ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

জাতিসংঘের প্রতিবেদন

জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষয়ক্ষতি সবচেয়ে বেশি এশিয়ায়

জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষয়ক্ষতি সবচেয়ে বেশি এশিয়ায়

ছবি: সংগৃহীত

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ২০:৫৫ | আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ২০:৫৭

বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তন-সংক্রান্ত ক্ষয়ক্ষতি সবচেয়ে বেশি হয়েছে এশিয়া মহাদেশের দেশগুলোতে। এসব দেশে ২০২৩ সালে মানুষ হতাহত ও অর্থনৈতিক ক্ষতির বেশির ভাগই হয়েছে বন্যা ও ঝড়ের কারণে। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা বলছে, একই সময়ে তাপদাহ বৃদ্ধির প্রভাবেও নাকাল ছিল এসব দেশের মানুষ। খবর আলজাজিরার।

মঙ্গলবার বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) দ্য স্টেট অব দ্য ক্লাইমেট ইন এশিয়া ২০২৩ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে উঠে এসেছে, বিশ্বব্যাপী গড় উষ্ণতার চেয়ে দ্রুত উষ্ণ হচ্ছে এশিয়ার দেশগুলোর আবহাওয়া। ১৯৬১ থেকে ১৯৯০ সালের গড় তাপমাত্রার চেয়ে শুধু ২০২৩ সালেই এই মহাদেশে উষ্ণতা বেড়েছে প্রায় ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

জাতিসংঘের সংস্থার এই প্রতিবেদন প্রকাশের সময়ও এশিয়ার দেশগুলোতে ভিন্ন ভিন্ন আবহাওয়া দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশ, ভারতসহ কোনো কোনো দেশ তাপদাহে বিপর্যস্ত। আবার চীন-পাকিস্তানসহ কোনোটিতে চরম বৃষ্টির সঙ্গে বন্যা দেখা দিয়েছে। চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ গুয়াংডংয়ে ভারী বৃষ্টিপাতে বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে শহর-নগর থেকে শুরু করে সব এলাকা। প্রায় এক লাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়েছে সরকার। এখানে মৃত্যু হয়েছে অন্তত চারজনের। এদিকে, গত সপ্তাহে ভারী বর্ষণ ও আকস্মিক বন্যায় অন্তত ১০০ জনের মৃত্যুর পর কিছু অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে আফগানিস্তান ও পাকিস্তান সরকার।

ডব্লিউএমও প্রধান সেলেস্তে সাওলো বিবৃতিতে বলেন, খরা, তাপপ্রবাহ থেকে বন্যা ও ঝড় পর্যন্ত চরম পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়াসহ ২০২৩ সালে এশিয়ার অনেক দেশ রেকর্ড উষ্ণতম বছর অনুভব করেছে। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন এই ধরনের ঘটনার ফ্রিকোয়েন্সি ও তীব্রতা বাড়িয়ে তুলেছে। 

সংস্থাটি বলেছে, গত বছর এশিয়ায় পানি সম্পর্কিত আবহাওয়াগত ঝুঁকির সঙ্গে ৭৯টি বিপর্যয়ের খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশই বন্যা ও ঝড়। এতে মৃত্যু হয়েছে দুই হাজারের বেশি মানুষের। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্তত ৯০ লাখ মানুষ। বন্যা ছিল মৃত্যুর প্রধান কারণ। 

প্রতিবেদনে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, এশিয়ার উচ্চ পর্বত অঞ্চলের বেশির ভাগ হিমবাহ রেকর্ড ভঙ্গ করা উচ্চ তাপমাত্রা এবং শুষ্ক অবস্থার কারণে উল্লেখযোগ্য ভর হারিয়েছে। ২০২৩ সালে হিমালয় এবং পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ পর্বতমালায় বৃষ্টিপাত স্বাভাবিকের চেয়ে কম ছিল। 

দক্ষিণ-পশ্চিম চীন খরায় ভুগেছে। বিশেষ করে পশ্চিম সাইবেরিয়া থেকে মধ্য এশিয়া এবং পূর্ব চীন থেকে জাপান পর্যন্ত উচ্চ গড় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।    

ডব্লিউএমও বলেছে, দুর্যোগের ঝুঁকি কমাতে কর্মরত কর্মকর্তাদের জন্য তথ্যসংক্রান্ত বিষয় উন্নত করতে এশিয়াজুড়ে জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবার জরুরি প্রয়োজন।  

কার্টিন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক পিটার নিউম্যান বলেছেন, জলবায়ু সংকটের মাঝখানে রয়েছে বিশ্ব, যা শূন্য নির্গমন না হওয়া পর্যন্ত আরও খারাপ হতে পারে।


 

আরও পড়ুন

×