নিজ তাগিদে আঁকেন ছবি

মুহাম্মদ শফিকুর রহমান
প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২২ | ১২:০০
ছবি আঁকা নিয়ে স্বজনদের নানা কটাক্ষ শুনেছেন তিনি। তবু দমে যাননি। আঁকতে যে ভালো লাগে তাঁর। চালিয়ে গেছেন ছবি আঁকা। দেশি-বিদেশি অসংখ্য প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন। সঙ্গে থেকে সাহস জুগিয়েছেন মা-বাবা। এই চিত্রশিল্পীর নাম প্রজ্ঞা লাবনী। তিনি পেশায় একজন কম্পিউটার প্রকৌশলী। পড়াশোনা করেছেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে। তাঁর বাবা প্রিয়রঞ্জন মহাজন; বাংলাদেশ বিমানে কর্মরত। মা কুমকুম মহাজন গৃহিণী।
লাবনী ক্যানভাসে প্রথম ছবি আঁকেন ২০১৬ সালে। একটি মেয়ে মুক্তভাবে বেঁচে থাকতে চায়- এমনটাই তিনি প্রথম ছবিতে এঁকেছেন, যার নাম ছিল 'হোপ'। তিনি অ্যাক্রিলিক কালার দিয়ে ক্যানভাস পেপারে আঁকেন। পাশাপাশি তেলরংও ব্যবহার করেন। ক্যানভাস, ক্যানভাস পেপার, হ্যান্ড মেইড পেপার ইত্যাদি মিডিয়ায় তাঁর ছবিগুলো প্রশংসিত হয়েছে। 'উইমেন'স স্ট্রেন্থ' তাঁর খুব জনপ্রিয় একটি ছবি, যা ইএমকে সেন্টারের প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছিল। লাবনী জানান, ছবিটিতে প্যান্ডেমিকে নারীর ভূমিকা তুলে ধরা হয়। চাকরির ব্যস্ততার পরও ছবি আঁকেন তিনি। জানান, মূলত রাতে এবং বন্ধের দিন ছবি আঁকি। অবশ্য ছোটবেলা থেকেই সেলাই, বিতর্ক, সংগীতসহ সবকিছুতে তিনি কমবেশি সফলতা পেয়েছেন। রং দিয়ে রাঙাতে তাঁর ভালো লাগে। তিনি বলেন, 'বরাবরই ইচ্ছা ছিল চিত্রশিল্পী হবো। তাই বড় হয়ে ছবি আঁকার চর্চা ছাড়তে পারিনি।' ভিকারুননিসা নূনের ছাত্রী ছিলেন। সেখানে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ছবি আঁকার সুযোগ ছিল। এরপর ইউটিউব, পিন্টারেস্টের বিভিন্ন ভিডিও দেখেই ছবি আঁকার কৌশল রপ্ত করেন।
ছবি আঁকা লাবনীর সম্পূর্ণ শৌখিন কাজ। তবে এর মাধ্যমে তিনি কিছু অর্থ আয়ও করেন। তাঁর ছবির দাম ৫০০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত। মাসে দু-একটি বিক্রি হয় বলে তিনি জানান।
প্রথম আয়ের টাকা দিয়ে তিনি মাকে শাড়ি, বাবাকে পাঞ্জাবি উপহার দিয়েছিলেন। ছবি আঁকাআঁকির চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে লাবনী বলেন, 'চিত্রশিল্পী হিসেবে যে চ্যালেঞ্জটা সব সময় ফেস করতে হয় তা হলো- নবীনদের জন্য উপযুক্ত প্ল্যাটফর্ম খুব কম। যারা নিজ প্রচেষ্টায় চিত্রকর্ম শিখেছে, তাদের সুযোগের অভাব। তাদের জন্য এক্সিবিশন এবং মূল্যায়নের জন্য প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে হবে।'
লাবনী বলেন, 'অবশ্যই নারীদের উচিত চাকরি এবং ঘর সামলানোর পাশাপাশি নিজের শখকে প্রাধান্য দেওয়া। তা হতে পারে চিত্রকর্ম, গার্ডেনিং অথবা সেলাই। শখকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করলে তা হতে পারে অন্যতম আয়ের উৎস।'
ছবির প্রদর্শনীতে অংশ নিতে লাবনী খুব পছন্দ করেন। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, 'এক্সিবিশনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বিভিন্ন গুণী শিল্পীর কাজ সামনে থেকে দেখা যায়। এতে একটি বিশাল প্ল্যাটফর্ম তৈরি হয়। গুণী শিল্পীদের সান্নিধ্যে নতুন অনেক কিছু শেখা যায়।'
