সৌদিতে সার কারখানা স্থাপনে সম্ভাব্যতা যাচাই শুরু হচ্ছে

সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ১৮:০০ | আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ০৪:১০
সৌদি আরবে একটি ডাই-অ্যামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) সার কারখানা স্থাপনের জন্য সম্ভাব্যতা যাচাই করতে দেশটির হানওয়া সৌদি কনস্ট্রাকশন কোম্পানির (এইচএসসিসি) সঙ্গে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী এইচএসসিসি একটি ডিএপি কারখানা প্রতিষ্ঠার সম্ভাব্যতা যাচাই করে দেখবে। ২০২৪ সালের মধ্যে যা শেষ হবে। বিসিআইসি তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সহায়তা করবে।
রাজধানীর মতিঝিলে শিল্প মন্ত্রণালয়ে বুধবার এক অনুষ্ঠানে এ চুক্তি হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী এবং সৌদি প্রতিষ্ঠান এইচএসসিসির সিনিয়র জনসংযোগ পরিচালক আব্দুল আজিজ দুহাইম, বিসিআইসির চেয়ারম্যান মো. সাইদুর রহমান প্রমুখ।
এতে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাক্ষর করেন বিসিআইসির সিনিয়র মহাব্যবস্থাপক সমীর বিশ্বাস এবং এইচএসসিসির পক্ষে সিনিয়র জনসংযোগ পরিচালক আব্দুল আজিজ দুহাইম।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী বলেন, ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রীর সৌদি আরব সফরের সময় ডিএপি সার কারখানা স্থাপনের জন্য একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়। এর ধারাবাহিকতায় সৌদি আরবের উপযুক্ত কোনো জায়গায় সার কারখানা স্থাপনে সম্ভাব্যতা যাচাই হচ্ছে।
তিনি বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের চাহিদা অনুযায়ী বাংলাদেশে ডিএপি সারের চাহিদা সাড়ে ১৬ লাখ টন। চট্টগ্রাম ডিএপি সার কারখানায় উৎপাদন করা হয় প্রায় এক লাখ টন। বাকি সার আমদানি করতে হয়। বাংলাদেশে পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক গ্যাস নেই। এ ছাড়া সার উৎপাদনের প্রয়োজনীয় কাঁচামাল রক ফসফেট ও ফসফরিক এসিড নেই। কাজেই সৌদি আরবে কারখানা স্থাপন যৌক্তিক হবে। কারখানা স্থাপন প্রক্রিয়া যৌথ বিনিয়োগে হতে পারে। আলাপ-আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
জানতে চাইলে বিসিআইসির চেয়ারম্যান সমকালকে বলেন, আমরা এখন দেশে সামান্য পরিমাণে সার উৎপাদন করি। কিন্তু এ সার উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল আমদানি করতে হয়। সেই চিন্তা থেকেই এ উদ্যোগ। সৌদি আরবে কারখানা স্থাপন লাভজনক হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর বিষয়টি পরিস্কার হবে।