বিয়ের ২৯ দিনের মাথায় ইলিয়াস-সুবাহর পাল্টাপাল্টি জিডি

গত ২৪ ডিসেম্বর হুট করে গায়ক ইলিয়াসের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গায়ে হলুদের ছবি প্রকাশ করেন ক্রিকেটার নাসিরের সঙ্গে প্রেম করে আলোচনায় আসা সুবাহ। পরে ইলিয়াসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ডিসেম্বরের ১ তারিখে তারা বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন।

কিন্তু বিয়ের ২৯ দিনের মাথায় একে অপরকে পুলিশের দারস্থ হতে হলো। উভয় একে অপরের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। সম্মানহানী, নিজেকে আঘাত করে নারী নির্যাতন, মামলার ভয় ও নিরাপত্তাহীনতার বিষয়গুলো উল্লেখ করেন ডায়েরিতে। রমনা মডেল থানায় সাধারণ ওই ডায়েরি করেন গায়ক। ইলিয়াসের করা জিডি নম্বর ১৬২২।

অন্যদিকে স্বামীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এনে জিডি করেছেন সুবাহও। বুধবার রাতে বনানী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তিনি। জিডি নম্বর ২৫১৬। 

ইলিয়াসের সঙ্গে সুবাহর বিয়ের কথা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই শুরু হয় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ। প্রকাশ্যে আসতে থাকে নানা তথ্য। সুইডেন থেকে ইলিয়াসের দ্বিতীয় স্ত্রী কারিন জানান, ইলিয়াস তাকে ডিভোর্স না দিয়েই সুবাহকে বিয়ে করেছেন এবং তিনি ইলিয়াসের তৃতীয় বিয়ে সম্পর্কে কিছুই জানেন না।

কারিনের এমন দাবির পর সুবাহ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জানান, কারিনের সঙ্গে ইলিয়াসের বিচ্ছেদের হওয়ার পরই তিনি বিয়ে করেছেন এবং বিচ্ছেদের কাগজও তার কাছে আছে। ফেসবুকে সে কাগজ পোস্টও করেন সুবাহ। 

সুবাহর এমন দাবির পর সাংবাদিকদের কাছে ইলিয়াসের কল রেকর্ড পাঠান কারিন। যেখানে দেখা যায়, ইলিয়াস কারিনকে বলছেন, সুবাহ তাকে ব্ল্যাকমেইল করে বিয়ে করেছেন। সে ডিভোর্স কাগজ পাঠালেও যেন ডিভোর্সে না দেন। 

দুই স্ত্রীকে ম্যানেজ করার এমন কথাবার্তা ফাঁস হওয়ার পরই চূড়ান্ত বিবাদে জড়ান ইলিয়াস-সুবাহ। তাদের মধ্যে হাতাহাতিও হয়। উভয়ে তাদের মার খাওয়ার ছবি সাংবাদিকদের কাছে সরবরাহ করেন।

'না বলা কথা', 'আমার ভিতর', 'এক পলকে', 'নীল নয়না', 'সারাটি জীবন', 'শোন একটা কথা বলি' গানগুলোর মাধ্যমে শ্রোতামহলে জনপ্রিয়তা পান ইলিয়াস। 

সুবাহ ২০১৯ সালে রফিক সিকদারের 'বসন্ত বিকেল' চলচ্চিত্রের মাধ্যমে সিনেমার কাজ শুরু করেন। এরপর একে একে ছয়টি চলচ্চিত্রে কাজ করেন সুবাহ। যদিও এখন পর্যন্ত তার কোনো ছবিই মুক্তি পায়নি।