মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাব না?

এস এম এ খালেক
প্রকাশ: ০৯ মে ২০২২ | ১২:০০
১৯৭১ সালে দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের পূর্ব রসুলপুর গ্রামে আমার ধর্মবাবার বাড়িতে বসবাস করছিলাম। আমি ও সাহাদৎ হোসেন পার্বতীপুরের কাছে তার বোনের বাড়িতে গিয়ে পার্বতীপুরের অবস্থা জানার চেষ্টা করি। দুপুরের পর পূর্ব রসুলপুর গ্রামের দিকে রওনা দিই। কিছুক্ষণ পরেই দেখি এক দল অস্ত্রধারী পার্বতীপুর থেকে গ্রামের দিকে রওনা হয়েছে। আত্মরক্ষার্থে পাশের মাঠে কৃষকদের সঙ্গে বসে থাকি। আমাদের তারা দেখেও সাধারণ মানুষ ভেবে অন্যদিকে চলে যায়। বাড়িতে এসে রাতে গ্রামের প্রায় সব যুবককে একত্রিত করে ঘটনা বলি এবং এর উপায় খুঁজে বের করি। যুবকদের সংগঠিত করে ভারতে চলে যাই প্রশিক্ষণের জন্য। ভারতে প্রায় এক মাস প্রশিক্ষণ গ্রহণ করি। সেখানে আমি সেকশন কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করি। একদিন ট্রাকে উঠে রওনা দিই যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ করার জন্য। ক্যাপ্টেন আরপি সিংয়ের নেতৃত্বে বাংলাদেশের রাস্তা দিয়ে ডিমলা থানার দিকে প্রবেশ করতে থাকি। সন্ধ্যার আগে ডিমলা থানায় প্রবেশ করি। থানাতে থাকি বেশ কয়েক দিন। ডোমার এবং ডিমলা থানার মাঝে যে নদী সেখানে যুদ্ধ হয়। দু'দিন আমরা যুদ্ধে ছিলাম।
এর পর ডিমলা থানা থেকে জলঢাকা থানার দিকে রওনা দিই। কালিয়াগঞ্জ ব্রিজে সংঘর্ষ হয়। সেখানে আমি ছিলাম। আমি তখন প্লাটুন কমান্ডার। রেকি করে জলঢাকা থানায় প্রবেশ করি। জলঢাকা হাই স্কুলে আমাদের থাকার ব্যবস্থা করি। একদিন পরে জলঢাকা হাই স্কুল মাঠে বিকেলে জনসমাবেশ করি জনমত তৈরির জন্য। দু'দিন সেখানে থেকে মীরগঞ্জ হয়ে নীলফামারীতে যাই। নটখানায় ক্যাপ্টেন ইকবাল আমাদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন।
নীলফামারীর থানাগুলোতে ১০ জন করে বীর মুক্তিযোদ্ধার তালিকা করে পাঠানো হয়। আমাদের সঙ্গে ইপিআরের আব্দুল খালেক কোয়ার্টার মাস্টারের দায়িত্ব পালন করেন এবং আমরা কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা অফিসিয়াল কাজে নিয়োজিত হই। সব বীর মুক্তিযোদ্ধার স্লিপ দিয়ে তাদের দেওয়া আগ্নেয়াস্ত্র জমা নিয়ে ছুটি দেওয়া হলে তারা চলে যান। কোয়ার্টার মাস্টার আব্দুল খালেকও চলে যান। তার দায়িত্বে আমি কাজ করি। কয়েক দিনের মাথায় ক্যাপ্টেন ইকবাল চলে যান। আমরা তার দায়িত্ব পালন করি। বিভিন্ন কাজে শহরের বিভিন্ন জায়গাতে জিপে চলাচল করি। এক পর্যায়ে শহরে আসাদুজ্জামান নূরের সঙ্গে পরিচয় হয়। নীলফামারীতে আমি মুক্তিযুদ্ধের পরও দুয়েক মাস আমাদের বিভিন্ন অফিসের কাজে থাকি। কিছুদিন পর আমি ছুটি নিয়ে আমার ধর্মবাবার বাড়ি পার্বতীপুরের পূর্ব রসুলপুরে চলে যাই।
ভারতীয় কাটলা যুব অভ্যর্থনা প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের তালিকায় আমার নাম আছে। আমি মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশ নিলেও লাল মুক্তিবার্তায় কেন আমার নাম ওঠেনি, তা বোধগম্য নয়। মৃত্যুর আগে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি চাই।
বীরগঞ্জ, দিনাজপুর
এর পর ডিমলা থানা থেকে জলঢাকা থানার দিকে রওনা দিই। কালিয়াগঞ্জ ব্রিজে সংঘর্ষ হয়। সেখানে আমি ছিলাম। আমি তখন প্লাটুন কমান্ডার। রেকি করে জলঢাকা থানায় প্রবেশ করি। জলঢাকা হাই স্কুলে আমাদের থাকার ব্যবস্থা করি। একদিন পরে জলঢাকা হাই স্কুল মাঠে বিকেলে জনসমাবেশ করি জনমত তৈরির জন্য। দু'দিন সেখানে থেকে মীরগঞ্জ হয়ে নীলফামারীতে যাই। নটখানায় ক্যাপ্টেন ইকবাল আমাদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন।
নীলফামারীর থানাগুলোতে ১০ জন করে বীর মুক্তিযোদ্ধার তালিকা করে পাঠানো হয়। আমাদের সঙ্গে ইপিআরের আব্দুল খালেক কোয়ার্টার মাস্টারের দায়িত্ব পালন করেন এবং আমরা কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা অফিসিয়াল কাজে নিয়োজিত হই। সব বীর মুক্তিযোদ্ধার স্লিপ দিয়ে তাদের দেওয়া আগ্নেয়াস্ত্র জমা নিয়ে ছুটি দেওয়া হলে তারা চলে যান। কোয়ার্টার মাস্টার আব্দুল খালেকও চলে যান। তার দায়িত্বে আমি কাজ করি। কয়েক দিনের মাথায় ক্যাপ্টেন ইকবাল চলে যান। আমরা তার দায়িত্ব পালন করি। বিভিন্ন কাজে শহরের বিভিন্ন জায়গাতে জিপে চলাচল করি। এক পর্যায়ে শহরে আসাদুজ্জামান নূরের সঙ্গে পরিচয় হয়। নীলফামারীতে আমি মুক্তিযুদ্ধের পরও দুয়েক মাস আমাদের বিভিন্ন অফিসের কাজে থাকি। কিছুদিন পর আমি ছুটি নিয়ে আমার ধর্মবাবার বাড়ি পার্বতীপুরের পূর্ব রসুলপুরে চলে যাই।
ভারতীয় কাটলা যুব অভ্যর্থনা প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের তালিকায় আমার নাম আছে। আমি মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশ নিলেও লাল মুক্তিবার্তায় কেন আমার নাম ওঠেনি, তা বোধগম্য নয়। মৃত্যুর আগে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি চাই।
বীরগঞ্জ, দিনাজপুর
- বিষয় :
- মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি