মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমবে, ধারণা করছে ইআইইউ

সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৩ | ১৮:০০
এ বছর বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি সামান্য কমবে। গত বছর যা ৯ দশমিক ২০ শতাংশে উঠেছিল, তা কমে নামতে পারে ৭ দশমিক ১০ শতাংশে। এমন ধারণা করছে লন্ডনভিত্তিক অর্থনীতিবিষয়ক সাময়িকী ইকোনমিস্টের ইকোনমিস্ট ইন্টিলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ)। বৈশ্বিক অর্থনীতির গতি-প্রকৃতি নিয়ে তাদের পূর্বাভাস সম্প্রতি প্রকাশ করেছে ইকোনমিস্টের এ বিভাগ।
গত বছর বিভিন্ন ভোগ্যপণ্যের আন্তর্জাতিক বাজারদরে যে উল্লম্ফন হয়েছিল, তা এরই মধ্যে অনেকটা কমে আসার ধারা পর্যবেক্ষণ করে ইআইইউ বলছে, এ ধারা অব্যাহত থাকতে পারে। তবে তা ২০২১ সালের আগের অবস্থায় ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে সংশয় আছে। বিশেষত, চীন ‘জিরো কভিড’ নীতি থেকে বের হয়ে আসার কারণে নতুন করে তেলের চাহিদা বেড়েছে। এ কারণে ২০২৫ সালের আগে ব্যারেলপ্রতি দাম ৭৫ ডলারের নিচে আসার সম্ভাবনা কম, যা মূল্যস্ফীতির ওপর চাপ অব্যাহত রাখবে।
ইকোনমিক ইন্টিলিজেন্স এ বছরের পূর্বাভাসে বলছে, বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ গম সরবরাহকারী দুই দেশ ইউক্রেন ও রাশিয়া যুদ্ধরত থাকায় খাদ্য সরবরাহে উচ্চ ঝুঁকি রয়েই যাচ্ছে। এর সঙ্গে সার সরবরাহও বাধাগ্রস্ত হতে পারে। ভোগ্যপণ্যের আন্তর্জাতিক মূল্যবৃদ্ধি এবং ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সরবরাহ ব্যবস্থায় বিঘ্নের পাশাপাশি মার্কিন ডলারের দর বৃদ্ধির কারণে কিছু দেশে ২০১৯ সালের তুলনায় মূল্যস্ফীতি অনেক ওপরে অবস্থান করছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বহু দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক নানা ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে। বড় অর্থনীতির দেশগুলোতে সুদের হার এ বছরের মাঝামাঝিতে এসে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছে। এ অবস্থা ২০২৪ সাল পর্যন্ত বহাল থাকতে পারে।
তবে মূল্যস্ফীতি কমার পূর্বাভাসটির ক্ষেত্রে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জও দেখছে ইকোনমিস্ট ইন্টিলিজেন্স। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিভিন্ন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে ইউক্রেন যুদ্ধ আরও জোরালো হওয়া, উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে উদীয়মান দেশগুলোতে সামাজিক অস্থিরতা, তাইওয়ানকে নিয়ে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার উত্তেজনা, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ও এল নিনোর প্রভাব ইত্যাদি।
- বিষয় :
- মূল্যস্ফীতি
- ইআইইউ
- বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি