ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

বেকারিতে তৈরি পাউরুটি-বিস্কুট-কেকের দাম বাড়ছে

বেকারিতে তৈরি পাউরুটি-বিস্কুট-কেকের দাম বাড়ছে

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩১ মে ২০২২ | ১১:৪৪ | আপডেট: ৩১ মে ২০২২ | ১১:৫১

হাতে তৈরি (নন ব্র্যান্ড) পাউরুটি, বিস্কুট, কেকজাতীয় খাদ্যের দাম ২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়াচ্ছেন এই খাতের ব্যবসায়ীরা। এসব খাদ্য তৈরিতে ব্যবহৃত ময়দা, চিনি, ডালডা ও ভোজ্যতেলের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে এই দাম বাড়ানো হচ্ছে বলে জানা যায়। 

বুধবার থেকে নতুন দরের এসব বেকারি পণ্য বিক্রি করা হবে। বেকারি পণ্য প্রস্তুতকারী ব্যবসায়ী সমিতি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

হস্তচালিত বেকারিতে পাউরুটি, বনরুটি, কেক, বিস্কুটসহ বিভিন্ন ধরনের কনফেকশনারি পণ্য তৈরি করা হয়। গ্রাম ও শহরের অলিতে-গলিতে ছোট ছোট দোকানে এসব খাদ্যপণ্য বিক্রি করা হয়। সাধারণত এসব পণ্যের ভোক্তা হচ্ছেন দিনমজুর, শ্রমিক, রিকশাচালক, ফুটপাতের ব্যবসায়ী, হকার, সবজি বিক্রেতাসহ নিম্ন আয়ের মানুষেরা। ফলে দাম বাড়ানোর কারণে তাদের ওপর চাপ বাড়বে। ২০ শতাংশ দামা বাড়ানোর ফলে এতদিন ১০০ টাকায় যে বিস্কুট বা কেক পাওয়া যেত তা কিনতে এখন গুনতে হবে ১২০ টাকা।

এ খাতের ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত এক-দুই মাস ধরে এসব খাদ্যপণ্য তৈরিতে ব্যবহৃত ময়দা, চিনি, ডালডা এবং তেলের দাম বাড়ছে। তারা বলছেন, প্রতি কেজি ময়দায় দাম বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। চিনির কেজিতে বেড়েছে আট থেকে ১০ টাকা, প্রতি কেজি ডালডায় বেড়েছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা এবং তেলের দাম বেড়েছে লিটারে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। ফলে তাদের উৎপাদন খরচ বেড়েছে। পণ্যের দাম না বাড়ালে লোকসান গুনতে হবে।

বাংলাদেশ রুটি, বিস্কুট ও কনফেকশনারি প্রস্তুতকারক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন দাম বাড়ানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে বেকারি পণ্যের দাম ১০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল।

বাজারে নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতির কারণে বেকারি পণ্যের দাম সমন্বয়ের জন্য মঙ্গলবার থেকে হঠাৎ করেই হস্তচালিত বেকারি মালিকরা অঘোষিত ধর্মঘটে যায়। ফলে রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় বেকারি পণ্যের সরবরাহ বন্ধ ছিল। এরপরই এসব খাদ্যের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।

জালাল উদ্দিন বলেন, বেকারি পণ্য তৈরিতে ব্যবহার করা হয় এমন সব জিনিসের দাম বেড়েছে। এরই মধ্যে স্বয়ংক্রিয় মেশিনে তৈরি ব্র্যান্ডের বেকারিগুলো তাদের পণ্যের দাম বাড়িয়েছে। সেজন্য হস্তচালিত বেকারিগুলোও দাম বাড়ানোর দাবি করে আসছিল। সবার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০ শতাংশ দাম বাড়ানো হচ্ছে। নতুন দাম সারাদেশে কার্যকর হবে বুধবার থেকে।

তিনি বলেন, সব জিনিসের দাম বাড়ছে। তেল, আটা-ময়দাসহ বেকারি পণ্য তৈরির ব্যবহার হয় এমন বিভিন্ন উপকরণের দাম বাড়ায় কয়েক মাস ধরে লোকসান দিয়ে ব্যবসা চালানো হচ্ছে। দাম না বাড়লে ব্যবসা করার উপায় নেই। ইতোমধ্যে সারা দেশে প্রায় ৫শ বেকারি বন্ধ হয়ে গেছে।

সমিতির তথ্যমতে, করোনার আগে সারাদেশে প্রায় পাঁচ হাজার হস্ত চালিত বেকারি ছিল। মহামারিকালে পাঁচ থেকে ছয়শ বেকারি সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে তাদের অনেকে ব্যবসায় ফেরেন। কিন্তু কয়েক মাস ধরে নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় আবারও পাঁচ শতাধিক বেকারি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে অন্তত পাঁচ হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েন।

আরও পড়ুন

×