ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

প্রোটিন কতটা খাবেন, জেনে রাখুন

প্রোটিন কতটা খাবেন, জেনে রাখুন

ডাক্তারবাড়ি ডেস্ক

প্রকাশ: ২৮ জুলাই ২০২৩ | ১৮:০০

প্রোটিন হলো শরীরের বিল্ডিং ব্লক। একদিকে যেমন শরীরের গ্রোথের জন্য পর্যাপ্ত প্রোটিন প্রয়োজন, তেমনই নানা টিসু ও সেল মেরামত করতেও এটির প্রয়োজন। কম বয়সে যেমন প্রোটিনের প্রয়োজনীয়তা সর্বোচ্চ থাকে, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর চাহিদা খানিকটা কমে। শরীরের প্রতি কেজি ওজনের অনুপাতে ০.৬-১.৩ কেজি প্রোটিনের চাহিদা থাকে। এই চাহিদার তারতম্য হয় বয়স আর জীবনযাপনের ধরনের ওপর ভিত্তি করে। কম বয়সী কেউ বা যিনি খুব অ্যাথলেট, তাদের প্রোটিনের দরকার বেশি। আবার শরীরে এনজাইম প্রডাকশন সুষ্ঠুভাবে হওয়ার জন্য বা এস্ট্রোজেন ফাংশন ঠিকমতো হওয়ার জন্যও প্রোটিন দরকার। সব ক্ষেত্রে যদি প্রোটিনের চাহিদা না মেটে তখন কী হবে?

কম বয়সী ছেলেমেয়েদের সরু কবজি, রোগা চেহারা অনেক ক্ষেত্রে প্রোটিন-ডেফিশিয়েন্সির লক্ষণ। আবার যাদের প্রোটিন গ্রহণে সামর্থ্য আছে তাদেরও যে প্রোটিনের অভাব হয় না, তেমনটা নয়! অতিরিক্ত জাঙ্কফুড খেলে বা কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার বেশি খেলে প্রোটিনের ঘাটতি হতেই পারে। খাবারের মধ্যে যদি রিফাইন্ড কার্ব আর ফ্যাটের আধিক্য থাকে, তাহলে প্রোটিনের পরিমাণ কমবে। দিনের পর দিন সকালের নাশতায় মাখন-পাউরুটি, রুটি-আলুর তরকারি খেলে কার্বোহাইড্রেটের চাহিদা হয়তো মিটবে, খাবারে প্রোটিন কই! খিদে পেলে হয়তো দিনের মাঝে খানিকটা মুড়ি খেয়ে নিলেন। তার বদলে যদি একটা ডিম সেদ্ধ বা এক গ্লাস দুধ খান, তাহলে প্রোটিনের অভাব হবে না। যারা নিরামিষ খান, তারা প্লান্ট প্রোটিনের ওপরেই বেশি নির্ভর করেন। তাদেরও প্রোটিনের ঘাটতি হতে পারে। শুধু প্রোটিনের পরিমাণ নয়, প্রোটিনের গুণের সঙ্গেও আপস করতে হয়।

অতিরিক্ত প্রোটিনও ভালো নয় যাদের কিডনির অসুখ আছে, তাদের পক্ষে অতিরিক্ত প্রোটিন সমস্যা ডেকে আনতে পারে। আপনার শরীর, ওজন, বয়স ও জীবনযাপনের ধরন অনুযায়ী যতটুকু প্রোটিন দরকার তার চেয়ে অতিরিক্ত যদি খান, তাহলে কিডনির ক্ষতি হতে পারে। ইউরিক এসিডের মাত্রাও বাড়তে পারে। যারা হেভি ওয়ার্কআউট করছেন, তাদের উচিত ডায়েটিশিয়ানের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রোটিন ইনটেক (সাপ্লিমেন্টও) বুঝে নেওয়া। তবে এক-দু’দিন বেশি প্রোটিন খেয়ে ফেললেন মানেই তা খারাপ, এমনটা নয়। দীর্ঘদিন ধরে একসেসিভ প্রোটিন ইনটেকেই সমস্যা হতে পারে। আবার হাই প্রোটিন ডায়েটের সঙ্গে যথেষ্ট ফাইবার না খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। প্রোটিনের সঙ্গে সঙ্গে পর্যাপ্ত পানি খেতে হবে, তাহলে কিডনির স্টোনের আশঙ্কাও অনেকটা রোধ করা সম্ভব।

তবে ডায়াবেটিস যাদের আছে তারা প্রোটিন কম খাবেন না। ডায়াবেটিসদের জন্য কার্বোহাইড্রেটে সমস্যা হতে পারে, প্রোটিনে নয়!

আরও পড়ুন

×