‘নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য ঐক্যবদ্ধ হতে হব ’

ফাইল ছবি
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৯ আগস্ট ২০২৩ | ১৮:০০ | আপডেট: ২৯ আগস্ট ২০২৩ | ২২:০৩
এই সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের আশঙ্কা, নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে না। ঐক্যবদ্ধ হয়ে জনগণকে চেষ্টা করতে হবে, যাতে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়।’ গণফোরামের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. কামাল অসুস্থ থাকায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক দ্বন্দ্ব, সংঘাত ও অবিশ্বাস মুক্তিযুদ্ধের অর্জনকে বিপন্ন করে তুলছে। বিরোধী দলগুলোর ওপর সরকারের সীমাহীন দমন-পীড়নের ফলে দেশ চরম সংকটে পতিত হয়েছে। বিদেশি রাষ্ট্রগুলো আমাদের গণতন্ত্র ও নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ পেয়েছে। নেতিবাচক রাজনীতির পরিবর্তে ইতিবাচক, সৃজনশীল ও জাতীয় সমঝোতার রাজনীতি নিশ্চিত করতে হবে। আমরা সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও সাম্প্রদায়িকতামুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই।
তিনি বলেন, ‘৩০ বছর ধরে আমরা এই সংগঠন চালিয়ে আসছি। আজ জনগণের ঐক্য সবচেয়ে বড় প্রয়োজন। আমার একটাই আবেদন, আমরা জাতীয় ঐক্যের জন্য সবাই একত্রে কাজ করি। ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমাদের লক্ষ্য অর্জন করতে পারব। আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই।’
অনুষ্ঠানে সভাপতির লিখিত বক্তব্যে অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার গঠন করাসহ ছয় দফা দাবি জানানো হয়। সভাপতির পক্ষে দাবিগুলো তুলে ধরেন দলের সাধারণ সম্পাদক ডা. মিজানুর রহমান।
ফোরামের অন্য দাবিগুলো হলো– গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে ইসি পুনর্গঠন করা। নির্বাচন সামনে রেখে বাকস্বাধীনতা, ব্যক্তি, সংবাদপত্র, ইলেকট্রনিক মিডিয়া, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও সব রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা এবং তাদের নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখতে বাধা না দেওয়া। নির্বাচনে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত করতে নির্বাচনকালীন সরকার বাধ্য থাকবে। বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা’ অবিলম্বে প্রত্যাহার করা। নির্বাচনে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে দেশি ও বিদেশি পর্যবেক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা করা।
মিজানুর রহমান বলেন, দেশে রাজনৈতিক সংকট চলছে। ডলার সংকটের মধ্যে চাল-ডাল-তেলসহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের জীবন অতিষ্ঠ। এরই মধ্যে ঋণখেলাপিরা সরকারের টাকা লুট করে নিচ্ছে। সরকার কার্যকর কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না। এমন পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ যেনতেনভাবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করতে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান, দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান জাহাঙ্গীর, ডা. আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, সহসাধারণ সম্পাদক মো. মাহফুজুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ শাহ মো. নূরউজ্জামান, দলের বর্ষীয়ান নেতা মফিজুল ইসলাম খান কামাল, যুব ফোরামের নেতা সাইফুল ইসলাম সজল প্রমুখ।