উৎপাদনশীলতা বাড়াতে প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই

ছবি: সংগৃহীত
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৭ জুন ২০২৩ | ১৮:০০ | আপডেট: ১৮ জুন ২০২৩ | ০৪:০৭
শিল্পের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন শনিবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অ্যান্ড কোয়ালিটি অ্যাক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ এবং ‘ইনস্টিটিউশনাল অ্যাপ্রিসিয়েশন অ্যাওয়ার্ডে’র সনদ ও ট্রফি বিতরণ অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা, এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, এনপিও মহাপরিচালক মুহম্মদ মেসবাহুল আলম প্রমুখ। এবার ৩৯টি প্রতিষ্ঠান অ্যাসোসিয়েশনকে ‘ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অ্যান্ড কোয়ালিটি অ্যাক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২১’ এবং দুটি প্রতিষ্ঠানকে ‘ইনস্টিটিউশনাল অ্যাপ্রিসিয়েশন অ্যাওয়ার্ড’ দেওয়া হয়েছে।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, শিল্প খাতে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে পশ্চিমা দেশগুলো অনেক আগে থেকেই বিভিন্ন ধরনের কৌশল অবলম্বন করেছে। জাপান উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির নিজস্ব মডেল অনুসরণ করছে। করোনা মহামারির প্রভাব এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতি ও মূল্যস্ফীতি সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে গেছে। এর প্রভাব বাংলাদেশেও অনুভূত হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সেবা, কৃষি, শিল্পসহ সব খাতের সমন্বয়, উৎপাদনশীলতার টুলস এবং কৌশলগুলোর ব্যবহার ও চর্চা বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের উৎপাদনশীলতার গড় প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৮ শতাংশ। ২০৩০ সাল নাগাদ উৎপাদনশীলতার গড় প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৬ শতাংশে নেওয়ার জন্য কাজ চলছে। শিল্প, সেবা ও কৃষি খাতের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে এশিয়ান প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশনের (এপিএ) সহযোগিতায় এনপিও এবং শিল্প মন্ত্রণালয় ‘ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি মাস্টারপ্ল্যান ২০২১-২০৩০’ বাস্তবায়ন করছে।
গত ১০ বছরে বাংলাদেশের শিল্প, সেবা, কৃষিসহ সব খাতে উৎপাদনশীলতা বেড়েছে উল্লেখ করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র, মাঝারি ও বৃহৎ– এ চার শ্রেণিতে দেশে এখন উৎপাদন শিল্পকারখানার সংখ্যা ৪৬ হাজার ১১০।