ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণই মূল চ্যালেঞ্জ: বিসিআই

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণই মূল চ্যালেঞ্জ: বিসিআই

প্রতীকী ছবি

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ জুন ২০২২ | ০৪:৪৮ | আপডেট: ১৮ জুন ২০২২ | ০৪:৪৮

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণই প্রস্তাবিত বাজেটের মূল চ্যালেঞ্জ বলে মনে করে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)। এমন কঠিন সময়ে এমন উচ্চ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ঘোষিত বাজেট আশাব্যঞ্জক হলেও সুশাসন, যথাযথ মনিটরিং, দক্ষতা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও যথাযথ পরিকল্পনা নিশ্চিত করা না গেলে বাজেট বাস্তবায়নে সরকারকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ)।

শনিবার বিসিআই আয়োজিত ‘প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট (২০২২-২০২৩) এর চূড়ান্ত করার আগে কিছু সংশোধন প্রস্তাবনা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, মোস্তফা আজাদ চৌধূরী বাবু, এফবিসিসিআই উর্দ্ধতন সহ-সভাপতি ও বিসিআই সাবেক সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম, এমসিসিআই সভাপতি এবং বিসিআই এর পরিচালক ও সদস্যরা।

সংবাদ সম্মেলনে বিসিআই সভাপতি বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৫.৬ শতাংশের মধ্যে রাখার কথা উল্লেখ করা হলেও তা বাস্তবায়নে সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা পরিলক্ষিত হচ্ছে না। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে দেশীয় শিল্পের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা জরুরি। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠির জন্য রেশনিং ব্যবস্থা জোরদার করার প্রস্তাব করছি। প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, রাজস্ব ঘাটতি ও অর্থায়নসহ অন্যান্য বিষয়গুলো অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং।’

তিনি বলেন, ‘বিসিআই মনে করে বর্তমান সংকটময় বিশ্ব পরিস্থিতিতে সকল ক্ষেত্রে অপচয় কমিয়ে আনতে হবে। খাদ্য পণ্য উৎপাদন, বিপনন এবং পরিবহন পর্যায়ে অপচয় ও চাঁদাবাজি বন্ধ করা জরুরি। যানযট নিরসন, বিয়ে-সাদী, বাড়িতে, অফিস সমূহে, মসজিদে যতটুকু দরকার ততটুকু ইলেকট্রিসিটি, পানি ব্যবহার, অতিরিক্ত আলোকসজ্জা না করা ইত্যাদির মাধ্যমে সম্পদ অপচয় কমিয়ে এনে সম্পদের সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনা করা জরুরি। আবার অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে রাজস্ব বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া ছাড়া বিকল্প নেই।’

পারভেজ বলেন, ‘বৈদেশিক মূদ্রা অর্জন বর্তমান সংকটময় বিশ্ব অর্থনীতিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ করে আমাদের মতন আমদানি নির্ভর দেশগুলোতে। প্রস্তাবিত বাজেটে তৈরি পোশাক শিল্পের ন্যায় সব ধরনের রপ্তানিমুখী কোম্পানির করহারও ১২ শতাংশ করা হয়েছে যা বিসিআই এর দীর্ঘদিনের দাবির প্রতিফলন। তবে রপ্তানি ক্ষেত্রে উৎসে কর দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ১ শতাংশ প্রস্তাব করা হয়েছে যা বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে রপ্তানির ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আমরা মনে করি। প্রবাসী আয়ের ক্ষেত্রে প্রণোদনা প্রদানকে আমরা স্বাগত জানাই। প্রয়োজনে ডলারের মূল্য অবমূল্যায়ন করে প্রবাসী আয়কে আরো উৎসাহিত করা জরুরি।’

সংবাদ সম্মেলনে আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পুনর্বিবেচনার জন্য কিছু সুপারিশ করা হয়।

আরও পড়ুন

×