কোচিং বাণিজ্য চলতেই থাকবে?

প্রতীকী ছবি
মোহাম্মদ মহসীন
প্রকাশ: ১৩ জুন ২০২২ | ১২:০০
আমাদের পাড়া-মহল্লায় যেভাবে কোচিং বাণিজ্য চলছে তা ভাবিয়ে তুলছে। আমরা যখন প্রাইমারি স্কুলে পড়তাম, তখন বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পিতা-মাতার চেয়েও বেশি ভয় পেতাম। স্যারদের আদেশ-নির্দেশ মেনে চলতে বাধ্য ছিলাম। তখনকার দিনে পড়াশোনার ক্ষেত্রে কোনোরূপ স্বজনপ্রীতি ছিল না। এখন আমরা দেখছি ভিন্ন চিত্র। কোথাও কোথাও কোচিংয়ে পড়লে শিক্ষকদের কাছে কদর অনেক বেড়ে যায় বলে লোকমুখে প্রচলিত। আমাদের সময় অনেকে অঙ্ক নিয়ে স্যারদের অফিস রুমে গিয়ে বলতে দেখতাম, স্যার, এই অঙ্কটি ক্লাসে বুঝিনি; আমাকে একটু সাহায্য করুন। স্যাররা আন্তরিকতার সঙ্গে তা করে দিতেন।
এখন শিশুশ্রেণির শিক্ষার্থীরাও কোচিংয়ে যায়! তখনকার দিনে শিক্ষকদের একটাই চিন্তা ছিল- অন্যের ছেলে মানুষ হোক, দেশ ও দশের কাজ করে বড় হোক; এটাই ছিল শিক্ষকদের চাওয়া-পাওয়া আর আনন্দের হাতছানি। অনেকের মতো আমার হাতের লেখা ভালো ছিল না। যাদের হাতের লেখা ভালো হতো, পরীক্ষায় তারা ভালো নম্বর পেত। একদিকে বাড়ির কাজ, পড়াশোনা, অন্যদিকে হাতের লেখা অবশ্যই স্কুলে জমা দিতে হবে। না দিলে বেতের আঘাত সহ্য করতে হতো। কখনও যদি পড়া পারতাম, হাতের লেখা একটু সুন্দর হতো, তাহলে স্কুল থেকে হাসিমুখে আনন্দ নিয়ে বাড়ি ফিরতাম। টিফিন আওয়ারের সময় দল বেঁধে বিশাল বটবৃক্ষের ডালে কিংবা ছায়াতলে বসতাম। আধুনিক আমলে সে কথা মনে হলে সন্তানদের প্রতি দুঃখ ছাড়া আর কিছুই বলার থাকে না। আমরা যখন বিদ্যালয়ে পড়তাম, তখনকার দিনে আমাদের বাতিঘর ছিলেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। সেকালের শিক্ষাব্যবস্থা উপলব্ধি করলে, অনাগত শিশুদের দিকে তাকালে নিজেকে অপরাধী মনে হয়।
যদিও সরকার কর্তৃক বলা আছে, শিক্ষকরা নিজ বাসভবনে বা কোনো কোচিং বাণিজ্যে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত থাকতে পারবেন না। কখনও ক্লাসরুম বা পতিত রুমে নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট অথবা কোচিং করাতে পারবেন না। এর পরও কোচিং চলছে। সরকার কোচিং বাণিজ্য বন্ধে বদ্ধপরিকর, যা তাঁরা মানছেন না। এই কোচিং বাণিজ্যের প্রতি নজর না রাখলে শিশুরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
সোনারগাঁ, নারায়ণগঞ্জ
এখন শিশুশ্রেণির শিক্ষার্থীরাও কোচিংয়ে যায়! তখনকার দিনে শিক্ষকদের একটাই চিন্তা ছিল- অন্যের ছেলে মানুষ হোক, দেশ ও দশের কাজ করে বড় হোক; এটাই ছিল শিক্ষকদের চাওয়া-পাওয়া আর আনন্দের হাতছানি। অনেকের মতো আমার হাতের লেখা ভালো ছিল না। যাদের হাতের লেখা ভালো হতো, পরীক্ষায় তারা ভালো নম্বর পেত। একদিকে বাড়ির কাজ, পড়াশোনা, অন্যদিকে হাতের লেখা অবশ্যই স্কুলে জমা দিতে হবে। না দিলে বেতের আঘাত সহ্য করতে হতো। কখনও যদি পড়া পারতাম, হাতের লেখা একটু সুন্দর হতো, তাহলে স্কুল থেকে হাসিমুখে আনন্দ নিয়ে বাড়ি ফিরতাম। টিফিন আওয়ারের সময় দল বেঁধে বিশাল বটবৃক্ষের ডালে কিংবা ছায়াতলে বসতাম। আধুনিক আমলে সে কথা মনে হলে সন্তানদের প্রতি দুঃখ ছাড়া আর কিছুই বলার থাকে না। আমরা যখন বিদ্যালয়ে পড়তাম, তখনকার দিনে আমাদের বাতিঘর ছিলেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। সেকালের শিক্ষাব্যবস্থা উপলব্ধি করলে, অনাগত শিশুদের দিকে তাকালে নিজেকে অপরাধী মনে হয়।
যদিও সরকার কর্তৃক বলা আছে, শিক্ষকরা নিজ বাসভবনে বা কোনো কোচিং বাণিজ্যে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত থাকতে পারবেন না। কখনও ক্লাসরুম বা পতিত রুমে নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট অথবা কোচিং করাতে পারবেন না। এর পরও কোচিং চলছে। সরকার কোচিং বাণিজ্য বন্ধে বদ্ধপরিকর, যা তাঁরা মানছেন না। এই কোচিং বাণিজ্যের প্রতি নজর না রাখলে শিশুরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
সোনারগাঁ, নারায়ণগঞ্জ
- বিষয় :
- কোচিং বাণিজ্য