সুলতান আলাউদ্দিন খলজির আমলে তা ছিল অধিকতর বিস্তৃত। মুগল আমলে 'ওয়াকই-নবিশ', 'সাওয়ানিহ-নবিশ' এবং 'খুফিয়ানবিশ' নামক সংবাদ নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠান হিসেবে সক্রিয় ছিল। এ ছাড়া 'হরকরা', 'আকবর-নবিশ' নামে তথ্য সরবরাহের বিভিন্ন ব্যবস্থাও ছিল। সামাজিক, সাংস্কৃতিক খবরাখবর সরবরাহের জন্য ভাট, কথক ও নরসুন্দর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করত।
অষ্টাদশ শতাব্দীর ইউরোপে আধুনিক সাংবাদিকতার উন্মেষ হলেও উপনিবেশ হওয়ার কারণে এশিয়ার অন্য অঞ্চলের চেয়ে বাংলায় এর প্রভাব অধিকতর দ্রুততার সঙ্গে প্রসার লাভ করে। শ্রীরামপুরের ব্যাপ্টিস্ট মিশন জে সি মার্শম্যান সম্পাদিত ১৮১৮ সালের এপ্রিলে প্রকাশিত 'দিগ্দর্শন' ছিল প্রথম বাংলা সাময়িকপত্র। একই বছর মে মাসে জয়গোপাল তর্কালঙ্কার, তারিণীচরণ শিরোমণি প্রমুখের সম্পাদনা সহায়তায় মার্শম্যান সম্পাদিত 'সমাচার দর্পণ' প্রকাশিত হয়। একই সময়ে বাঙালি সম্পাদক ও মালিক হরচন্দ্র রায় কর্তৃক 'বাঙ্গাল গেজেট' নামক প্রথম বাংলা সাপ্তাহিক প্রকাশের সূচনা ঘটে। সংবাদ পরিবেশন ও জ্ঞান-বিজ্ঞানের আলোচনায় এসব প্রকাশনা সীমাবদ্ধ থাকলেও বাংলা গদ্য, প্রবন্ধ ইত্যাদিও এর মধ্যে সমৃদ্ধি লাভ করে।
প্রকৃতপক্ষে ১৮৩১ সালে ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত সম্পাদিত সাপ্তাহিক 'সংবাদ প্রভাকর'-ই ছিল বাঙালিদের কাছে উল্লেখযোগ্য সংবাদপত্র। নতুন লেখক সৃষ্টির মাধ্যমে গদ্যরীতির পরিবর্তন এবং নতুন সাহিত্য সৃজনের ক্ষেত্রে এর ভূমিকা প্রমুদিত বিঘোষণ। উল্লেখ্য যে, ১৮৫৭ থেকে ১৯০৫ পর্যন্ত তৎকালীন পূর্ববঙ্গে ৭৬টি সংবাদপত্র ও ১৬২টি সাময়িকপত্র প্রকাশ পেলেও অখণ্ড বাংলায় এই দুটির সমন্বয়ে মোট প্রকাশনা ছিল ৯০৫টি। ১৮৫৭ সালে নভেম্বরে কলকাতা থেকে প্রকাশিত 'সোমপ্রকাশ' পত্রিকায় সমসাময়িক রাজনীতি, সমাজ, অর্থনীতি এবং প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো বাঙালি মধ্যবিত্ত সমাজে রাজনৈতিক চেতনার সঞ্চারণে বিশেষ ব্যঞ্জক। পূর্ববঙ্গের ঢাকা বা অঞ্চলভিত্তিক পত্রিকা প্রকাশ পেলেও এদের প্রচার সংখ্যা ছিল খুবই সীমিত। ১৮৬৩ সালের সরকারি হিসেব অনুযায়ী ঢাকা নিউজ, ঢাকা প্রকাশ, ঢাকা দর্পণ এবং হিন্দু হিতৈষিণীর প্রচার সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৩০০, ২৫০, ৩৫০ এবং ৩০০ কপি।
সমাজ-সভ্যতার ক্রমবিকাশের ধারায় অতীতের যে কোনো উৎপাদন ব্যবস্থার তুলনায় আধুনিক পুঁজিবাদ ও বিশ্বায়নের যুগে সমাজের সার্বিক পরিবর্তনে সংবাদমাধ্যমের বিশাল ইতিবাচক ভূমিকা অধিকতর তাৎপর্যপূর্ণ। ভিন্ন আঙ্গিক ও প্রেক্ষাপটে স্বরূপ প্রকাশের ভিন্নতা থাকা সত্ত্বেও আধুনিক ও উত্তর-আধুনিক কালে অবাধ তথ্যপ্রবাহের ক্ষেত্রে এর বহু মাত্রিকতা গুরুত্ব সহকারে পর্যালোচনার দাবি রাখে। এই যুগ সন্ধিক্ষণে সংবাদমাধ্যম বিশেষ করে সংবাদপত্রের প্রচার ও প্রসারে বিষয়বস্তু নির্বাচন, প্রযুক্তিগত কৌশল, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য, বিপণন ব্যবস্থা সকল কিছুই উদ্দিষ্ট জনগোষ্ঠীকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হচ্ছে।
বিখ্যাত যোগাযোগ বিজ্ঞানী উইলিয়াম গর্ডন বলেন, পাবলো পিকাসোর চাইতে বড় মাপের চিত্রশিল্পী হয়েও ওলফগ্যান্গ মজার্ট শিল্পবিপ্লব বা আধুনিক গণমাধ্যম প্রসার যুগের আগে জন্মেছিলেন বলেই অতি কষ্টে তাকে জীবনধারণ করতে হয়েছিল, অথচ প্রচার যুগের বিশেষত্বের কারণে পিকাসো খ্যাতি লাভ করে একটি মাত্র 'স্থির জীবনচিত্র'র বিনিময়ে ফ্রান্সের দক্ষিণে একটি বাড়ি কিনতে সক্ষম হয়েছিলেন। এদেশের এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন, কামরুল হাসান, কাইয়ুম চৌধুরী, এস এম সুলতান বা কিবরিয়া স্যারের নাম স্মরণযোগ্য।
