ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

এই গরমে শিশুদের নিরাপদ রাখতে কী করবেন

এই গরমে শিশুদের নিরাপদ রাখতে কী করবেন

প্রতীকী ছবি

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২২ এপ্রিল ২০২৪ | ১১:২১ | আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২৪ | ১১:২৮

দেশজুড়ে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। আবারও ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদফতর। অনেকেই তীব্র গরমে হিট স্টোকে আক্রান্ত হচ্ছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তীব্র দাবদাহের মধ্যে সব থেকে বেশি স্বাস্থ্য সচেতন হতে হবে বৃদ্ধ এবং বাচ্চাদের প্রতি।  চিকিৎসকদের মতে, ইতিমধ্যেই তাপপ্রবাহ সারাদেশে সমস্ত বয়সের মানুষের উপর প্রভাব ফেলছে। যার ফলে প্রাপ্তবয়স্কদের পাশাপাশি শিশুদের অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, মাথা ঘোরা, হালকা মাথাব্যথা এবং অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মত সমস্যা দেখা দিয়েছে। তাপ শিশুদের অসুস্থ করতে পারে। 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাইরে খেলা শিশুর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। কিন্তু প্রচণ্ড গরমে এটি করা যাবে না। উচ্চ তাপমাত্রা শিশুদের অসুস্থ করে তোলে। তারা ডিহাইড্রেশন, ক্লান্তি, হিট ক্র্যাম্প এবং হিট স্ট্রোকে ভুগতে পারে। ডিহাইড্রেশনের ফলে পানির ঘাটতি হয়। বমি বমি ভাব এবং ক্লান্তি, মাথাব্যথা, হালকা মাথাব্যথা, শুষ্ক মুখ, প্রস্রাবের সমস্যার মতো লক্ষণগুলিও তাদের উদ্বিগ্ন করে তুলতে পারে। যার ফলে শ্বাসকষ্ট হতে পারে।

এই গরমে শিশুদের সুস্থ রাখতে যা করণীয়-

প্রচুর পানি পান করা : শিশুরা সহজে পানি পান করতে চায় না। তাদের বারবার পানি পান করানোর কথা মনে করিয়ে দিতে হবে।  প্রচুর পানি পান করা ও অ্যালকোহলযুক্ত বা মিষ্টি পানীয় এড়ানো তাদের হাইড্রেটেড এবং সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে। 

ডিহাইড্রেশনের লক্ষণ ও উপসর্গ : শিশুদের ডিহাইড্রেশনের লক্ষণ ও উপসর্গগুলি হল ক্লান্তি, তৃষ্ণা, শুকনো ঠোঁট এবং জিভ, শক্তির অভাব এবং অতিরিক্ত গরম অনুভব করা। ক্লান্তির কারণে মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব, বমি, মাথাব্যথা, দুর্বলতা, পেশীতে ব্যথা এবং কখনও কখনও অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে। এসব উপসর্গ দেখা দিলে সতর্ক থাকতে হবে। 

ডিহাইড্রেশনের সঙ্গে মোকাবিলা করবেন কীভাবে:  চিকিৎসকরা বলেছেন, এই গরমে শিশুদের বাইরে খেলতে না দেওয়াই ভালো। তবে খেলতে গেলে একটু পর পর বিরতি নেওয়া এবং সেই সময় পানি বা অন্যান্য স্বাস্থ্যকর পানীয় খেতে উৎসাহিত করতে হবে। তাদের অবশ্যই দিনে কমপক্ষে ১৩ গ্লাস পানি পান করতে হবে। সরাসরি সূর্যের আলো থেকে দূরে থাকতে হবে। শুধু পানি খেতে না চাইলে, রেভু শরবত করে দিতে পারেন।

গ্রীষ্মে উপযুক্ত পোশাক: শিশুদের দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে বাইরে খেলা বা ব্যায়াম থেকে বিরত থাকতে হবে।  স্কুলে যাওয়ার সময় তাদের অবশ্যই ছাতা বা টুপি পরতে হবে। সুতির মতো উপযুক্ত কাপড় দিয়ে তৈরি ঢিলেঢালা ফিটিং, হালকা রঙের পোশাক পরাতে হবে।

আরও পড়ুন

×