ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

রইসের জন্য আট মাস চুল-দাড়ি কাটিনি: মীর সাব্বির

রইসের জন্য আট মাস চুল-দাড়ি কাটিনি: মীর সাব্বির

বিনোদন প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০২১ | ০১:২০ | আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২১ | ০১:২৩

মীর সাব্বির। অভিনেতা ও নির্মাতা। আগামী ৩১ ডিসেম্বর মুক্তি পেতে যাচ্ছে তার সিনেমা 'রাত জাগা ফুল'। পরিচালনার পাশাপাশি এতে অভিনয়ও করেছেন তিনি। নিজের প্রথম সিনেমা ও অন্যান্য বিষয়ে কথা হয় তার সঙ্গে-

প্রথম সিনেমা মুক্তি পেতে যাচ্ছে। এই শুভ সময়ে কেমন লাগছে?

ভালো লাগছে। যে ছবি নিয়ে দিনের পর দিন কাজ করেছি, সবার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ভালো কিছু তুলে ধরার চেষ্টায় ছিলাম, এখন সেটি দর্শক দেখবেন। এসব ভেবে অন্য রকম এক অনুভূতি হচ্ছে, যা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। সিনেমাটি নির্মাণের সময় করোনার ধাক্কা সইতে হয়েছে। এর পরও যে এটি নির্মাণ করতে পেরেছি, তা আনন্দের। দর্শক সিনেমাটি দেখে সিদ্ধান্ত নেবেন, অন্যকে বলবেন কি বলবেন না। এ দায়িত্ব তাদের। ট্রেইলার দেখে অনেকেই বলছেন, সিনেমাটির প্রশংসা দর্শকের মুখে মুখে ছড়াবে।

সিনেমার নাম 'রাত জাগা ফুল' কেন?

গল্পে রহস্য আছে। সিনেমা উপজীব্য 'মানুষ, প্রেম ও প্রকৃতি'। রাত জাগা পাখির কথা শুনেছি। কিন্তু রাত জাগা ফুল কেন- এমন প্রশ্ন মাথায় আসা স্বাভাবিক। দর্শক হলে গিয়ে এর ব্যাখ্যা পাবেন। সব অন্ধকারের মধ্যে একটা অদ্ভুত আলো থাকে। মানুষের ভেতরেও আলো-আঁধার আছে। রূপক অর্থে ছবির নাম 'রাত জাগা ফুল' রেখেছি।

সিনেমা মুক্তির প্রথম দিনে দর্শকদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করবেন নিশ্চয়-

হ্যাঁ, সে রকম কিছু পরিকল্পনা আছে। প্রথম দিন হলে হলে ঘুরব। সিনেমার শিল্পী-কলাকুশলীরা থাকবেন আমার সঙ্গে। শো টাইম অনুযায়ী এর পরিকল্পনা করছি। অনেক সহকর্মী থাকবেন। তারাও সিনেমার প্রচারণা চালাচ্ছেন।

সিনেমায় 'রইস' চরিত্রে অভিনয় করেছেন। রইস হয়ে ওঠার জার্নি কেমন ছিল?

'রইস' চরিত্রটি যখন আমি লিখেছি, তাকে এক রকম আবিস্কার করেছি। রইস অবহেলা-অনাদরে বড় হওয়া এক মানুষ। সে ছোট একটি ঘর বানিয়ে বসবাস করে। চরিত্রটি ধারণ করার জন্য অনেক আগে থেকেই চেষ্টা করেছি। আমাদের প্রকৃতির সঙ্গে যোগাযোগ নেই বললেই চলে। রইস হচ্ছে সেই প্রকৃতিরই একটি অংশ। চরিত্রটি হয়ে ওঠার জন্য শুটিংয়ের প্রায় আট মাস আগে থেকে চুল কাটা বন্ধ করে দিই। এক সময় দাড়ি কাটাও বন্ধ করেছি। আমার বয়সের চেয়ে রইস উদ্দিনের বয়স একটু বেশি। যে জন্য শরীরকে ভারি করতে হয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে চরিত্রটির জন্য অনেক কষ্ট করেছি।

'রাত জাগা ফুল' দর্শকের প্রত্যাশা কতটা পূরণ করবে বলে আপনার মনে হয়?

দর্শক সিনেমায় ভালো গল্প দেখতে চান। চেষ্টা করেছি তেমন একটি গল্প বলতে। পাশাপাশি ফটোগ্রাফি, মিউজিকের দিকেও যত্ন নিয়েছি। দর্শকের ভালো লাগার কথা মাথায় রেখেই এর কাহিনি লেখা ও নির্মাণে নতুনত্ব তুলে ধরার চেষ্টা ছিল। একই সঙ্গে আমরা যারা শিল্পী ও অন্যান্য কাজে জড়িত ছিলাম, সবার চেষ্টা ছিল নিজেদের সেরাটাই তুলে ধরার। কারণ শুরু থেকে একটা কথাই মাথায় রাখতে হয়েছে- দর্শকই সিনেমার প্রাণ। তাদের আনন্দ দিতেই আমাদের এত প্রচেষ্টা।

অভিনয় ও পরিচালনা একসঙ্গে কতটা চ্যালেঞ্জিং?

আমার কাছে সহজই মনে হয়। দীর্ঘদিন নাটকে পরিচালনা ও অভিনয় একসঙ্গে করে আসছি। পরিকল্পনা ঠিক থাকলে কোনো চাপ মনে হয় না। 'রাত জাগা ফুল' সিনেমার জন্য অনেক বছর ধরে পরিকল্পনা করেছি। প্রিপ্রোডাকশনে সময় দিয়েছি। সবকিছু গুছিয়ে শুটিংয়ে নেমেছি বলেই বাড়তি কোনো চাপ মনে হয়নি।

আরও পড়ুন

×