ঢাকা সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫

কর্মশালায় ডিসিসিআইর সভাপতি

কর ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে হবে

কর ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে হবে

ছবি-সংগৃহীত

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০২৪ | ১২:২১

ব্যবসা-বাণিজ্যে কমপ্লায়েন্সের ক্ষেত্রে উন্নতি আনতে দেশের কর ব্যবস্থাকে পূর্ণাঙ্গরূপে ঢেলে সাজানোর আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি আশরাফ আহমেদ। তিনি বলেছেন, কর ব্যবস্থায় পরিবর্তন আসলে ব্যবসায় পরিচালন ব্যয় কমে আসবে। পাশাপাশি ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনাও সহজ হবে।

গত শনিবার রাজধানীর মতিঝিলে ডিসিসিআই আয়োজিত 'শুল্ক, মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) এবং আয়কর ব্যবস্থাপনা' বিষয়ক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন। ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যে কমপ্লায়েন্সের উন্নয়নে কর ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো দরকার। বিশেষ করে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর মানসম্পন্ন হিসাবরক্ষণ পদ্ধতি অনুসরণের মাধ্যমে কর নিরূপণ করা দরকার। একই সঙ্গে রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় কমপ্লায়েন্স মেনে চলা ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুরস্কৃত করা। রাজস্ব ব্যবস্থাপনার অটোমেশনের মাধ্যমে বিদ্যমান বৈষম্য ও ঘাটতি নিরসন করা সম্ভব। আশরাফ আহমেদ বলেন, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক রাজস্ব কাঠামো করজাল সম্প্রসারণে সহায়তা করবে, পাশাপাশি কর প্রদানকারীদের হয়রানিমূলক সেবা নিশ্চিত করবে। বিদ্যমান ভ্যাট, আয়কর ও শুল্ক আইনে বেশ কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এগুলো ব্যবসায়িক কার্যক্রমে ব্যবহারের জন্য উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে আয়কর ব্যবস্থাপনা, ভ্যাট এবং শুল্কের ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিসিসিআইর কাস্টম, ভ্যাট অ্যান্ড ট্যাক্সেশন বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির উপদেষ্টা স্নেহাশীষ বড়ুয়া, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাস্টমস, এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাট কমিশনারেট ঢাকা দক্ষিণের কমিশনার মো. জাকির হোসেন এবং দি ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএবি) সহসভাপতি এম বি এম লুৎফুল হাদি।

ভ্যাটবিষয়ক প্রবন্ধে মো. জাকির হোসেন বলেন, নতুন ভ্যাট আইনে মৌলিক কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। তবে এনবিআরের ওয়ার্কিং প্রসিডিওরের ক্ষেত্রে দুটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। সার্বিকভাবে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা বাড়াতে ভ্যাট প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসহ সব শ্রেণির করদাতার ওপর কিছুটা হলেও চাপ বাড়বে।

আয়কর বিষয়ক প্রবন্ধে স্নেহাশীষ বড়ুয়া বলেন, চলতি অর্থবছর রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা গত অর্থবছরের চেয়ে প্রায় ১৭ শতাংশ বেশি। দেশের শিল্পায়নের পাশাপাশি অর্থনীতিকে বেগবান করতে আমদানি শুল্ক কমাতে হবে, যার প্রভাব পড়বে আয়কর ও ভ্যাটের ওপর। তাই সহনশীল রাজস্ব ব্যবস্থার নিশ্চিত করা দরকার।

শুল্কবিষয়ক প্রবন্ধে এম বি এম লুৎফুল হাদি বলেন, ব্যবসা পরিচালন ব্যয় কমাতে নতুন শুল্ক আইন প্রবর্তন করা হয়েছে এবং আইনটি যথাযথ বাস্তবায়নের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিসিসিআই সহসভাপতি জুনায়েদ ইবনে আলী, পরিচালক কামরুল হাসান তুহিন এবং এম মোশাররফ হোসেন প্রমুখ।

আরও পড়ুন

×