বিজিএমইএর পর্ষদ ভেঙে দিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন

.
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০২৪ | ১৩:৩০ | আপডেট: ২০ আগস্ট ২০২৪ | ১৩:৪২
তৈরি পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তা ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেওয়ার দাবিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছে সংগঠনটির নির্বাচনকেন্দ্রিক জোট ‘ফোরাম’। ফোরামের মহাসচিব রশিদ আহমেদ হোসাইনী গতকাল সোমবার বাণিজ্য সচিব বরাবর আবেদনপত্রে বলেছেন, বিজিএমইএর বিতর্কিত সভাপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা এস এ মান্নান কচি ও তার সুবিধাভোগী দুর্নীতিবাজ পর্ষদ ভেঙে দিয়ে একটি অন্তর্বর্তীকালীন পর্ষদ গঠন করে নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হোক।
চিঠিতে বলা হয়, হাসিনা সরকারের উচ্চপর্যায়ের হস্তক্ষেপের কারণে বিজিএমইএ বেশিরভাগ বাণিজ্য সংগঠনের মতো স্বতন্ত্র ও গণতান্ত্রিকভাবে কার্য্রক্রম পরিচালনা করতে পারেনি। নির্বাচনে প্রভাব খাটানো হয়েছে এবং ভুয়া ভোটার তৈরি ও জাল ভোট প্রদান এবং বহিরাগত দলীয় সন্ত্রাসী দিয়ে ভোটকেন্দ্র দখল করে নির্বাচন নিয়ন্ত্রিত করা হয়েছে। গত মার্চের নির্বাচনে ভোটারদের হালনাগাদ আয়কর রিটার্ন ও ট্রেড লাইসেন্স দেওয়ার বাধ্যবাধকতা ছিল। কিন্তু নিয়ম ভঙ্গ করে ভুয়া ভোটার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কারখানার অস্তিত্ব নেই অথবা দীর্ঘদিন কারখানা বন্ধ ও রপ্তানি নেই, এমন ব্যক্তিদের ভোটার করা হয়েছে। ভুয়া ও জাল ভোট এবং বৈধ ভোটারদের হুমকি প্রদানসহ নানা অনিয়মের মাধ্যমে একটি প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে ‘সম্মিলিত পরিষদ’ থেকে ঢাকা মহানগর (উত্তর) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি সভাপতি পদ দখল করেন।
চিঠিতে আরও বলা হয়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর বিজিএমইএ সভাপতি সংগঠনের কার্যালয়ে উপস্থিত হচ্ছেন না। এমন অনুপস্থিতি অতীত হাসিনা সরকারের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বা জড়িত থাকার যথেষ্ট প্রমাণ দেয়। এছাড়া এস এম মান্নান কচির বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিরুদ্ধে আগ্রাসনের সঙ্গে সরাসির জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
চিঠিতে বাণিজ্য সংগঠন আইন ২০২২–এর ধারা ১৭ অনুযায়ী বিজিএমইএর বর্তমান পর্ষদ ভেঙে দিয়ে একটি অন্তবর্তী পর্ষদ গঠন করে স্বচ্ছ ভোটার তালিকা প্রণয়ন এবং একটি অবাধ,সুষ্ঠ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করা এবং বিজিএমইএর ভিতরে দুর্নীতিবাজদের বিষয়ে তদন্ত করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়েছে।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পর ৭ আগস্ট ফোরামের নেতা-কর্মীরা বিজিএমইএর কার্যালয়ে গিয়ে বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের ওপর অনাস্থা জানিয়ে স্মারকলিপি দেন। তারা কমিটি ভেঙে দিতে পর্ষদকে চাপ দেন। এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে হট্টগোল হয়। এ ঘটনায় বিজিএমইএর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সংগঠনের কার্যালয়ে হট্টগোল করে পর্ষদের নেতৃত্ব অধিগ্রহণের চেষ্টা দেশের বৃহত্তম রপ্তানি খাতের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে।