ঢাকা মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫

ফরিদা পারভীনের জ্বর নেই, কৃত্রিম অক্সিজেনও লাগছে না

ফরিদা পারভীনের জ্বর নেই, কৃত্রিম অক্সিজেনও লাগছে না

বিনোদন প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২১ | ০৪:২৩ | আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২১ | ০৪:২৬

করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া লালনসংগীতের বরেণ্য শিল্পী ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। এখন জ্বর নেই তার, দিতে হচ্ছে না কৃত্রিম অক্সিজেনও। দুই তিনের মধ্যে তার কোভিড-১৯ পরীক্ষা করানো হবে আবার। পরীক্ষায় ফল নেগেটিভ এলেই বাসায় নিয়ে যাওয়া হবে তাকে। শুক্রবার সমকালকে ফরিদা পারভীনের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা প্রসঙ্গে এমনটাই জানালেন তার ছেলে ইমাম জাফর নোমানী। 

ফরিদা পারভীনের মধ্যে এখন করোনার তেমন কোনো উপসর্গ নেই। কিন্তু কিডনি সমস্যা আছে তার, হাসপাতালে এখন সেটারই ট্রিটমেন্টের দিকেই বেশি নজর দেওয়া হচ্ছে। 

ফরিদা পারভীনের ছেলে ইমাম জাফর নোমানী বলেন, মায়ের অবস্থা এখন আগের চেয়ে অনেক বেটার। আল্লাহর রহমতে মা বেশ ভালোভাবেই রিকভার করছেন। মায়ের জ্বর নেই. কৃত্রিম উপায়ে অক্সিজেন দিতে হচ্ছে না। তবে লাঙ্ক এফেক্টেড হওয়া এটা সেড়ে উঠতে কিছুটা সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন ডাক্তার। এ ছাড়া সব কিছুই স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছে। দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে তার আবার কোভিট টেস্ট করানো হবে। আমরা আশা করছি, এবার মায়ের রিপোর্ট নেগেটিভ আসবে। নেগেটিভ এলেই বাসায় নিয়ে যিতে পারবো। 

করোনা পজেটিভ হওয়ার পর থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শে বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছিলেন ফরিদা পারভীন। কিন্তু হুট করে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ১২ এপ্রিল তাকে  হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

৯৬৮ সালে রাজশাহী বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে নজরুল সংগীত গাইতে শুরু করেন ফরিদা। ১৯৭৩ সালের দিকে দেশাত্মবোধক গান গেয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন তিনি।সাধক মোকসেদ আলী শাহের কাছে ফরিদা পারভীন লালনসংগীতে তালিম নেন।

ফরিদা পারভীন ১৯৮৭ সালে সংগীতাঙ্গনে বিশেষ অবদানের জন্য একুশে পদক পান। এ ছাড়া ২০০৮ সালে তিনি জাপান সরকারের পক্ষ থেকে ‘ফুকুওয়াকা এশিয়ান কালচার’ পুরস্কারও পেয়েছেন। সেরা প্লে-ব্যাক গায়িকা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন ১৯৯৩ সালে।

শিশুদের লালনসংগীত শিক্ষার জন্যে ‘অচিন পাখি স্কুল’ নামে একটি গানের স্কুল গড়ে তুলেছেন তিনি।

আরও পড়ুন

×