ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

এমইআই’র পূর্বাভাস

নতুন অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি হবে ৮ শতাংশ

নতুন অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি হবে ৮ শতাংশ

শেরাটন ঢাকায় ‘গ্লোবাল অ্যান্ড বাংলাদেশ আউটলুক অ্যান্ড রিস্ক’ গোলটেবিল বৈঠক

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ জুন ২০২৪ | ২২:০৬

বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতির হার আগামী অর্থবছরে (২০২৪–২৫) বর্তমানের চেয়ে কিছুটা কমবে বলে মনে করছে মাস্টারকার্ড ইকোনমিক্স ইনস্টিটিউট (এমইআই)। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও চলতি অর্থবছরের চেয়ে কম হবে বলে মনে করছে বৈশ্বিক পেমেন্ট সেবাদাতা কোম্পানি মাস্টারকার্ড পরিচালিত গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি।

বৃহস্পতিবার শেরাটন ঢাকায় মাস্টারকার্ড আয়োজিত ‘গ্লোবাল অ্যান্ড বাংলাদেশ আউটলুক অ্যান্ড রিস্ক’ শিরোনামের গোলটেবিল বৈঠকে উপস্থাপিত মূল প্রবন্ধে বাংলাদেশ নিয়ে এ পূর্বাভাস তুলে ধরেন এসইআই’র এশিয়া প্যাসিফিকের চিফ ইকোনমিস্ট ডেভিড ম্যান। মাস্টারকার্ড বাংলাদেশর কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতউর রহমান, প্রাণ–আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, এইচএসবিসি বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুব উর রহমান প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সাময়িক হিসাবে চলতি ২০২৩–২৪ অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমকি ৮ শতাংশ। আগামী ১ জুলাই নতুন অর্থবছর শুরু হচ্ছে। মাস্টারকার্ড ইকোনমিক্স ইনস্টিটিউট মনে করছে, নতুন অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ। দেশের মধ্যে এবং বর্হিবিশ্বে অর্থনীতিতে চাহিদা দুর্বল থাকবে– এমন অনুমানের ভিত্তিতে প্রবৃদ্ধির এ পূর্বাভাস দিয়েছে এমইআই।

ডেভিড ম্যানের উপস্থাপনায় বলা হয়, বাংলাদেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি মানুষের ক্রয় ক্ষমতাকে বেশ প্রভাবিত করেছে। চলতি অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতি হতে পারে ৯ দশমিক ৮ শতাংশ। আগামী অর্থবছরে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি কমে ৮ শতাংশ হতে পারে। উল্লেখ্য, সরকারের লক্ষ্যমাত্রা মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনা।

ডেভিড ম্যান মনে করেন, বাংলাদেশে সম্প্রতি ডলারের দর নির্ধারণে আইএমএফের সুপারিশে ‘ক্রলিং পেগ’ নামে যে পদ্ধতি চালু করা হয়েছে, তাতে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক দরের পার্থক্য কমে এসেছে। এতে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ সুদের হার এবং বিশ্বে ভূ–রাজনৈতিক উত্তেজনা অর্থনীতিতে অস্থিরতা বাড়াতে পারে বলে তার উপস্থাপনায় বলা হয়।

অনুষ্ঠানে দক্ষিণ এশিয়া ও বাংলাদেশের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিবেশ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। এছাড়া প্রয়োজনীয় ও ঐচ্ছিক পণ্যের মধ্যে ভোক্তাদের ব্যয়ের ধরনে পরিবর্তন ও বাইরে খাওয়া এবং ই-কমার্স ও বিলাসবহুল ভ্রমণের অভিজ্ঞতাকে প্রাধান্য দেওয়ার বিষয় আলোচনায় উঠে আসে।

আরও পড়ুন

×