ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

গভীর রাতে কবরীর বাড়িতে অজ্ঞাত লোকজন, থানায় জিডি

গভীর রাতে কবরীর বাড়িতে অজ্ঞাত লোকজন, থানায় জিডি

প্রয়াত অভিনেত্রী কবরী

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০২১ | ১০:০৮ | আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০২১ | ১১:১৬

প্রয়াত অভিনেত্রী কবরীর গুলশান-২ নম্বরের বাড়িতে গভীর রাতে অজ্ঞাতপরিচয়ের লোকজন ঢুকে পড়ার অভিযোগ উঠেছে। বাড়িটি দখলের পাঁয়তারা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন কবরীর ছোট ছেলে শাকের ওসমান চিশতী।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে অজ্ঞাত কয়েকজন কবরীর ওই বাড়িতে ঢুকে পড়েন। পরে মানুষের উপস্থিতি টের পেলে তারা পালিয়ে যান। এ ব্যাপারে গত মঙ্গলবার গুলশান থানায় সাধারণ ডায়রি করেছেন কবরীর ছেলে।

জিডিতে শাকের অভিযোগ করে বলেন, গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাত আড়াইটার দিকে আমার বাসার সিঁড়িতে কিছু মানুষের শব্দ পাই। এরপর সিসি ক্যামেরায় দেখি, গ্রাউন্ড ফ্লোরের সব বাতি নেভানো। সিঁড়িতে পায়ের শব্দ পেয়ে ইন্টারকমে ফোন করি। কর্তব্যরত সিকিউরিটি গার্ড ফোন না ধরায় আমার সন্দেহ বাড়তে থাকে। ২০ মিনিট পর রাত ২টা ৫০ মিনিটে ক্যামেরায় দেখি তিন ব্যক্তি ফোনের আলো জ্বালিয়ে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামছেন। পরে একটি মোটরসাইকেলে করে তারা চলে যান। এরপর আমি ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে দায়িত্বরত পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করি।

তিনি বলেন, ফোন পেয়ে রাত সোয়া তিনটার দিকে পুলিশ আসে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাসার সিকিউরিটি গার্ড সব লাইট জ্বালিয়ে দেন। এরপর গার্ড জানান, বাসার কেয়ারটেকার সহিদুল ইসলামের কথায় তিনি লাইট নিভিয়েছিলেন।

এ ব্যাপারে গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজিজুল হক বলেন, কবরীর ছেলের অভিযোগ পেয়ে আমরা তাদের গুলশান লেক রোডের বাড়িতে যাই। এই অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছি আমরা।

শাকের চিশতী বলেন, ২০০১ সালে আমরা আবাসন প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে পাঁচতলা বাড়িটি নির্মাণ করিয়েছি। মা মারা যাওয়ার আগে গুলশানের এই বাড়িটি নিয়ে নানা আশঙ্কা করেছেন। বাড়ির দুই ফ্ল্যাট মালিকের একজন তিন বছর এবং আরেকজন চার বছর সার্ভিস চার্জ দিচ্ছিলেন না। প্রতিবাদ করলে সেই থেকে শুরু হয় দ্বন্দ্ব। মামলা পর্যন্ত গড়িয়েছে বিষয়টি নিয়ে। তারা ভেবেছে, মা যেহেতু এখন আর নেই, সহজে বাড়িটি দখল করতে পারবে। তাই হলো, আমাদের বাড়িটি দখলের চেষ্টা চলছে। আম্মু যখন মারা গেল, তখন ভেবেছিলাম কিছু পরিবর্তন হতে পারে। কিন্তু উল্টো আরও অ্যাগ্রেসিভ হলো। মা জীবিত থাকতে লাঞ্ছিত হয়েছে। আমি এখন হুমকির মুখে আছি।

আরও পড়ুন

×