হরিয়ানায় সহিংসতা: বাড়ছে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, দিল্লিতে সতর্কতা

ফাইল ছবি
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ আগস্ট ২০২৩ | ১৪:৪৯ | আপডেট: ০২ আগস্ট ২০২৩ | ১৪:৪৯
ভারতের হরিয়ানার গুরুগ্রামে হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে শুরু হওয়া দাঙ্গা রাজ্যের অন্যান্য অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়েছে। সহিংসতাপূর্ণ অঞ্চলে বুধবার পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। সাম্প্রদায়িক এ উত্তেজনার আঁচ পড়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে পার্শ্ববর্তী দিল্লিতেও। রাজধানীতে যাতে সংঘর্ষ ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য নেওয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কতা। খবর: এনডিটিভি’র
মঙ্গলবার সংঘর্ষ গুরুগ্রামের ৭০ নম্বর সেক্টরে ছড়িয়ে পড়ে; যা রাজধানী দিল্লি থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। সোমবার মানু মানেশর নামের এক উগ্রবাদী গোরক্ষকের মিছিলের ডাক দেওয়ার মাধ্যমে গুরুগ্রামের মুসলিম অধ্যুষিত নুহ বিভাগে হিন্দু-মুসলিমদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬-এ দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন প্রায় ৭০ জন। এ ছাড়া সহিংসতায় জড়িত থাকার সন্দেহে ১১৬ জনের বেশি আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে গুরুগ্রামে মুসলিমদের দোকানপাট-বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনার পর গুরুগ্রামে খোলা পেট্রোল এবং ডিজেল বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গুরুগ্রামের পাশাপাশি এদিন বিকেলে বাদশাপুরে সংঘাতের খবর পাওয়া গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একটি দল ভাঙচুর ও দোকানে আগুন দেয়। পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার সেখানে বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশের কয়েক হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এর পরও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ওই অঞ্চলে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বুধবার পর্যন্ত ১৪৪ ধারার সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। একই সঙ্গে ইন্টারনেট সেবাও বন্ধ রয়েছে। নতুন করে সংঘাতময় এলাকার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ, স্থগিত করা হয়েছে পরীক্ষাও।
চলমান সংঘাতের পেছনে কোনো ষড়যন্ত্র লুকিয়ে আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সহিংসতার ঘটনায় এরই মধ্যে প্রায় অর্ধশত এফআইআর দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজ্য মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে হরিয়ানার মানুষকে শান্তিপূর্ণ অবস্থানের আহ্বান জানিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।