ঢাকা সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫

সাক্ষাৎকার

বাংলাদেশি শিল্পীদের চেয়ে আমরা সুবিধা কম পাই: স্বস্তিকা

বাংলাদেশি শিল্পীদের চেয়ে আমরা সুবিধা কম পাই: স্বস্তিকা

স্বস্তিকা মুখার্জি

বুলবুল ফাহিম

প্রকাশ: ২৪ জানুয়ারি ২০২৪ | ১২:৩৬ | আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২৪ | ১৩:০৪

স্বস্তিকা মুখার্জি। পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় অভিনেত্রী। সম্প্রতি কলকাতায় মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত নতুন সিনেমা ‘বিজয়ার পরে’। অভিজিৎ শ্রী দাস পরিচালিত সিনেমাটি আজ ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো হবে। গত রোববার এ সিনেমা প্রদর্শনী উপলক্ষে ঢাকায় এসেছেন এই অভিনেত্রী। নতুন সিনেমা ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে।

চলচ্চিত্র উৎসব উপলক্ষে ঢাকা এলেন নাকি অন্য কাজও আছে...
না, এবারে শুধু এসেছি ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিতে। ২৪ জানুয়ারি আমার অভিনীত নতুন সিনেমা ‘বিজয়ার পরে’ দেখানো হবে। তাই একটু আগেভাগেই এসেছি। ঢাকায় আমার অনেক বন্ধু আছে, তাদের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছি। বেশ আনন্দে দিন চলে যাচ্ছে।

এর আগেও ঢাকায় এসেছেন, এবার কী মনে হচ্ছে...
এবার মনে হচ্ছে, ট্রাফিক জ্যামটা একটু বেশি। কলকাতার বাড়ি থেকে ঢাকার বিমানবন্দরে আসতে যতক্ষণ লেগেছে, বিমানবন্দর থেকে হোটেলে পৌঁছাতে তার চেয়ে বেশি সময় লেগেছে এবার। এর আগে ২০০৮ সালে শাকিব খানের সঙ্গে একটি ছবিতে অভিনয়ের জন্য বাংলাদেশে এসেছিলাম।

কোনো পরিবর্তন চোখে পড়ছে?
গত ১৫ বছরে এ দেশের অনেক অভিনয়শিল্পীর সঙ্গে আলাপ হয়েছে, বন্ধুত্ব হয়েছে। অনেক নির্মাতা আমার সঙ্গে কাজ করতে চাইছেন। এখন তো আমাদের ওখানে এ দেশের শিল্পীরা নিয়মিত কাজ করছেন, বিশেষ করে ওটিটিতে।

ওটিটিতে কাজের ক্ষেত্র কেমন মনে হয়?
ওয়েব কনটেন্টের কারণে এখন সবার দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন এসেছে। মুম্বাই, আসাম, পাঞ্জাব, কলকাতা, তামিল, তেলেগু ইন্ডাস্ট্রির সবাই একসঙ্গে কাজ করছে। বাংলাদেশেরও বহু অভিনয়শিল্পী কলকাতায় গিয়ে কাজ করছে। আমাদের ওখানকার শিল্পীরা এখানে এসে কাজ করছে। কাজের ক্ষেত্রটাও বেড়ে গেছে।

বাংলাদেশি দুটি সিনেমায় আপনার অভিনয়ের কথা রয়েছে। সেগুলোর খবর কী?
কামরুল ইসলাম রিফাতের ‘ওয়ান ইলেভেন’ সিনেমায় কাজ শুরু হবে এপ্রিল মাসে। তখন আবারও এ দেশে আসতে হবে। এ ছাড়া ‘আলতাবানু কখনো জোছনা দেখেনি’ সিনেমার কাজ কবে শুরু হবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের সিনেমা বা সিরিজের কনটেন্টের মধ্যে পার্থক্য কী?
আমি বাংলাদেশের সিনেমা ও সিরিজ নিয়মিত দেখি। এখানকার গল্প আর শিল্পীদের অভিনয় অসাধারণ। আমি মোশাররফ করিম, জয়া আহসান, চঞ্চল চৌধুরী, আফরান নিশোর কাজের ভক্ত। ওপার বাংলার সঙ্গে কাজের সঙ্গে তুলনা করলে আমি বলব, ব্যক্তিগতভাবে আমার বাংলাদেশের কনটেন্ট বেশি ভালো লাগে। এখানকার কন্টেন্ট ও শিল্পীরা অনেক স্ট্রং। তাই এখানে কাজের ইচ্ছা আমার প্রবল।

বর্তমানে দুই-বাংলায় যৌথভাবে বেশকিছু কাজ হচ্ছে। এদেশে এসে কাজের সুবিধা কেমন মনে হয়?
বাংলাদেশে এসে কাজ করার নিয়মকানুন অনেক বেশি। ইন্ডিয়া থেকে এখানে এসে কাজ করতে হলে ভিসার একটা বিষয় আছে, ট্যাক্সের বিষয় তো আছেই। আমরা এখানে এসে যে পারিশ্রমিক পাই তার ৩০ শতাংশ সরকারকে দিতে হয়। কিন্তু এখানকার শিল্পীরা যখন আমাদের ওখানে গিয়ে কাজ করছে তারা এই নিয়মের মধ্যে পড়ছে না। তারা কিন্তু আমাদের দেশে গিয়ে সিনেমা, ওটিটি, বিজ্ঞাপন ও ব্যান্ড ওপেনিংয়ে কাজ করছে। আমাদের ওখানে কিন্তু এমন নিয়ম নেই। ‍তুলনামূলকভাবে বাংলাদেশি শিল্পীদের চেয়ে আমরা কাজের সুবিধা কম পাই।

বাংলাদেশে এসেই কৌশিক হোসেন তাপসের সঙ্গে আড্ডা দিতে দেখা গেল। কোনো প্রজেক্ট নিয়ে কি আলোচনা হলো?
তাপস ভাইয়ের সঙ্গে আমার খুব ভালো সম্পর্ক। গানবাজনা হওয়ারও কথা ছিল। তাঁর সঙ্গে নতুন প্রজেক্ট নিয়ে কথা হচ্ছে। ফাইনাল হলে জানাব।

আপনি স্পষ্টবাদী অভিনেত্রী; এ জন্য সমস্যায় পড়তে হয় না?
স্পষ্টবাদী হওয়ার কারণে সব সময় সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। শুধু আমি নই, আপনিও যদি স্পষ্ট কথা বলেন, তাহলে আপনাকেও সমস্যায় পড়তে হবে। সমস্যা তো নানাবিধ আসতেই থাকে। তাই বলে আমার চরিত্র থেকে বের হয়ে আমি তো অন্য কেউ হয়ে যেতে পারব না।

আরও পড়ুন

×