ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

নতুন এলএনজি অবকাঠামো নির্মাণ প্রশ্নবিদ্ধ: সানেম

নতুন এলএনজি অবকাঠামো নির্মাণ প্রশ্নবিদ্ধ: সানেম

ছবি-সংগৃহীত

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৪ | ১৪:১২ | আপডেট: ২৫ জুন ২০২৪ | ১৪:২৫

নতুন এলএনজি অবকাঠামো নির্মাণ নিয়ে প্রশ্ন তুলে সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) বলেছে, আন্তর্জাতিক বাজারে এলএনজির দাম অস্থিতিশীল থাকে, যা ইতোমধ্যে আমাদের অর্থনীতিতে গুরুতর প্রভাব ফেলেছে। এ অবস্থায় নতুন এলএনজি অবকাঠামো নির্মাণ প্রশ্নবিদ্ধ। আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বরাদ্দ বিশ্লেষণ করে মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপিতে এ কথা জানায় সানেম। 

সংস্থাটি বলেছে, যেহেতু উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিদ্যুৎকেন্দ্র গ্যাসচালিত ও জ্বালানির অপর্যাপ্ত মজুতের যে বিদ্যমান অবস্থা, তাতে বিশেষ করে প্রাকৃতিক গ্যাসের ক্ষেত্রে একটি স্থিতিশীল এবং বিকল্প জ্বালানি উৎসের বন্দোবস্ত অত্যন্ত জরুরি হয়ে উঠেছে। 

স্থলভাগে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলন নিয়ে সংস্থাটি বলেছে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪৮টি কূপ খনন করার পরিকল্পনা করেছে বাপেক্স। তবে গত ১০ বছরে বাপেক্স ৪৯টি কূপ খনন করেছে, যার সঙ্গে এই লক্ষ্যমাত্রা অসামঞ্জস্যপূর্ণ। বাংলাদেশ ৯টি অগভীর এবং ১৫টি গভীর সমুদ্র ব্লকে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য আন্তর্জাতিক কোম্পানি নিযুক্ত করতে ‘বাংলাদেশ অফশোর বিডিং রাউন্ড-২০২৪’ শুরু করেছে। এটি আশাব্যঞ্জক উদ্যোগ হলেও এতে বেশ অনিশ্চয়তা, বিলম্ব এবং খরচ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, আমাদের জ্বালানি উৎসগুলোকে বৈচিত্র্যময় করতে হবে এবং নবায়নযোগ্য সম্ভাবনাগুলো অন্বেষণ করতে হবে। কারণ এটি সবচেয়ে নিশ্চিত এবং টেকসই পদ্ধতি। 

বিগত বছরগুলোতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বাজেট বরাদ্দে উল্লেখযোগ্য ওঠানামা দেখা গেছে উল্লেখ করে সংস্থাটি জানায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ ছিল সর্বোচ্চ। পরবর্তী দুই অর্থবছরে বরাদ্দ যথাক্রমে ১০ দশমিক ৯১ এবং ৩১ দশমিক ০৬ শতাংশ কমে গেছে। আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের মধ্যে ২০১৮-১৯ অর্থবছর থেকে জ্বালানি খাতে বাজেট বরাদ্দ ক্রমাগত কমছে। এটি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বাজেটের মাত্র ৪ শতাংশ এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আরও কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৩ দশমিক ৬ শতাংশে। এ চিত্র দেশের জ্বালানি খাতের প্রতি ধারাবাহিক গুরুত্বহীনতার ইঙ্গিত দেয়। 

সানেম জ্বালানি খাতে বাজেট বরাদ্দ পরিচালনায় একটি কৌশলগত পদ্ধতির আহ্বান জানিয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পের প্রসার, দেশীয় প্রাকৃতিক গ্যাস অনুসন্ধান, মুদ্রার অবমূল্যায়নের প্রভাব ব্যবস্থাপনা এবং কার্যকর নীতি ব্যবস্থার মাধ্যমে ভর্তুকির বোঝা নিরসনে গুরুত্ব দিয়ে এ কৌশলগত পদ্ধতি ঠিক করতে হবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানির উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগ ও ইএমআরডির জন্য এডিপি এবং ভর্তুকির বরাদ্দের হার পরিবর্তন করা দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের জ্বালানি নিরাপত্তায় অবদান রাখতে পারে বলে মনে করে সংস্থাটি। 

 

আরও পড়ুন

×