ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

রেলের ভাড়া বাড়লে স্বল্প আয়ের মানুষের জীবনে দুর্ভোগ আসবে: বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি

রেলের ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত ‘হঠকারী’: বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি

ফাইল ফটো

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ মে ২০২৪ | ১৭:১০ | আপডেট: ০২ মে ২০২৪ | ১৭:৩১

৪ মে থেকে রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহারের করে ১৫টি রুটে রেলের ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে ‘হঠকারী’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি। দলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেন, অসহনীয় ও লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধিতে যখন দেশের সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে, সে সময় রেলের ভাড়া বৃদ্ধির এই সিদ্ধান্ত স্বল্প আয়ের সাধারণ মানুষের জীবনে নতুন দুর্ভোগ নিয়ে আসবে। এটা হবে কাটা ঘায়ে নুনের ছিটার মতো। তিনি বলেন, কিছুদিন আগে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির ফলে সব জিনিসের দাম আরেক দফা বেড়েছে, বাড়ানো হচ্ছে অন্যান্য সেবাখাতের মূল্য। 

রেলের ভাড়া বৃদ্ধির এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, এ পর্যন্ত রেল যাত্রায় ১০০ কিলোমিটারের বেশি ভ্রমণে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ রেয়াত (ছাড়) দেওয়া হতো। এ রেয়াত সুবিধা প্রত্যাহার করায় প্রধান ১৫টি রুটে সুলভ, শোভন, শোভন চেয়ারে রেল ভাড়া ২০ শতাংশ ও প্রথম শ্রেণিতে ৩০ শতাংশ বাড়বে। যুক্তি দেওয়া হচ্ছে এর ফলে রাজস্ব আয় ৩০০ কোটি টাকা বাড়বে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, রেলের মেগা প্রকল্পগুলোতে যেখানে শত শত, হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি হচ্ছে, সেখানে মাত্র ৩০০ কোটি টাকার জন্য দেশের সাধারণ মানুষের ওপর বাড়তি ভাড়া চাপানোর কোনো যুক্তি নেই।

তিনি বলেন, লোকসানের একই রকম যুক্তিতে এর আগে ২০১২ ও ২০১৬ সালে ভাড়া বাড়ানোর পরেও রেলে লোকসান কমেনি। ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত রেলের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ঋণের ৭২ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হলেও তাতে লোকসান কমেনি। রেলে চুরি, দুর্নীতি, লুটপাট, অপচয় ও অব্যবস্থাপনার কারণেই রেলকে পঙ্গু করে লোকসানি খাত হিসেবে দেখানো হয়। এসব অপতৎপরতার দায় মানুষ কেন নেবে।

সাইফুল হক বলেন, গোটা রেল ব্যবস্থাপনায় যেসব কালো বিড়াল ঘুরে বেড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াসহ রেলের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনার পরিবর্তন ছাড়া দেশের প্রধান এই গণপরিবহনকে লাভজনক করা যাবে না। তিনি সরকারকে ভাড়া বৃদ্ধির এই পদক্ষেপ থেকে সরে আসার আহ্বান জানান।

আরও পড়ুন

×