ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

চালের আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার, কমল নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্কও

চালের আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার, কমল নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্কও

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২২ | ০৮:২৭ | আপডেট: ২৮ আগস্ট ২০২২ | ১০:৪৮

চাল আমদানির ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক তুলে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি চাল আমদানিতে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

ফলে ব্যবসায়ীরা এখন মাত্র ১৫ শতাংশ শুল্ক দিয়ে সেদ্ধ ও আতপ চাল আমদানি করতে পারবেন। এর ফলে চালের দাম কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে সুগন্ধি চাল পূর্ণ শুল্ক (৬২%) দিয়ে আমদানি করতে হবে। 

অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, চাল আমদানিতে সব আমদানি শুল্ক্ক প্রত্যাহার করা হলো। একই সঙ্গে রেগুলেটরি ডিউটি বা নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক্ক ২৫ শতাংশের পরিবর্তে ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হলো। এনবিআরের সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আমদানি শুল্ক ও নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্কের বাইরে চাল আমদানিতে ৫ শতাংশ আগাম কর ও ৫ শতাংশ আগাম আয়কর বহাল রয়েছে।

ফলে এখন থেকে চাল আমদানিতে সব মিলিয়ে ১৫ দশমিক ২৫ শতাংশ শুল্ক্ক দিতে হবে, যা এতদিন ছিল ৬২ দশমিক ৫০ শতাংশ। আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ সুবিধা পাবেন আমদানিকারকরা। তবে আমদানির জন্য খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন নিতে হবে।

সম্প্রতি খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে দেশের সামগ্রিক খাদ্য পরিস্থিতি, আমদানির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে প্রতিবেদন পাঠানো হয়। সেই প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চালের আমদানি শুল্ক কমিয়ে শূন্য করার সুপারিশ করে।

গত বোরো মৌসুমে ভালো ফলনের পরও দেশের বাজারে প্রধান খাদ্যপণ্য চালের দাম বাড়ছিল। এর পর হাওর এলাকায় বন্যার ফলে চালের দাম বেড়ে যায়। এদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিভিন্ন দেশে খাদ্য সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার প্রভাব পড়ে দেশের বাজারে। তার সঙ্গে সর্বশেষ যোগ হয়েছে ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি। পরিবহন খরচ বৃদ্ধির অজুহাতে গত ২০ দিনে সব ধরনের চালের দাম কেজিতে ৮ থেকে ১২ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। কয়েক মাস ধরে দেশের বাজারে চালের দাম বেশ বেড়েছে।

সরকারি বাণিজ্যিক সংস্থা টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, গতকাল রাজধানীর বাজারগুলোতে প্রতি কেজি মোটা চাল বিক্রি হয়েছে ৫৫ থেকে ৫৮ টাকায়। সরু ও মাঝারি মানের চালের দামও বেশ বেড়েছে। এ ধরনের চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে। এ অবস্থায় বাজারে চালের সরবরাহ বাড়াতে সরকার আমদানির অনুমোদন দিলেও ব্যবসায়ীরা আমদানি করছিলেন না। এ অবস্থায় পণ্যটির দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে আবার আমদানি শুল্ক্ক কমালো সরকার।

বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আব্দুর রশিদ সমকালকে বলেন, আমদানি শুল্ক্ক আরও কমাতে চাল আমদানি কিছু বাড়তে পারে। তবে খুব বেশি বাড়বে না। কারণ এলসি খোলার ক্ষেত্রে জটিলতা রয়েছে। আমদানি কম হলেও তা বাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। চালের দাম না কমলেও অন্তত বাড়বে না। তিনি বলেন, আরও দুই মাস দাম স্থিতিশীল রাখতে পারলে বাজার নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। কারণ এই সময়ের মধ্যে নতুন ধান চলে আসতে শুরু করবে। ফলন ভালো হলে তখন আমদানিও করতে হবে না।


আরও পড়ুন

×