ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

ভারী বর্ষণে শহরের মানুষের ভোগান্তি

ভারী বর্ষণে শহরের মানুষের ভোগান্তি

ফাইল ছবি

মো. হান্নান হোসেন রুবেল

প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২৩:৪৪

ভারী বর্ষণে রাজধানীবাসীকে  ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়তে হয়। একটুতেই ঢাকার বিভিন্ন শহরে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। কল্যাণপুর বাসস্ট্যান্ডের ১ নম্বর সড়কে ভারী বর্ষণে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এর ফলে সাধারণ মানুষের জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। এই সড়কে জলাবদ্ধতার কারণে সাধারণ মানুষের চলাচলে সংকট ও রিকশাজটের সৃষ্টি হয়। এতে স্কুল-কলেজ ও অফিসগামী মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হয়।
এ ছাড়াও অনেক সময় যানবাহন পাওয়া যায় না। অটোরিকশা কিংবা রিকশা ভাড়া বেড়ে যায়। আর খুব বেশি পরিমাণে বৃষ্টি হলে চলাচলই করা যায় না। চলতি বছরের মে মাসের শেষদিকে ঢাকায় সারাদিনে ১৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। এতে রাজধানীর অধিকাংশ সড়ক যেমন ডুবে যায়, তেমনি অনেক এলাকায় গাছের ডাল ভেঙে যাওয়ায় যাতায়াতে বিঘ্ন ঘটে।
মোটরচালিত যানবাহনে পানি ঢুকে সেগুলো বিকল হয়ে পড়ে। সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় মানুষের হাঁটাচলায়। অনেকে হয়তো হেঁটেই অফিসে বা কাজে যান। চলতি মাসের মাঝামাঝিতে ঢাকায় যে বৃষ্টি হয় তখনও আমাদের সমস্যায় পড়তে হয়। এ ব্যাপারে আমি এক রিকশাচালকের 
সঙ্গে কথা বলি। তার বক্তব্য অনুসারে, বেশি পরিমাণে বৃষ্টি হলে এই রাস্তায় ছোট-বড় গর্ত বৃষ্টির পানিতে ভরে যায়। এতে কোথায় গর্ত আছে, কোথায় ম্যানহোল তা বোঝাই যায় না। 
ফলে অনেক সময় গর্তে পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে।
বৃষ্টির সময় পাবলিক বাসে যারা চলাচল করেন তাদের ভোগান্তিও কম নয়। যানজটের কারণে গাড়ি আটকে থাকে। আবার পাবলিক বাসে জায়গাও পাওয়া যায় না। বাদুড়ঝোলা হয়ে যাত্রীদের চলতে হয়। যখন জলাবদ্ধতা থাকে তখন গাড়ি গর্তের ওপর দিয়ে গেলে পানি-কাদা ছিটকে গায়ে পড়ে। এতে পথচারীকে অনেক সময় ভিজতে হয়।
আমি মনে করি, কল্যাণপুরের এ অবস্থা মোকাবিলায় প্রয়োজন সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ ও রাস্তা সংস্কার করা। এতে বর্ষণ-পরবর্তী সময়ের বিশৃঙ্খলা দূর করা সম্ভব। এ ক্ষেত্রে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও স্থানীয় ওয়ার্ডকে দায়িত্বশীল হতে হবে। জনভোগান্তি কমাতে তাদের তৎপরতার বিকল্প নেই। 

কল্যাণপুর

আরও পড়ুন

×