নায়করাজের চলে যাওয়ার দিন আজ

নায়করাজ রাজ্জাক।
বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১ আগস্ট ২০২৪ | ১৩:২৪
অভিনয় জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র নায়করাজ রাজ্জাক। ২০১৭ সালের এই দিনে তিনি দেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনে বড় এক শূন্যতা তৈরি করে নিয়েছেন চিরবিদায়। চলচ্চিত্রে যাদের অবস্থান তৈরি হয়েছিল মেধা, মনন ও শ্রমে– নায়করাজ ছিলেন তাদের মধ্যে শীর্ষস্থানীয়। দেখতে দেখতে কেটে গেল নায়করাজহীন সাতটি বছর। সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকীতে নায়করাজের পরিবারের পক্ষ থেকে নায়করাজের স্মরণে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছেন আজ।
নায়করাজের ছোট ছেলে খালিদ হোসেন সম্রাট বলেন, ‘আব্বার মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে রাজধানীর উত্তরায় রাজলক্ষ্মী কমপ্লেক্সের মসজিদে বাদ আসর মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে। একই সময় বাসায়ও হবে মিলাদ ও দোয়া। দুপুরে আসা মেহমান এবং গরিব এতিমদের আম্মা নিজ হাতে খাওয়াবেন। পরিবারের সব সদস্য মিলে কবর জিয়ারত করতে যাব। আব্বার জন্য দোয়াটাই এখন বড়। সবার কাছে দোয়া চাই।’
এফডিসিতে নায়করাজ রাজ্জাককে নিয়ে কোনো স্মরণ অনুষ্ঠান আছে কিনা জানতে চাইলে সম্রাট বলেন, সেটা আমরা জানি না। দুঃখ নিয়ে তিনি বলেন, আব্বা মৃত্যুর পর দেখিনি এফডিসির কেউ তাঁর কবরে গিয়ে একটা ফুল দিতে। এফডিসির সব সংগঠন আব্বাকে হয়তো ভুলে গিয়েছে। কিন্তু দর্শকরা বাবাকে মনে রেখেছেন। বাবা তাঁর কাজের মাধ্যমেই সবার হৃদয়ে রয়েছেন।
নায়করাজ রাজ্জাকের জন্ম ১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারি কলকাতায়। ১৯৬৪ সালে ঢাকায় আসেন তিনি। এরপর জড়িয়ে পড়েন চলচ্চিত্রে। গীতিকার ও সাংবাদিক আহমদ জামান চৌধুরী খোকা তাঁরই বন্ধু নায়ক রাজ্জাকের নামের আগে ‘নায়করাজ’ যুক্ত করেছিলেন।
ষাটের দশকে বাংলা চলচ্চিত্র যখন উর্দু, কলকাতার বাংলা ও হিন্দি সিনেমার সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছিল তখন হঠাৎ জহির রায়হানের হাত ধরে বাংলা চলচ্চিত্রে আগমন ঘটে নায়করাজ রাজ্জাকের। ১৯৬৮ সালে জহির রায়হানের ‘বেহুলা’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে সিনেমা জগতে পূর্ণাঙ্গ অভিষেক ঘটে নায়ক রাজ্জাকের। এর আগে সহকারী পরিচালক ও পার্শ্ব-চরিত্রে অভিনয় করলেও ‘বেহুলা’ আব্দুর রাজ্জাক নামে সাধারণ এক অভিনেতার নামের সঙ্গে নায়কের তকমা জুড়ে দেয়। তারপর একের পর এক হিট সিনেমা উপহার দিয়ে রাজ্জাক হয়ে ওঠেন নায়করাজ। বাংলা চলচ্চিত্রে তিনি রাজত্ব করেন পাঁচ দশক ধরে। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি প্রায় ৫শ’র বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।
অভিনয়ের পাশাপাশি ছবি পরিচালনার কাজও করেছেন তিনি। কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা স্বাধীনতা পুরস্কার, পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননা পেয়েছেন গুণী এই চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব।
- বিষয় :
- নায়করাজ রাজ্জাক