এলএনজি

সার, গম, তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) এবং অকটেন আমদানির ৭টি ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১ হাজার ৬২৬ কোটি টাকা। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির এসব প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

দেশের জ্বালানি চাহিদা মেটাতে স্পট মার্কেট থেকে পৃথক দরপত্রের মাধ্যমে দুই কার্গো এলএনজি কেনার প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।

আধুনিক সভ্যতা জ্বালানিনির্ভর। শিল্পকারখানা তো বটেই, দৈনন্দিন প্রতিটি কাজে বিদ্যুৎ ছাড়া আমরা অচল। দুনিয়াজুড়ে সাধারণভাবে কয়লা, গ্যাস, তেল প্রভৃতি জীবাশ্ম জ্বালানি পুড়িয়ে বিদ্যুৎ তৈরি করা হয়।

স্পট মার্কেট (খোলা বাজার) থেকে দুই কার্গো এলএনজি আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকার। 

স্পট মার্কেট (খোলা বাজার) থেকে দুই কার্গো এলএনজি আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকার। আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত দুইটি প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়।

দেশের জ্বালানি চাহিদা মেটাতে সুইজারল্যান্ড ও সিঙ্গাপুর থেকে দুই কার্গো এলএনজি আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

গ্যাসের ঘাটতি মেটাতে এলএনজির আমদানি বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। গত বছরের চেয়ে ৩১ কার্গো বেশি এলএনজি কেনা হবে। এ জন্য বাড়তি ভর্তুকি লাগবে ১৬ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া

বছরে ৫০ লাখ টন তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করতে মার্কিন কোম্পানি আর্জেন্ট এলএনজির সঙ্গে নন-বাইন্ডিং চু‌ক্তি ক‌রে‌ছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। এলএন‌জি আমদা‌নিকারক পে‌ট্রোবাংলা এ সম্প‌র্কে অব‌হিত নয়। তবে জ্বালা‌নি বিভাগ মনে করছে এই চুক্তির ফলে কোনো বাধ্যবাধকতা তৈরি হয়নি।  

দেশে বছরে ৫০ লাখ টন তরলীকৃত গ্যাস সরবরাহ করবে মার্কিন কোম্পানি আর্জেন্ট এলএনজি। বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে বড় ধরনের একটি নন-বাইন্ডিং চুক্তির আওতায় রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি পেট্রোবাংলার কাছে এ গ্যাস সরবরাহ করবে প্রতিষ্ঠানটি। 

সুইজারল্যান্ড থেকে দুই কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করা হচ্ছে। এতে ব্যয় হবে ১ হাজার ২৯৭ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। একই সঙ্গে রাশিয়া থেকে ১০৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩০ হাজার টন এমওপি সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার।