পিপলস লিজিং চালু করে টাকা ফেরত চান আমানতকারীরা
-samakal-60d0fe6110c45.gif)
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১ জুন ২০২১ | ১২:০০ | আপডেট: ২১ জুন ২০২১ | ১৫:০২
অবসায়ন প্রক্রিয়ায় থাকা ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস আবার চালু করে দ্রুত জমানো টাকা ফেরত চান এর আমানতকারীরা। গতকাল ক্ষতিগ্রস্ত ২০১ জন আমানতকারীর আবেদনের ওপর শুনানি গ্রহণ করেন আদালত। প্রতিষ্ঠানটি পুনর্গঠন বা পুনরুজ্জীবিত করা হবে কিনা, সে বিষয়ে আগামী ২৮ জুন আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। ওই দিন আদালত এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের বক্তব্য শুনবেন।
বিচারপতি মুহম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক ভার্চুয়াল বেঞ্চ গতকাল সোমবার আদেশের এ দিন ধার্য করেন। আদালতে আমানতকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আহসানুল করিম।
অন্যদিকে অবসায়কের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন মেজবাহুর রহমান।
পিপলস লিজিং ডিপোজিটরস কাউন্সিলের প্রধান সমন্বয়কারী আতিকুর রহমান আতিক জানান, প্রতিষ্ঠানটিকে নতুনভাবে চালু করার মাধ্যমে আমানতকারীদের অর্থ ফেরত চাওয়ার আবেদন করেছেন তারা। এর ওপর আদালত শুনানি করেছেন।
আমানতকারীর জমানো টাকা ফেরত দিতে না পারায় ২০১৯ সালের জুলাইতে পিপলস লিজিং বন্ধের উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রতিষ্ঠানটি অবসায়নের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনাপত্তি নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে আদালতে আবেদন করা হয়। ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. আসাদুজ্জামান খানকে অবসায়ক নিয়োগ দেন আদালত। তবে আজ অবধি কেউ জমানো টাকা ফেরত পাননি। কষ্টে জমানো টাকা ফেরত না পেয়ে অনেকে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। এর মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ না করে রিহ্যাবের সভাপতি ও এর সাবেক উদ্যোক্তা আলমগীর শামসুল আলামিনসহ কয়েকজনের নেতৃত্বে এটি আবার চালুর একটি প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন ধরে চলমান রয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটিতে আমানতকারীদের জমা আছে ২ হাজার ৩৬ কোটি ২২ লাখ টাকা। এর মধ্যে ব্যক্তিপর্যায়ের আমানত রয়েছে সাড়ে সাতশ কোটি টাকা। প্রতিষ্ঠানটির বিতরণ করা ঋণের বড় অংশই নানা অনিয়মের মাধ্যমে বের হয়ে যায়। এসব অর্থ ফেরত আসার তেমন কোনো সম্ভাবনা দেখছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে প্রতিষ্ঠানটির সম্পদ বিক্রির মাধ্যমে পুরো আমানত ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন না আমানতকারীরা। যে কারণে তারা প্রতিষ্ঠানটি পুনরায় চালু করে ঋণ আদায় করে এবং অন্যান্য পদক্ষেপের মাধ্যমে দ্রুত অর্থ ফেরত চান।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন পরিদর্শনে উঠে আসে, পিপলস লিজিং থেকে বিতরণ করা ঋণের অধিকাংশই জালিয়াতির মাধ্যমে সাবেক পরিচালকরা তুলে নিয়েছেন। সর্বশেষ ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠানটির নিয়ন্ত্রণ নেন দেশ থেকে পলাতক প্রশান্ত কুমার হালদার বা পি কে হালদার। পিপলস লিজিংসহ চারটি প্রতিষ্ঠান থেকে তিনি সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা বের করে নিয়েছেন বলে বিভিন্ন প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। পি কে হালদার মালিকানা নেওয়ার আগে ভুয়া কাগজ তৈরি করে অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় পাঁচ পরিচালককে অপসারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। অপসারিতদের মধ্যে সাবেক চেয়ারম্যান মতিউর রহমান ১১৬ কোটি টাকা, সাবেক পরিচালক খবির উদ্দিন মিয়া ১০৭ কোটি টাকা এবং শামসুল আলামিনের পরিবারের তিন সদস্য আরেফিন সামসুল আলামিন, নার্গিস আলামিন ও হুমায়রা আলামিন ২৯৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন মর্মে তখন দুদকে প্রতিবেদন দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
অবসায়ক নিয়োগের পরদিন ২০১৯ সালের ১৫ জুলাই এসব ব্যক্তিসহ ১১ জনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ ও সম্পত্তি হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত। বাকিরা হলেন- পিপলস লিজিংয়ের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাউথ বাংলা ব্যাংকের উদ্যোক্তা পরিচালক ক্যাপ্টেন মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ ইসমাইল ও বিশ্বজিত কুমার রায়। এ ছাড়া সাবেক তিন কর্মকর্তা হলেন- কবির মোস্তাক আহমেদ, নিপেন্দ্র চন্দ্র পন্ডিত ও মো. শহিদুল হক। পরে গত বছরের ২৮ জানুয়ারি পিপলস লিজিংয়ের সাবেক ৪৬ পরিচালক ও ১৭ কর্মকর্তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজের আদেশ দেন উচ্চ আদালত।
