ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

কপিরাইট সুরক্ষার নামে শিল্পীদের হয়রানির অভিযোগ

কপিরাইট সুরক্ষার নামে শিল্পীদের হয়রানির অভিযোগ

বিনোদন প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ আগস্ট ২০২০ | ০৫:১০ | আপডেট: ০৬ আগস্ট ২০২০ | ০৫:৪০

কপিরাইট সুরক্ষার নামে ওলোরা আফরিন নামে এক আইনজীবী ও তার প্রতিষ্ঠান লাইসেন্সিং অ্যান্ড কালেক্টিং সোসাইটি ফর সিনেমাটোগ্রাফ ফিল্ম (এলসিএসসিএফ) সংগীতশিল্পী, মিউজিক কোম্পানি, চলচ্চিত্র প্রযোজক ও সার্ভিস প্রোভাইডারদের হয়রানি করছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। বৃহস্প্রতিবার বাংলাদেশ মিউজিক্যাল ব্যান্ড অ্যাসোসিয়েশন (বামবা), মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিজ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এমআইবি) ও বাংলাদেশ ফিল্ম প্রোডিউসার্স অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউটর্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএফপিডিএ) সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করে।

দুপুরে রাজধানীর একটি রেস্তোরাঁয় আয়োজতি ওই সংসবাদ সম্মেলনে বামবার সভাপতি ও মাইলসের সদস্য হামিন আহমেদ বলেন, ওলোরা আফরিন ও তার প্রতিষ্ঠানের করা মামলায় একজন ব্যান্ড তারকাকে জেলে যেতে হয়েছে। অথচ সেই আইনজীবী বামবার সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজনও বোধ করেনি।

হামিন  আহমেদ বলেন, ‘৪০ বছর পার করেছে মাইলস। মাইলস ছাড়া আরও যারা আছেন, তাদেরও দীর্ঘ ক্যারিয়ার। কিন্তু হঠাৎ বহিরাগতদের কারণে আমরা হয়রানি আর জেল-জরিমানার শিকার হচ্ছি। এখন এগুলো কি আমরা গ্রহণ করবো, নাকি মিউজিক ছেড়ে দেবো? এই প্রশ্নটাই আমাদের সবার মনে।’

সংবাদ সম্মেলনে ওলোরার আফরিনের ফোন কথোপকথনের রেকর্ড শোনানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ওলোরা আফরিন তার লাইসেন্সিং অ্যান্ড কালেক্টিং সোসাইটি ফর সিনেমাটোগ্রাফ ফিল্ম নামের প্রতিষ্ঠানটি কপিরাইট দেখার অনুমতি (সিএমও) নিয়েছে এবং কপিরাইট প্রশ্নে নানা ধরনের মামলা ও নোটিশ পাঠিয়ে যাচ্ছেন। অথচ এই প্রতিষ্ঠানে সিনেমা সংশ্লিষ্ট কেউ নাই। সেই আইনজীবী নিজেও সিনেমার সঙ্গে যুক্ত নন। তার দেওয়া ‘অবৈধ, অনৈতিক ও অস্বাস্থ্যকর’ প্রস্তাবে কেউ রাজি না হলেই তার বিরুদ্ধে নোটিশ পাঠান সেই আইনজীবী, যার শিকার হন ইউটিউব কন্টেন্টের বাংলাদেশ অংশের দেখভাল করা কাইনেটিক নেটওয়ার্কের জুয়েল মোর্শেদ, নাফিস, জামশেদ ও সানজি। এমনকি কারাগারে যেতে হয় জামশেদকে।

মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিজ ওনারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এমআইবি) প্রেসিডেন্ট এ কে এম আরিফুর রহমান বলেন, ‘আমাদের সমস্যা আমরা সমাধান করবো। কোনও তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ গ্রহণযোগ্য নয়।’

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ফিল্ম প্রোডিউসার্স অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউটর্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফপিডিএ) সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু বলেন, ‘দ্রুত ওলোরা আফরিন ও তার প্রতিষ্ঠান লাইসেন্সিং অ্যান্ড কালেক্টিং সোসাইটি ফর সিনেমাটোগ্রাফ ফিল্মকে দেওয়া কপিরাইট দেখভালের সিএমও বাতিল চাই। এটাকে বাতিল না করলে আমরা সম্মিলিতভাবে আইনি পদক্ষেপ নেবো।’

এসময় আরও বক্তব্য দেন এমআইবি’র মহাসচিব এসকে সাহেদ আলী পাপ্পু, কাইনেটিক নেটওয়ার্কের প্রতিনিধি ও সংগীতশিল্পী জুয়েল মোর্শেদ, চেনা সুরের স্বত্বাধিকারী ও গীতিকার হাসান মতিউর রহমান, ইবিএসের পরিচালক এনামুল হক, গীতিকার মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এখন থেকে বামবা, এমআইবি ও বিএফপিডিএ একযোগে কাজ করবে।

আরও পড়ুন

×