ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৯

সুচন্দার অনুভূতি পড়া হয়নি, আমন্ত্রণ পাননি ববিতা

সুচন্দার অনুভূতি পড়া হয়নি, আমন্ত্রণ পাননি ববিতা

ববিতা ও সুচন্দা, ফাইল ফটো

বিনোদন প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২১ | ০৪:১০ | আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২১ | ০৬:০১

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির জন্য সবচেয়ে বড় ও মর্যাদার আসর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। শিল্পীদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির এ আসরটি প্রায় প্রতি বছরই জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। যে আসরে প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক গ্রহণ করে ধন্য হন শিল্পীরা। কাজের স্বীকৃতি নিয়ে নতুন উদ্যমে আবার কাজে ফেরেন তারা।

এবারও চলচ্চিত্র শিল্পীদের ধন্য করা হয়েছে কাজের স্বীকৃতি দিয়ে। এ আসরেও চলচ্চিত্রে অসামান্য অবদানের জন্য দুই মহারথীকে জানানো হয়েছে আজীবন সম্মাননা। এই সম্মাননা গতবছর জানানো হয়েছিল যৌথভাবে নায়ক ফারুক ও ববিতাকে।

এবারের অর্থাৎ ২০১৯ সালের পুরস্কারের আসরে আজীবন সম্মাননা জানানো হয় অভিনেতা সোহেল রানা ও সুচন্দাকে।

রোববার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের পদক বিতরণ অনুষ্ঠান। এ আয়োজনে সোহেল রানা সশরীরে হাজির হয়ে সম্মাননা পদক গ্রহণ করলেও হাজির হতে পারেননি জহির রায়হানের সহধর্মিণী অভিনেত্রী সুচন্দা। তার পক্ষে সম্মাননা গ্রহণ করেন মেয়ে। এদিকে সুচন্দা না এলেও ছেলে ও মেয়েকে দিয়ে তার অনুভূতির কথা লিখে পাঠিয়েছিলেন সবার কাছে। যা পড়তে বলেছিলেন ছেলেকে। কিন্তু সেটা পড়া হয়নি এ আসরে। তাই সুচন্দা কেন এলেন না সেটা জানতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী।

অন্যদিকে সিনেমার বড় এ আয়োজনে ঢাকাই ছবির কিংবদন্তি অভিনেত্রী ববিতাকে কোনো আমন্ত্রণই জানানো হয়নি। আমন্ত্রণ তো দূরের কথা কেউ তাকে একবার ফোন করেও বলেননি বলে জানান ববিতা। অথচ ২০১৮ সালে এমন আসরেই প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে আজীবন সম্মাননা পুরস্কার নিয়েছেন ববিতা।

তথ্যমন্ত্রীর হাত থেকে আজীবন সম্মাননা গ্রহণ করছেন সোহেল রানা।

রোববার সমকালের সঙ্গে এক আলাপে ববিতা বলেন, বিষয়টা আমার মোটেও ভালো লাগেনি। কারণ গত সপ্তাহে তার  (সুচন্দা ) বাইপাস হয়েছে। তিনি পদক গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারবেন না বলেই কিছু অনুভূতির কথা লিখে পাঠিয়েছিলেন। যেটা জহির রায়হানের ছেলে অপু রায়হান পড়ে শোনাবে। কিন্তু সেটা পড়ে শোনানো হয়নি। বিষয়টি ভালো লাগেনি। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে সুচন্দা কেন এল না এটা প্রধানমন্ত্রীও জানতে পারলেন না। সবচেয়ে দুঃখজনক কথা হচ্ছে, গতবার তো আমিও আজীবন সম্মাননা পেয়েছি। অথচ এবার আমাকে বলারও প্রয়োজনবোধ করেননি তারা। 

রোববার পূর্বঘোষিত ২৬টি ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের হাতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের পদক তুলে দেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। প্রতিবারের মতো এবারও দুইপর্বে অনুষ্ঠিত হয় এই আয়োজন। প্রথম পর্বে বিজয়ীদের হাতে পদক তুলে দেওয়া হয়। দ্বিতীয় পর্বে ছিল সাংস্কৃতিক আয়োজন।

২০১৯ সালের সেরা ছবি হিসেবে যৌথভাবে নির্বাচিত হয়েছে তৌকীর আহমেদের 'ফাগুন হাওয়ায়' ও তানিম রহমান অংশুর 'ন ডরাই'। এবারের আসরে সর্বোচ্চ আটটি বিভাগে পুরস্কার পেয়েছে মাসুদ পথিকের 'মায়া দ্য লস্ট মাদার'। ছয়টি বিভাগে পুরস্কার পায় 'ন ডরাই'। তিনটি করে পুরস্কার পায় ইমপ্রেস টেলিফিল্মের 'ফাগুন হাওয়ায়' ও দেশ বাংলা মাল্টিমিডিয়ার 'মনের মতো মানুষ পাইলাম না'। 'ন ডরাই' ছবির জন্য সেরা পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তানিম রহমান অংশু।

এবারের আসরে সেরা অভিনেতা তারিক আনাম খান (আবার বসন্ত)। সেরা অভিনেত্রী সুনেরা বিনতে কামাল (ন ডরাই), সেরা পার্শ্ব- অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু (ফাগুন হাওয়ায়), সেরা পার্শ্ব- অভিনেত্রী নারগিস আখতার হাসুনেয়ারা (মায়া দ্য লস্ট মাদার) ও সেরা খল অভিনেতা জাহিদ হাসান (সাপলুডু)। এর আগে ২০১৭ সালে একই বিভাগে 'হালদা' ছবির জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন এই অভিনেতা।

আরও পড়ুন

×