লাবনী ২০২০ থেকে অনেক এক্সিবিশনে অংশগ্রহণ করেছেন। একটি আর্ট স্কুল প্রতিষ্ঠা করার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর। া
লাবনী ক্যানভাসে প্রথম ছবি আঁকেন ২০১৬ সালে। একটি মেয়ে মুক্তভাবে বেঁচে থাকতে চায়- এমনটাই তিনি প্রথম ছবিতে এঁকেছেন, যার নাম ছিল 'হোপ'। তিনি অ্যাক্রিলিক কালার দিয়ে ক্যানভাস পেপারে আঁকেন। পাশাপাশি তেলরংও ব্যবহার করেন। ক্যানভাস, ক্যানভাস পেপার, হ্যান্ড মেইড পেপার ইত্যাদি মিডিয়ায় তাঁর ছবিগুলো প্রশংসিত হয়েছে। 'উইমেন'স স্ট্রেন্থ' তাঁর খুব জনপ্রিয় একটি ছবি, যা ইএমকে সেন্টারের প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছিল। লাবনী জানান, ছবিটিতে প্যান্ডেমিকে নারীর ভূমিকা তুলে ধরা হয়। চাকরির ব্যস্ততার পরও ছবি আঁকেন তিনি। জানান, মূলত রাতে এবং বন্ধের দিন ছবি আঁকি। অবশ্য ছোটবেলা থেকেই সেলাই, বিতর্ক, সংগীতসহ সবকিছুতে তিনি কমবেশি সফলতা পেয়েছেন। রং দিয়ে রাঙাতে তাঁর ভালো লাগে। তিনি বলেন, 'বরাবরই ইচ্ছা ছিল চিত্রশিল্পী হবো। তাই বড় হয়ে ছবি আঁকার চর্চা ছাড়তে পারিনি।' ভিকারুননিসা নূনের ছাত্রী ছিলেন। সেখানে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ছবি আঁকার সুযোগ ছিল। এরপর ইউটিউব, পিন্টারেস্টের বিভিন্ন ভিডিও দেখেই ছবি আঁকার কৌশল রপ্ত করেন।
ছবি আঁকা লাবনীর সম্পূর্ণ শৌখিন কাজ। তবে এর মাধ্যমে তিনি কিছু অর্থ আয়ও করেন। তাঁর ছবির দাম ৫০০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত। মাসে দু-একটি বিক্রি হয় বলে তিনি জানান।
প্রথম আয়ের টাকা দিয়ে তিনি মাকে শাড়ি, বাবাকে পাঞ্জাবি উপহার দিয়েছিলেন। ছবি আঁকাআঁকির চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে লাবনী বলেন, 'চিত্রশিল্পী হিসেবে যে চ্যালেঞ্জটা সব সময় ফেস করতে হয় তা হলো- নবীনদের জন্য উপযুক্ত প্ল্যাটফর্ম খুব কম। যারা নিজ প্রচেষ্টায় চিত্রকর্ম শিখেছে, তাদের সুযোগের অভাব। তাদের জন্য এক্সিবিশন এবং মূল্যায়নের জন্য প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে হবে।'
লাবনী বলেন, 'অবশ্যই নারীদের উচিত চাকরি এবং ঘর সামলানোর পাশাপাশি নিজের শখকে প্রাধান্য দেওয়া। তা হতে পারে চিত্রকর্ম, গার্ডেনিং অথবা সেলাই। শখকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করলে তা হতে পারে অন্যতম আয়ের উৎস।'
ছবির প্রদর্শনীতে অংশ নিতে লাবনী খুব পছন্দ করেন। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, 'এক্সিবিশনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বিভিন্ন গুণী শিল্পীর কাজ সামনে থেকে দেখা যায়। এতে একটি বিশাল প্ল্যাটফর্ম তৈরি হয়। গুণী শিল্পীদের সান্নিধ্যে নতুন অনেক কিছু শেখা যায়।'
লাবনী ২০২০ থেকে অনেক এক্সিবিশনে অংশগ্রহণ করেছেন। একটি আর্ট স্কুল প্রতিষ্ঠা করার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর। া
- বিষয় :
- ছবি আঁকা
- চিত্রশিল্পী