ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

মুদ্রানীতি ঘোষণা আজ, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণই মূল লক্ষ্য

মুদ্রানীতি ঘোষণা আজ,  মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণই মূল লক্ষ্য

প্রতীকী ছবি

বিশেষ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৫ জানুয়ারি ২০২৩ | ০৩:০৪ | আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০২৩ | ০৩:০৪

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্য নিয়ে চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণা করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আব্দুর রউফ তালুকদার গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এটি তাঁর প্রথম মুদ্রানীতি।

বেশ আগ থেকে বছরে দু'বার মুদ্রানীতি ঘোষণা করে আসছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে ২০১৬ সালে ফজলে কবির গভর্নরের দায়িত্ব পাওয়ার পর বছরে একবার করে মুদ্রানীতি ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেন সংকট সামাল দিতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল থেকে সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ নিচ্ছে সরকার। এ ঋণের অন্যতম শর্ত বছরে অন্তত দু'বার মুদ্রানীতি ঘোষণা করতে হবে। পর্যায়ক্রমে প্রতি ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে মুদ্রানীতি ঘোষণা করতে হবে।

সংশ্নিষ্টরা জানান, জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের চেয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ বেশি চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়িয়েছে। চাহিদা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে মূল্যস্ফীতির রাশ টানতে বেশিরভাগ দেশ সুদহার বাড়িয়েছে। তবে বাংলাদেশে এখনও ৯ শতাংশ সুদহারের সীমা অপরিবর্তিত আছে। যে কারণে মুদ্রানীতির কার্যকারিতা অনেকাংশে কমে গেছে। এর মধ্যে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমায় টাকার হাতবদল কমেছে। এ পরিস্থিতিতে উচ্চ মূল্যস্ফীতির মধ্যেও বাজারে তারল্য বাড়াতে সরকারের ঋণ চাহিদার বেশিরভাগই দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারকে ঋণ দিয়েছে ৬৫ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা। আর বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে ঋণ কমিয়েছে ৩৩ হাজার ৩৫৫ কোটি টাকা। ফলে প্রথম সরকারের নিট ঋণ বেড়েছে মাত্র ৩২ হাজার ২৪৯ কোটি টাকা। এ ছাড়া সিএমএসএমই, রপ্তানি উন্নয়ন, খাদ্য নিরাপত্তা ও কারখানা সবুজায়নে ৪৫ হাজার কোটি টাকার চারটি পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর বাইরে প্রতিদিনই রেপো, বিশেষ তারল্য সহায়তাসহ নানা উপায়ে ব্যাংকগুলোকে প্রচুর ধার দেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, ৯ শতাংশ সুদহারের সীমা তুলে দেওয়ার বিষয়ে এখনও কোনো নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়নি। অন্যদিকে, উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের সঞ্চয় ক্ষমতা কমায় অক্টোবরের তুলনায় গত নভেম্বরে ব্যাংক খাতের আমানত ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি কমেছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, আগের বছরের একই মাসের তুলনায় গত ডিসেম্বর মাসে মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৭১ শতাংশ। আর গড় মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৭ দশমিক ৭০ শতাংশ হয়েছে। চলতি অর্থবছরের বাজেটে যেখানে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা প্রাক্কলন করা হয় ৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। অবশ্য সংশোধিত বাজেটে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে ৬ দশমিক ৫০ শতাংশ। আবার মূল বাজেটে ৭ দশমিক ২০ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন করা হলেও সংশোধিত বাজেটে তা কমিয়ে সাড়ে ৬ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করা হচ্ছে। যদিও বিশ্বব্যাংক বলেছে, প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ২০ শতাংশের মধ্যে থাকবে।

গত ৩০ জুন চলতি অর্থবছরের মুদ্রানীতি ঘোষণা করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

আরও পড়ুন

×