ঢাকা মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫

আরও ১১ ব্যাংকের সম্পদের গুণগত মান যাচাই হচ্ছে

বাংলাদেশ ব্যাংকের এ উদ্যোগে সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক

আরও ১১ ব্যাংকের সম্পদের গুণগত মান যাচাই হচ্ছে

.

বিশেষ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৫ | ০০:১৬ | আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৫ | ১৪:৪৩

বেসরকারি খাতের আরও ১১টি ব্যাংকের সম্পদের গুণগত মান যাচাইয়ের (একিউআর) সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ, মূলধন ঘাটতি, বন্ধকি সম্পদসহ বিভিন্ন সূচকের প্রকৃত অবস্থা পর্যালোচনা এ উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য। এর আগে এডিবির সহায়তায় ৬টি ব্যাংকের একিউআর হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। 

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কোনো ব্যাংকের সম্পদের গুণগত মান যাচাই মানেই একীভূতকরণের আওতায় আনা হবে, তা নয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান সমকালকে বলেন, নতুন করে কয়েকটি ব্যাংকের সম্পদের গুণগত মান যাচাই করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সম্পদের গুণগত মান যাচাইয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার তালিকায় রয়েছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, আল-আরাফাহ ইসলামী, ন্যাশনাল, বাংলাদেশ কমার্স, ইউসিবি, আইএফআইসি, এবি, প্রিমিয়ার, এনআরবি কমার্শিয়াল, এনআরবি ও মেঘনা ব্যাংক। এর আগে একিউআর সম্পন্ন হওয়া ব্যাংকগুলোর মধ্যে আন্তর্জাতিক অডিট ফার্ম আর্নেস্ট অ্যান্ড ইয়াং সম্পদ মূল্যায়ন করেছে এক্সিম, সোস্যাল ইসলামী ও আইসিবি
ইসলামিক ব্যাংকের। আরেক আন্তর্জাতিক ফার্ম কেপিএমজি মূল্যায়ন করেছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, গ্লোবাল ইসলামী ও ইউনিয়ন ব্যাংকের। তাদের মধ্যে আইসিবি ইসলামিক বাদে বাকি ৫টি মিলে একটি ব্যাংক করার উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। 

জানা গেছে, সম্পদের মান পর্যালোচনা করার পর প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেবে। কোনো ব্যাংকের পরিস্থিতি যদি একীভূতকরণ, অবসায়ন বা অধিগ্রহণ করার মতো হয়, তাহলে ব্যাংক নিষ্পত্তি অধ্যাদেশের আলোকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো ব্যাংকের নিজ থেকেই মূলধন ঘাটতি মেটানোসহ সার্বিক সূচকে উন্নতি করার পরিস্থিতি থাকলে বাংলাদেশ ব্যাংক বিবেচনায় নেবে। দুর্বল ব্যাংক নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে যাতে কোনো আইনি বাধা তৈরি না হয়, সে জন্য গত মে মাসে ‘ব্যাংক রেজল্যুশন অধ্যাদেশ-২০২৫’ জারি করে সরকার।

জানা গেছে, একীভূতকরণের উদ্যোগের আওতায় থাকা পাঁচটি ইসলামী ব্যাংককে আলাদাভাবে শিগগিরই একটি নোটিশ দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। নোটিশে তাদের কেন একীভূত করা হবে না জানতে চাওয়া হবে। কোনো ব্যাংক যদি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নেওয়া বিশেষ ধার ফেরত, মূলধন ঘাটতি মেটানো, বিধিবদ্ধ জমা সংরক্ষণসহ সন্তোষজনক জবাব দিতে পারে, তাহলে সেই ব্যাংক একীভূত করা হবে না।

আরও পড়ুন

×