ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

তথ্য নিয়ে গড়িমসি কেন?

তথ্য নিয়ে গড়িমসি কেন?

.

কাজী সুলতানুল আরেফিন

প্রকাশ: ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ০০:০০

সঠিক তথ্য জানা নাগরিক অধিকার। মতামত প্রকাশের অধিকারও জনগণের রয়েছে। এ নিয়ে আইনও আছে। কিন্তু কোনো প্রশাসনিক ভবনে গেলে কিছু কর্মকর্তার দেখলে মনে হয়, তথ্য প্রদানে তারা খুবই বিরক্ত। বিশেষ করে সরকারি অফিসে এ চিত্র বেশি দেখা যায়। তথ্য দিতে তারা গড়িমসি করেন। একটু উচ্চ পদে অধিষ্ঠিত হতে পারলেই নিজের থলে ভারী করার দিকেই বেশির ভাগের মনোযোগ চলে যায়! তিনি যে কাজ বা চাকরির জন্য বেতন নিচ্ছেন, সে দায়িত্ব পালনে গাফিলতি করেন। সংশ্লিষ্ট কাজের জন্যই যাঁকে নিয়োগ ও বেতন-ভাতা দেওয়া হচ্ছে, সেই কাজ করতে বিরক্তি ভাব কেন হবে? 
অন্যদিকে জনগণের মতামতের কোনো গুরুত্ব দেওয়া হয় না। জনগণের বিরুদ্ধে তাদের এই অবস্থান মেনে নেওয়া যায় না। দেশের নীতিনির্ধারকরা সাধারণ মানুষের দাবি বাস্তবায়নে গড়িমসি করেন।
একটি দুঃখজনক ঘটনা তুলে ধরছি। গত সরকারের আমলে দেশের জনগণের বেশির ভাগ ক্রিকেট বোর্ড সভাপতির অপসারণ চেয়েছিল। কিন্তু সরকার নিজের জেদ দেখাতে গিয়ে তাঁকে আরও উচ্চ ধাপে অধিষ্ঠিত করে ক্রীড়ামন্ত্রী করেছিল। এ রকম শত শত স্বেচ্ছাচারিতার কারণে তাদের এই দশা হয়েছে।
নাগরিকদের তথ্য পাওয়ার অধিকার, মতামত উপেক্ষা করে কোনো সরকার টিকতে পারে না। আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস বা পাচারের কথাও অনেকবার শোনা গেছে। তথ্য নিরাপত্তায় সাধারণত তথ্যে অননুমোদিত বা অনুপযুক্ত প্রবেশাধিকার কিংবা তথ্যের বেআইনি ব্যবহার, উন্মুক্তকরণ, অরক্ষিতকরণ, অবলোপন, পরিবর্তন, মানের অবনতিকরণ, পর্যবেক্ষণ, সংরক্ষণ, অবমূল্যায়ন ইত্যাদি প্রতিরোধ করা হয় কিংবা অন্তত এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধ বা নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করা হয়।
যাই হোক, আমাদের দেশে এখন তথ্য ও মতামত প্রকাশে সামাজিক মাধ্যমের ব্যবহার অনেক বেড়ে গেছে। এখান থেকে রাতারাতি ভুয়া তথ্য ভাইরাল হচ্ছে, যা মোটেই সমাজের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে না। আবার মানুষ যে হারে নিজেদের মতামত এ মাধ্যমে প্রকাশ করে যাচ্ছে, তাও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। এ কারণে অনেকে বিপদেও পড়ছে। আমাদেরও কিন্তু অতিরঞ্জিত তথ্য ভালো লাগে। এই ভালো লাগাই ক্ষতির বড় কারণ। 
অনেক ভুয়া তথ্যের প্রমাণ পাওয়ার পরও ব্যবস্থা নেওয়ার নজির নেই। চাকরির বাজারেও কিছু অসাধু ব্যক্তি প্রলোভন দেখাতে ভুয়া তথ্য দিয়ে বেকারদের সঙ্গে প্রতারণায় লিপ্ত। তথ্য প্রদানে সেক্টরগুলো আন্তরিক এবং সেবকের মনোভাব পোষণ করুক। নাগরিকরা সংযত হয়ে নিজেদের মতামত ব্যক্ত করুক। একে অপরের মতামতকে সম্মান করুক। 

nকাজী সুলতানুল আরেফিন
[email protected]
 

আরও পড়ুন

×