বিচারপতি মুহম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক ভার্চুয়াল বেঞ্চ গতকাল সোমবার আদেশের এ দিন ধার্য করেন। আদালতে আমানতকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আহসানুল করিম।
অন্যদিকে অবসায়কের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন মেজবাহুর রহমান।
পিপলস লিজিং ডিপোজিটরস কাউন্সিলের প্রধান সমন্বয়কারী আতিকুর রহমান আতিক জানান, প্রতিষ্ঠানটিকে নতুনভাবে চালু করার মাধ্যমে আমানতকারীদের অর্থ ফেরত চাওয়ার আবেদন করেছেন তারা। এর ওপর আদালত শুনানি করেছেন।
আমানতকারীর জমানো টাকা ফেরত দিতে না পারায় ২০১৯ সালের জুলাইতে পিপলস লিজিং বন্ধের উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রতিষ্ঠানটি অবসায়নের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনাপত্তি নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে আদালতে আবেদন করা হয়। ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. আসাদুজ্জামান খানকে অবসায়ক নিয়োগ দেন আদালত। তবে আজ অবধি কেউ জমানো টাকা ফেরত পাননি। কষ্টে জমানো টাকা ফেরত না পেয়ে অনেকে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। এর মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ না করে রিহ্যাবের সভাপতি ও এর সাবেক উদ্যোক্তা আলমগীর শামসুল আলামিনসহ কয়েকজনের নেতৃত্বে এটি আবার চালুর একটি প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন ধরে চলমান রয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটিতে আমানতকারীদের জমা আছে ২ হাজার ৩৬ কোটি ২২ লাখ টাকা। এর মধ্যে ব্যক্তিপর্যায়ের আমানত রয়েছে সাড়ে সাতশ কোটি টাকা। প্রতিষ্ঠানটির বিতরণ করা ঋণের বড় অংশই নানা অনিয়মের মাধ্যমে বের হয়ে যায়। এসব অর্থ ফেরত আসার তেমন কোনো সম্ভাবনা দেখছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে প্রতিষ্ঠানটির সম্পদ বিক্রির মাধ্যমে পুরো আমানত ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন না আমানতকারীরা। যে কারণে তারা প্রতিষ্ঠানটি পুনরায় চালু করে ঋণ আদায় করে এবং অন্যান্য পদক্ষেপের মাধ্যমে দ্রুত অর্থ ফেরত চান।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন পরিদর্শনে উঠে আসে, পিপলস লিজিং থেকে বিতরণ করা ঋণের অধিকাংশই জালিয়াতির মাধ্যমে সাবেক পরিচালকরা তুলে নিয়েছেন। সর্বশেষ ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠানটির নিয়ন্ত্রণ নেন দেশ থেকে পলাতক প্রশান্ত কুমার হালদার বা পি কে হালদার। পিপলস লিজিংসহ চারটি প্রতিষ্ঠান থেকে তিনি সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা বের করে নিয়েছেন বলে বিভিন্ন প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। পি কে হালদার মালিকানা নেওয়ার আগে ভুয়া কাগজ তৈরি করে অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় পাঁচ পরিচালককে অপসারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। অপসারিতদের মধ্যে সাবেক চেয়ারম্যান মতিউর রহমান ১১৬ কোটি টাকা, সাবেক পরিচালক খবির উদ্দিন মিয়া ১০৭ কোটি টাকা এবং শামসুল আলামিনের পরিবারের তিন সদস্য আরেফিন সামসুল আলামিন, নার্গিস আলামিন ও হুমায়রা আলামিন ২৯৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন মর্মে তখন দুদকে প্রতিবেদন দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
অবসায়ক নিয়োগের পরদিন ২০১৯ সালের ১৫ জুলাই এসব ব্যক্তিসহ ১১ জনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ ও সম্পত্তি হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত। বাকিরা হলেন- পিপলস লিজিংয়ের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাউথ বাংলা ব্যাংকের উদ্যোক্তা পরিচালক ক্যাপ্টেন মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ ইসমাইল ও বিশ্বজিত কুমার রায়। এ ছাড়া সাবেক তিন কর্মকর্তা হলেন- কবির মোস্তাক আহমেদ, নিপেন্দ্র চন্দ্র পন্ডিত ও মো. শহিদুল হক। পরে গত বছরের ২৮ জানুয়ারি পিপলস লিজিংয়ের সাবেক ৪৬ পরিচালক ও ১৭ কর্মকর্তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজের আদেশ দেন উচ্চ আদালত।
- বিষয় :
- পিপলস লিজিং