এবার অ্যান্টার্কটিকাতেও করোনার হানা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর ২০২০ | ০৯:০০ | আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২০ | ০৯:০৩
চীন থেকে শুরু হয়ে বিশ্বের সব দেশেই ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। বিশ্বের মানুষ মরিয়া হয়ে লড়ছে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে। এখনো খুব একটা সুবিধা করে উঠতে পারছে না।
এ পর্যন্ত ১৭ লাখের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে এই ভাইরাস। তবে ছয় মহাদেশে তাণ্ডব চালিয়েও থামেনি, এবার সপ্তম অর্থাৎ শেষতম মহাদেশটিতেও হানা দিয়েছে। চিলির সামরিক বাহিনী এ খবর দিয়েছে। খবর এনডিটিভির।
চিলির সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, চারদিকে মহাসাগর ও আইসবার্গে ঘেরা অ্যান্টার্কটিকার দূরতম গবেষণা কেন্দ্র বের্নার্দো ও’হিগিন বেসে কম পক্ষে ৩৬ জন আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ২৬ জন সামরিক ও ১০ জন বেসামরিক লোক। বেসামরিক লোকজন গবেষণা কেন্দ্রের বিভিন্ন দায়িত্বে কর্মরত আছেন।
চিলির এই গবেষণা কেন্দ্রটি অ্যান্টার্কটিকার সর্বদক্ষিণে অবস্থিত বিশাল বিশাল সব আইসবার্গে ঘেরা একটি উপদ্বীপে। সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আক্রান্তদের যথাসময়ে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। তাদের স্বাস্থ্যগত অবস্থাও পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তবে তাদের অবস্থা তেমন ঝুঁকিপূর্ণ নয়।
গত কয়েক মাস ধরে অ্যান্টার্কটিকায় অবস্থানরত গবেষক এবং সামরিক বাহিনীর লোকেরা করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে অনেক দূরত্বে অবস্থান করতে শুরু করেছেন। পর্যটকদের অ্যান্টার্কটিকায় প্রবেশ বাতিল করা হয়েছে। নিজেদের মধ্যেও পুরোপুরি লকডাউন মেনে চলা হছে। তবু এর মধ্যেও করোনাভাইরাস ঠিকই চলে গেছে পৃথিবীর সবচেয়ে শীতল এবং নির্জনতম মহাদেশটিতে।
ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিকার জরিপ দল জানিয়েছে, হিমশীতল মহাদেশ জুড়ে ৩৮টি স্টেশনে ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক জরিপ দলের প্রায় এক হাজার মানুষ এতদিন ধরে নির্বিঘ্নে ছিলেন। কিন্তু গ্রীষ্ম শুরু হতেই পর্যটকদের আসা যাওয়ার কারণে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়েছে।
- বিষয় :
- করোনাভাইরাস
- অ্যান্টার্কটিকা