ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

আজও ব্যাপক দরপতন শেয়ারবাজারে

আজও ব্যাপক দরপতন শেয়ারবাজারে

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ০০:৪৯ | আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ০০:৪৯

বড় দরপতনে আজ রোববার লেনদেন চলছে দেশের দুই শেয়ারবাজারে। বেলা ১২টায় দিনের লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টা শেষে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্য সূচকের পতন হয় ১৫৫ পয়েন্ট। সূচক নামে ৬ হাজার ৬৮৪ পয়েন্টে। সূচক পতনের হার সোয়া ২ শতাংশ। এ দরপতন গত বছরের ৪ এপ্রিলের পর সর্বোচ্চ।

বেলা ১২টারও পরও দরপতনের প্রবণতা দেখা গেছে। ইউক্রেন যুদ্ধ ইস্যু এ দরপতনের কারণ বলে মনে করছেন শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা। একই ইস্যুকে কেন্দ্র করে গত বৃহস্পতিবারও শেয়ারবাজারে বড় দরপতন হয়। ডিএসইএক্স সূচকটি ওইদিন ১০৯ পয়েন্ট হারায়।

এ যুদ্ধকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার বিশ্বের সব শেয়ারবাজারে ব্যাপক দরপতন হলেও শুক্রবারই তা ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। এর কারণ ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর এ যুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ না করার ঘোষণা। রাশিয়ার ওপর নতুন করে অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ না করা। আন্তর্জাতিক অর্থ লেনদেন ব্যবস্থা থেকে রাশিয়াকে এখনই বের না করার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ঘোষণাও এ ঘুরে দাঁড়াতে বড় ভূমিকা রাখে।

লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টাতেই ডিএসইর সূচক থেকে ১৫৫ পয়েন্ট হাওয়া

পাশাপাশি যুদ্ধবিরতিসহ ইউক্রেনের দিক থেকে শান্তি আলোচনার প্রস্তাব এবং রাশিয়ার দিক থেকে ইতিবাচক সাড়াও এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে শান্তি আলোচনার প্রস্তাব দিলেও তা বেশি দূর এগোয়নি। এ বিষয়ে রাশিয়ার দিক থেকে বলা হয়, আলোচনার প্রস্তাব দিয়ে ইউক্রেনের দিক থেকে কোনো সাড়া নেই। অন্যদিকে ইউক্রেন বলেছে, আলোচনা হতে হবে শর্তহীন।

এমন প্রেক্ষাপটে এ যুদ্ধ এখনই বন্ধ হবে কি-না, তা বিনিয়োগকারীদের উৎকণ্ঠার কারণ হতে পারে বলে বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউসের কর্মকর্তারা মনে করছেন।

ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৮টি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৩৬২টির দরপতন

আজ বেলা ১২টা পর্যন্ত ডিএসইতে ৩৭৮টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ৩৬২টিরই দর হারিয়ে কেনাবেচা হতে দেখা যায়। বিপরীতে মাত্র ১২টি শেয়ার দর বেড়ে কেনাবেচা হয়। দর অপরিবর্তিত অবস্থায় কেনাবেচা হয় চারটি শেয়ার।

এ সময় ৫৫ কোম্পানির শেয়ার ৫ থেকে ৮ শতাংশ দর হারিয়ে কেনাবেচা হতে দেখা গেছে। তবে কোনো শেয়ার ক্রেতা শূন্য হয়েছে- এমনটি দেখা যায়নি।

বৃহৎ বাজার মূলধনী কোম্পানিগুলোর দরপতনে সূচক কমেছে। তবে সেগুলোর দরপতনও খুব বেশি মাত্রার ছিল না।

২০২১ সালের ৪ এপ্রিলের পর ডিএসই সূচকের পতন সর্বোচ্চ

লেনদেনের দুই ঘণ্টা শেষে সূচকে সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক প্রভাব রাখে স্কয়ার ফার্মার শেয়ারের দরহ্রাস। কোম্পানিটির শেয়ার ২২৩ টাকা ১০ পয়সা থেকে ২১৯ টাকা ৪০ পয়সায় নেমে কেনাবেচা হওয়ার কারণে এ সময় সূচক কমে ৮ পয়েন্ট। বেক্সিমকো লিমিটেডের কারণে সূচক কমে ৭ পয়েন্ট এবং ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকোর কারণে সূচক কমে ৬ পয়েন্ট।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) লেনদেন পরিস্থিতিও ছিল একই রকম। এ বাজারের প্রধান মূল্য সূচক সিএসসিএক্স ২৬৫ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ২১ শতাংশ হারিয়ে ১১ হাজার ৭৩৩ পয়েন্টে অবস্থান করতে দেখা গেছে।

আরও পড়ুন

×