পত্রিকা প্রচারণার ক্ষেত্রে যেসব উল্লেখ্য নিয়ামক সবল দিকসমূহ নির্দেশনা করে- যেমন, শিক্ষিতের সংখ্যা বৃদ্ধি, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার, নগরায়ণ ও শিল্পায়নের বিকাশ, রাজনৈতিক গতিশীলতা, সহনশীলতা, নান্দনিকতা, শিল্প-সাহিত্য-নাটক-গদ্য-কবিতা-নৃত্য-গান ও নীতি আদর্শের প্রচার তথা সুস্থ-সুন্দর দেশ ও জাতি নির্মাণ এবং দেশপ্রেমে গণমানুষের সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে একটি সুখী-সমৃদ্ধ, মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক সমাজ বিনির্মাণে আলোকিত জীবন ধারণা ও ভাবনায় সকলকে একীভূত করার চিত্র আমাদের জন্য তেমন সুখকর নয়।
স্বাধীন বাংলাদেশে দৈনিক সমকালের মতো প্রখর মানদণ্ডের পত্রিকা প্রকাশ অবশ্যই দুরূহ উদ্যোগ বটে। তবুও গণতান্ত্রিক আদর্শের ভিত্তি বা সাম্য-স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের পরিমণ্ডলকে বিভেদ-বিচ্ছেদ-সংঘাতমুক্ত করে সকল দল-মতের আনুষাঙ্গিক সমীকরণে সমকালের সফলতা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। জাতীয় ধন-মানব সম্পদ ও নানাবিধ সরকারি-বেসরকারি সুযোগকে প্রণোদিত করে অবাধ বাণিজ্যনীতি অনুসৃত করার মধ্যে সংবাদপত্রের অস্তিত্ব সুদৃঢ় রাখার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। অসম বাণিজ্যিক প্রতিযোগিতাকে প্রাধান্য না দিয়ে প্রগতিশীল অবাধ বাণিজ্যনীতি-নির্ভর সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে দৈনিক সমকালের প্রভাব গণমাধ্যম জগতে অতিশয় দৃশ্যমান। নির্লোভ ও নির্মোহ দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেশের সামগ্রিক অর্থ, সমাজ, বাণিজ্য, রাজনীতি, ধর্ম, সমাজনীতি, সাহিত্য ইত্যাদির পরিচয় তুলে ধরে জাতিকে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সত্যনিষ্ঠ মর্যদায় সমাসীন করার প্রচেষ্টা দৈনিক সমকালের প্রকৃষ্ট ব্যঞ্জনায় মূর্তমান।
পত্রিকার সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি ষোলো বছরে পদার্পণের প্রথম দিনে পরার্থিতা সম্পাদকীয় এবং পত্রিকার নৈতিকতা-আদর্শিকতা-নিগূঢ় দর্শনভিত্তির প্রাসঙ্গিকতা উপস্থাপন করেছেন। বিশদ ব্যাখ্যায় এটুকু বলা যায় যে, দৈনিক সমকাল শহর-নগর ও গ্রামীণ জনপদের সকল ধরনের সংবাদ, বিজ্ঞাপন, সম্পাদকীয়, উপ-সম্পাদকীয়, খেলাধুলা, শিক্ষা-সংস্কৃতি-সাহিত্য, নৃত্য, বিতর্ক, গান, আবৃত্তি বিশেষ করে শিক্ষা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত বিভিন্ন অনুষ্ঠান, গবেষণা, সেমিনার-সিম্পোজিয়াম ইত্যাদি বিষয়কে গুরুত্বসহকারে প্রচার করে থাকে। ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, অঞ্চল, গোত্র নির্বিশেষে সমকালের পরিবেশনা অবশ্যই সমসাময়িক ও সমকালীন। রুচিশীল কৃষ্টি, ঐতিহ্য, চারুশিল্প, চলচ্চিত্রের প্রকাশ ও বিনোদন প্রকাশের দৃষ্টিভঙ্গিও অনবদ্য। চমৎকারভাবে সুপঠিত এবং সুলিখিত শুধু কালো কালির মধ্যে নয়; প্রিয় সংবাদকর্মী ও কলমযোদ্ধা, প্রতিবেদকের লেখনীতে এই পত্রিকার ন্যায়পরায়ণতা-বস্তুনিষ্ঠতার পরিচয় অত্যুজ্জ্বল হয়ে ওঠে। সমকালীন নানা বিষয় পরিবেশনার ক্ষেত্রে সমসাময়িক, সাধারণ, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক, রাজনৈতিক, বিভিন্ন অপরাধমূলক, সামাজিক, সাংগঠনিক সংবাদ বিশেষভাবে বিবেচ্য। ষোলো বছরে পদার্পণকালে দৈনিক সমকালের সম্পাদক, প্রকাশক, প্রতিবেদক, লেখকসহ সংশ্নিষ্ট কলাকুশলীদের প্রতি অজস্র অভিনন্দন এবং পত্রিকার রাজসিক ভবিষ্যৎ প্রার্থনা করছি।
- বিষয় :
- চতুরঙ্গ
- ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী