ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

বিদেশে পড়াশোনা: শিক্ষা খরচের পরিকল্পনা

বিদেশে পড়াশোনা: শিক্ষা খরচের পরিকল্পনা

রোববার রাজধানীতে বৃষ্টিতে কমেছে ধুলাবালি, এতে সাময়িক স্বস্তি ফিরে এসেছে। ছবি: ফোকাস বাংলা

জাফর সাদেক চৌধুরী

প্রকাশ: ২১ মে ২০২৩ | ০১:৪০ | আপডেট: ২১ মে ২০২৩ | ০১:৪০

অনেক অভিভাবকই চান তাঁদের সন্তানকে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাঠাতে যাতে শিক্ষার্থীরা নতুন সংস্কৃতি, শিক্ষা ও নতুন পরিবেশে নিজেকে সহজে খাপ খাওয়াতে পারেন এবং নানা দক্ষতা অর্জন করতে পারেন। তাই বাংলাদেশ থেকে দেশের বাইরে পড়তে যাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রতিবছরই বাড়ছে। বিদেশে পড়তে যাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি বিদেশে পড়ার খরচও দিন দিন বেড়ে চলছে। সঠিক আর্থিক পরিকল্পনার অভাবে অনেক সময় এই ব্যয় মেটানো কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। তাই অভিভাবকরা যদি আগে থেকেই বিদেশে উচ্চশিক্ষার সঙ্গে জড়িত সম্ভাব্য ব্যয় নির্ধারণ এবং এই ব্যয় মেটানোর জন্য আর্থিক পরিকল্পনা করেন তাহলে তাদের খরচ নিয়ে হিমশিম খেতে হয় না। এর পাশাপাশি কীভাবে পড়াশোনার বিষয়, দেশ ও বিশ্ববিদ্যালয় নির্ধারণ করতে হবে সে সম্পর্কেও জানা থাকলে পরিকল্পনা করা সহজ হবে।

পছন্দ অনুযায়ী দেশ ও বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন

বিদেশে যেতে আগ্রহী এমন শিক্ষার্থীদের উচিত প্রথমেই তাদের লক্ষ্যপূরণে সহায়ক হবে এমন পড়াশোনার বিষয়, দেশ ও বিশ্ববিদ্যালয় নির্ধারণ করা। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, পূর্ব ইউরোপ ও দক্ষিণ আমেরিকার এমন অনেক দেশ আছে যেখানে যুক্তরাষ্ট্র বা যুক্তরাজ্যের তুলনায় জীবনযাপনের খরচ অনেক কম। সেক্ষেত্রে সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আপনার পছন্দের প্রোগ্রাম বাছাই করার পাশাপাশি, সেই দেশে প্রচলিত মুদ্রা ও পড়াশোনা চলার সময় থাকা-খাওয়ার খরচের মতো বিষয়গুলো সম্পর্কে পুরোপুরি জেনে নিতে হবে।


টিউশন ফি ও অন্যান্য দৈনন্দিন খরচ

বিদেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য উপকারী হতে পারে এমন কিছু সহযোগী অ্যাকাডেমিক প্রোগ্রাম বা কোর্স থাকে। পড়াশোনার প্রাথমিক খরচের সঙ্গে এসব কোর্সের খরচও বিবেচনায় আনতে হবে। এসব কোর্সের মধ্যে ভাষা শিক্ষা কোর্স, ফিল্ড স্টাডিজ বা প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণ থাকতে পারে। পাশাপাশি, পড়াশোনা চলাকালে থাকা-খাওয়া, পরিবহন, স্বাস্থ্যবীমাসহ ভিসার যাবতীয় খরচও বিবেচনা করতে হবে। অনেক সময় বিদেশের শিক্ষা ব্যয়ের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের থাকার সুবিধা অন্তর্ভুক্ত থাকে না, সেক্ষেত্রে অন্যান্য ব্যবস্থা যেমন ছাত্র আবাসন কেন্দ্র এবং কিংবা হোস্টেলে আবাসনের ব্যবস্থা করা যায় তা আগেই দেখে নিতে হবে ।  

পড়াশোনার বাড়তি খরচ সামাল দিতে বীমা

করোনা মহামারির পর যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশগুলোতে আন্ডার-গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে পড়াশোনার গড় খরচ অনেক বেড়ে গেছে। ফলে বিদেশে উচ্চশিক্ষার খরচ ভবিষ্যতে কীভাবে সামাল দেওয়া যাবে এখন থেকেই সেই চিন্তা করা উচিত। এ ক্ষেত্রে শিক্ষাবীমা একটি ভালো উপায় হতে পারে। শিক্ষাবীমা ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয়ের পাশাপাশি অভিভাবকের কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা বা মৃত্যুর মতো ঘটনায় যাতে সন্তানের শিক্ষার ক্ষেত্রে খরচ যাতে বাধা হয়ে না দাঁড়ায় তার ব্যবস্থা করে।  

এরকমই একটি শিক্ষাবীমা হচ্ছে মেটলাইফের ‘মাই চাইল্ড’স এডুকেশন প্রোটেকশন প্ল্যান’।  অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা যেন সন্তানের শিক্ষাজীবন বাধাগ্রস্ত করতে না পারে সেজন্য এই পলিসিতে অভিভাবকদের জন্য রয়েছে নানা সুবিধা। এই পলিসিতে সঞ্চয়ের পাশাপাশি অভিভাবকের (পিতা/মাতা) মৃত্যুর মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার  ক্ষেত্রে বীমা নিরাপত্তা পাওয়ার সুবিধা রয়েছে। বীমা পলিসি গ্রহণকারী অভিভাবকের অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর ক্ষেত্রে পলিসির অভিহিত মূল্যের ১০০ শতাংশ টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে পাবে পরিবার। একই সময়ে, বীমা দাবি নিষ্পত্তির সময় শেষ হওয়া পর্যন্ত প্রতি মাসে অভিহিত মূল্যের ২ শতাংশ করে টাকা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটি পাবে আর কোনো প্রিমিয়াম প্রদান করা ছাড়াই।

এ ছাড়া, বীমা পলিসির মেয়াদপূর্তিতে প্রযোজ্য বোনাসসহ আংশিক মেয়াদপূর্তি ও মেয়াদপূর্তির  টাকা পাবে পরিবারটি। ১২ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত মেয়াদে মাই চাইল্ডস এডুকেশন প্রটেকশন প্ল্যান গ্রহণ করা যাবে। এ সব সুবিধার মাধ্যমে অভিভাবকেরা সন্তানদের জন্য আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মাধ্যমে তাদের প্রতিভা বিকাশে অবদান রাখতে পারবেন।

আরও পড়ুন

×