ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

ফ্লাইওভার বটে!

ফ্লাইওভার বটে!

ফ্লাইওভার

মো. নাসিমুল হক 

প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ০০:০৯

রাজধানীতে ফ্লাইওভার প্রায় প্রতিবছর নির্মাণ করতে হচ্ছে। বাংলাদেশ যে কৃত্রিম সংকটে ভুগছে– ফ্লাইওভার নির্মাণ তার একটি উদাহরণ। নব্বই-পরবর্তী সরকারগুলো নিজেদের গণতান্ত্রিক বলে জাহির করলেও, তাদের নেওয়া পদক্ষেপ গণতান্ত্রিক রীতিনীতির সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। গণতন্ত্র ও শক্তিশালী স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত সরকারের সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য। সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ প্রবর্তিত উপজেলা ব্যবস্থার মাধ্যমে মানুষের মৌলিক চাহিদা যেমন শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, বিচারালয়, বিনোদন গ্রামের মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়ে দেশের প্রত্যন্ত গ্রামগুলোকে প্রাণবন্ত করে তুলেছিলেন। কিন্তু নব্বই-পরবর্তী সরকারগুলো উপজেলা ব্যবস্থা বিলীন করে দিলে ভারসাম্য বিনষ্ট হয়ে পড়ে। যার ফলে গ্রামের সাধারণ মানুষকেও কর্ম ও অন্যান্য প্রয়োজনে রাজধানীমুখী করে তোলে এবং এ প্রবণতা হ্রাসে কোনো পদক্ষেপ দৃশ্যমান নয়। রাজধানীতে প্রায় আড়াই কোটি মানুষের বাস। স্বল্পায়তনে এই বিশাল জনগোষ্ঠীর অবস্থান রাজধানীকে বসবাসের অযোগ্য করে তুলেছে। এ থেকে পরিত্রাণে উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে শক্তিশালী ও কার্যকর স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত সরকার ব্যবস্থা সৃষ্টি করা, বিভাগীয় ক্ষেত্রে এমন ক্ষমতা দিতে হবে ও পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যাতে দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগ আকৃষ্ট হয়। এতে বিভাগীয় পর্যায়ে কর্মসংস্থান হবে। জেলা পর্যায়ে আধুনিক ও দ্রুতগতির রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে বিভাগীয় পর্যায়ের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর দ্রুতগতির মালবাহী ট্রেনের যোগাযোগ স্থাপন করতে হবে। 
এসব ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে রাজধানীতে জনসংখ্যার প্রবাহ কমানো সম্ভব হবে। ফলে রাজধানীতে ফ্লাইওভার নির্মাণের দরকার হবে না।
 
মিডল্যান্ড পাওয়ার কোম্পানি 
লিমিটেডে কর্মরত
 

আরও পড়ুন

×