কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবার মান বাড়ুক

ফাইল ছবি
হাবিব আল মিসবাহ
প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | ০০:০০
বাংলাদেশ সরকারের সফল সামাজিক উদ্যোগের মধ্যে কমিউনিটি ক্লিনিক অন্যতম। ১৯৯৮ সালে প্রাথমিক পর্যায়ে এটি চালু হলেও ২০০৯ সালে পুনরায় কার্যক্রম বেগবান হয়। লক্ষ্য ছিল গ্রামের দরিদ্র জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়া। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এসব ক্লিনিক কি সত্যিই সে প্রত্যাশা পূরণ করতে পারছে?
সরকার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বল্প ব্যয়ে মানসম্মত চিকিৎসা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা, মাতৃস্বাস্থ্যসেবা, শিশুদের টিকা প্রদান, সাধারণ রোগের ওষুধ সরবরাহ ইত্যাদি সেবা দেওয়ার কথা। বাস্তবতা ভিন্ন। কমিউনিটি ক্লিনিকে সাধারণত চিকিৎসক থাকেন না। দায়িত্বে থাকেন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি)। অধিকাংশ সময় তারা নিয়মিত উপস্থিত হন না। ক্লিনিকগুলোর কার্যক্রম তদারকিতে নিয়মিত পরিদর্শন ব্যবস্থা দুর্বল। ফলে অনিয়ম ও দায়িত্বহীনতা বেশি দেখা যায়। আবার যারা সেবা দেন, তাদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা সীমিত। জটিল রোগ দূরের কথা, অনেক সময় সাধারণ অসুস্থতারও সঠিক পরামর্শ রোগীরা পান না।
এখানে রয়েছে পর্যাপ্ত অবকাঠামো ও সরঞ্জামের অভাব। অনেক ক্লিনিকে পরীক্ষার সরঞ্জাম, নরমাল ডেলিভারির সুযোগ বা জরুরি সেবা নেই। ফলে এটি রোগীদের খুব বেশি সহায়তা করতে পারে না।
সমস্যাগুলোর মধ্যে আরও একটি হলো সচেতনতার অভাব ও অনীহা। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য শুধু স্থাপনা নয়, বরং কার্যকর ব্যবস্থাপনা ও গুণগত সেবা নিশ্চিত করাই মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত।
হাবিব আল মিসবাহ: শিক্ষার্থী,
আল-কোরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
[email protected]
- বিষয় :
- সেবামুলক উদ্যোগ